
পাপন
১৯৮২ সাল। মোহামেডানের এক উঠতি গোলরক্ষক আবাহনী ক্রীড়া চক্রের সুপারস্টার (বর্তমানে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি) কাজী মো. সালাউদ্দিনের পেনাল্টি শট রুখে দিল। সেই সুবাদে সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ল সেই সুদর্শন অথচ উচ্চতায় খাটো কৃতী গোলরক্ষকের, যার নাম মোহাম্মদ মহসিন। ৫৮ বছর বয়সী সেই মহসিন আজ ভালো নেই। পরিণত হয়েছেন মানসিক রোগীতে! দাম্পত্য কলহের পর সংসার ভেঙে যাওয়া, কানাডা থেকে দেশে ফিরে জমি কিনেও সন্ত্রাসীদের কারণে তা দখলে রাখতে না পারা, অসুস্থ হয়ে পড়া, ভুল চিকিৎসার শিকার হওয়া, মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলা, ‘স্মৃতিভ্রংশ’ রোগে আক্রান্ত হওয়া, সবমিলিয়ে এখন রাজধানীর একটি বাসায় অত্যন্ত মানবেতর জীবনযাপন করছেন মহসিন।
আবাহনী, মোহামেডান ও মুক্তিযোদ্ধার হয়ে অধিনায়কত্ব করা তিনটি ক্লাবের হয়েই অসংখ্য শিরোপা জেতা এবং জাতীয় ফুটবল দলের একসময়ের অপরিহার্য এই গোলরক্ষকের এমন অসহায় অবস্থার খবর গণমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর ক্রীড়াঙ্গনে আলোড়ন তুলেছে। মঙ্গলবার পর্যন্ত মহসিনকে আর্থিকভাবে সাহায্য করার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন বাফুফের সভাপতি সালাউদ্দিন এবং বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন।
জানা গেছে ব্যক্তিগতভাবে সালাউদ্দিন মহসিনের হাতে এক লাখ টাকা তুলে দেকেন। পাশাপাশি প্রত্যেক মাসের প্রথম সপ্তাহে মহসিনকে ৫০ হাজার টাকা দেবেন। এদিকে পাপনের নিদের্শে বিসিবি মহসিনের চিকিৎসা খরচ দোর পাশাপাশি তাকে জমি ফিরে পেতে সবরকম আইনি সহায়তাও দেবে বলে জানা গেছে।