বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের অভিজ্ঞ ওপেনার তামিম ইকবাল।
আসন্ন ওয়ানডে বিশ্বকাপ দলে জায়গা পাননি বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের অভিজ্ঞ ওপেনার তামিম ইকবাল। দল থেকে বাদ দেওয়ার ব্যাপারে তামিম ইকবাল আকারে-ইঙ্গিতে অনেকটাই বুঝিয়ে দিলেন তার বিশ্বকাপ দলে না থাকার পেছনে ছিল গভীর ষড়যন্ত্র।
এ বিষয়ে বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক ভিডিও বার্তায় বিস্তারিত তুলে ধরেন তামিম ইকবাল।
ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, ‘আমি নোংরামির মধ্যে থাকতে চাইনি বলেই সরে এসেছি। আমি কোনো সময়, কোনো মুহূর্তে কাউকেও বলিনি যে আমি পাঁচ ম্যাচের বেশি খেলতে পারবো না। এটা একটা মিথ্যা কথা ভুল কথা। গত ৩-৪ মাস আমার সঙ্গে যা ঘটেছে তা সব পরিকল্পিত।’
দেশের পক্ষে ওয়ানডে সর্বোচ্চ রান করা তামিম ইকবাল বলেন, ‘বোর্ডের টপ লেভেল থেকে একজন ফোন করে আমাকে বললো, 'তুমি বিশ্বকাপে যাবা, কিন্তু তোমাকে তো ম্যানেজ করে খেলাতে হবে। একটা কাজ করো, তুমি প্রথম ম্যাচ খেলিও না।' আমি বলেছি, এখনো ১২/১৩ দিন সময় আছে। এই সময়ের মধ্যে তো আমি ভালো অবস্থায় থাকবো। তো কি কারণে খেলবো না? তখন বললো, 'আচ্ছা তুমি যদি খেলো তাহলে আমরা পরিকল্পনা করছি, তুমি নিচের দিকে খেলবা।’
তিনি বলেন, ‘স্বাভাবিকভাবে বুঝতে হবে আমি কোন মানসিকতা থেকে এসেছি। আমাকে যদি হুট করে এসব ধরণের কথা বলা হয়। আমার পক্ষে নেওয়া আসলে সম্ভব না। আমি ১৭ বছর ধরে এক পজিশনে ব্যাট করেছি। আমি জীবনে কোনদিন তিন-চারে ব্যাটিং করিনি। আমি যদি তিন চারে ব্যাট করতাম তাহলে মানিয়ে নেওয়ার মতো ছিল।’
তিনি আরো বলেন, ‘যদি আপনাদের এমন চিন্তাধারা থাকে, তবে আমাকে পাঠায়েন না। আমি এই নোংরামির মধ্যে থাকতে চাই না। প্রতিদিন এক একটা নতুন জিনিস আমাকে ফেস করাবেন, আমি এসবে থাকতে চাই না। তারপর ওই ব্যক্তির সঙ্গে আমার আরও কথা হয়। মনে হয় আমার এটা এই প্ল্যাটফর্মে বলা উচিত না। আমি স্ট্রংলি বলছি, তাহলে আমাকে রাইখেন না।’
তামিম বলেন, ‘আমি এটাও বলি, এই কথাটাই যদি আমাকে অন্যভাবে বলা হতো, হয়তো আমি মেনে নিতাম। কিন্তু হঠাৎ কোনো কারণ ছাড়া ফোন করে যদি বলে আপনি খেইলেন না, অথবা যদি খেলেনও, আমাদের এমন আলোচনা হচ্ছে আপনি নিচে ব্যাট করবেন। আসলে এটাই হয়েছে।’
বিশ্বকাপ খেলতে যাওয়া ক্রিকেট দলকে শুভকামনা জানিয়ে এই ওপেনার বলেন, ‘আমার মনে হয় এর চেয়ে বেশি কিছু বলার নেই। আমি মনে করি, আমার সঙ্গে যা ঘটেছে, আমি শেয়ার করলাম। তবে দিনশেষে যারা বাংলাদেশের হয়ে যে ১৫ জন খেলতে গেছে, তাদের জন্য শুভকামনা।’
এম হাসান