
মালদ্বীপের ক্লাবের বিপক্ষে জয়ের শতভাগ রেকর্ড ছিল বসুন্ধরা কিংসের
এএফসি কাপে আগের ম্যাচগুলোতে মালদ্বীপের ক্লাবের বিপক্ষে জয়ের শতভাগ রেকর্ড ছিল বসুন্ধরা কিংসের। কিন্তু সেটার ব্যত্যয় ঘটেছে মঙ্গলবার। মঙ্গলবার দিনটা যেন ‘অমঙ্গলময়’ ছিল কিংসের! কেননা ডি-গ্রুপের ম্যাচে স্বাগতিক মালদ্বীপের মাজিয়া স্পোর্টস অ্যান্ড রিক্রিয়েশন ক্লাবের কাছে ৩-১ গোলে নাকানি-চুবানি খেয়েছে তারা!
মালের জাতীয় স্টেডিয়ামে ম্যাচে হারলেও বল নিয়ন্ত্রণ এবং আক্রমণে শানানোতে এগিয়ে ছিল কিংসই। কিন্তু ডরিয়েল্টনসহ অন্যরা একের পর এক মিস করায় হতাশাময় হারের মুখ দেখতে হয় চারবারের প্রিমিয়ার লিগের শিরোপাধারীদের। পক্ষান্তরে সুযোগ পেয়ে গোল আদায় করে নিয়েছে মাজিয়া।
ম্যাচের ১৫ মিনিটে গোল হজম করে পিছিয়ে পড়ে কিংস। তারিক কাজীর বাড়িয়ে দেওয়া বল ভুল পাসে পেয়ে যান প্রতিপক্ষের এক ফুটবলার। সতীর্থ বালাবানোভিচকে বল দিলে বজিলাভ বালবানোভিচ তীব্র শটে লক্ষ্যভেদ করেন (১-০)। কিংস গোলরক্ষক আনিসুর রহমান জিকো বলের লাইনে ঝাঁপিয়ে পড়েও গতির কাছে হার মানেন! ৩৮ মিনিটে রাকিবের ক্রসে বিশ্বনাথ ঘোষের হেড দূরের পোস্ট দিয়ে গেলে গোলবঞ্চিত হয় কিংস।
৬৮ মিনিটে ফ্রি-কিক থেকে গোল করে আবারও এগিয়ে যায় মাজিয়া। ফ্রি-কিক থেকে বল ঘুরে আসে বদলি হাসান নাজিমের পায়ে। কিংসের বক্সের সামান্য বাইরে থেকে বল পেয়ে চমৎকার এক শটে প্রতিপক্ষের জাল কাঁপান নাজিম (২-০)। যোগ করা সময়ে আলি ফাসির বক্সে ঢুকে জিকোর পাশ দিয়ে দলের হয়ে তৃতীয় গোল করেন (৩-০)। শেষ মিনিটে ডরিয়েল্টনের অ্যাসিস্টে মোহাম্মদ ইব্রাহিম হেড করে সান্ত¦নাসূচক একটি গোল শোধ করেন (১-৩)। এরপর রেফারি খেলা শেষের বাঁশি বাজালে হতাশার হার নিয়ে মাঠ ছাড়ে কিংস। আগামী ২ অক্টোবর ভারতের ওড়িষা এফসির বিপক্ষে দ্বিতীয় ম্যাচ খেলবে কিংস।