ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

আজ জিতলেই শেষ ষোলোতে পর্তুগাল

জিএম মোস্তফা

প্রকাশিত: ০০:৪৬, ২৮ নভেম্বর ২০২২; আপডেট: ১৮:২৮, ২৮ নভেম্বর ২০২২

আজ জিতলেই শেষ ষোলোতে পর্তুগাল

পর্তুগলের বিশ্বখ্যাত ফরোয়ার্ড ক্রিস্টিয়ানো রোনাল্ডো

বিশ্বকাপে দুইবারের চ্যাম্পিয়ন উরুগুয়ে। ১৯৩০ সালে প্রথম আসরেই বাজিমাত করা লাতিন আমেরিকার দেশটি ১৯৫০ সালে জিতে দ্বিতীয় শিরোপা। এরপর আর নিজেদের সেভাবে মেলে ধরতে পারেনি তারা। চলতি বিশ্বকাপেও ফেভারিটের তালিকায় নেই কাভানি-সুয়ারেজরা। প্রথম ম্যাচে দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে গোলশূন্য ড্রয়ের সৌজন্যে কাতার বিশ্বকাপের মিশন শুরু করে দুইবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। তবে ২০২২ বিশ্বকাপে আজই বড় পরীক্ষাটা দিতে হবে উরুগুয়েকে। নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচের প্রতিপক্ষ যে পর্তুগাল। প্রথম ম্যাচে ঘানার বিপক্ষে জয় দিয়েই বিশ্বকাপের শুভ সূচনা করেছে রোনাল্ডো-ফার্নান্দেজরা। আজ জিতলেই শেষ ষোলোর টিকিট নিশ্চিত করবে ফার্নান্দো সান্তোসের দল। তাই উরুগুয়েকে হারিয়ে এক ম্যাচ হাতে রেখেই ‘এইচ’ গ্রুপের বাধা অতিক্রম করতে মরিয়া পর্তুগাল।
শুধু তাই নয়, এই ম্যাচে ফার্নান্দো সান্তোসের শিষ্যদের সামনে প্রতিশোধ নেওয়ারও হাতছানি। কেননা, চার বছর আগে এই উরুগুয়ের কাছে হেরেই যে রাশিয়া বিশ্বকাপের শেষ ষোলো থেকে বিদায় নিয়েছিল রোনাল্ডোরা। এবার সেই হারের প্রতিশোধ নেওয়ারও সুযোগ পর্তুগালের সামনে। বিশ্বকাপে এবার নিয়ে ৮বার খেলছে পর্তুগাল। কিন্তু দুর্ভাগ্য তাদের। এখন পর্যন্ত শিরোপার স্বাদ পায়নি তারা। বিশ্বমঞ্চে পর্তুগিজদের সেরা সাফল্য সেমিফাইনাল। ১৯৬৬ সালে প্রথমবার বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করেই তৃতীয় স্থানে থেকে প্রতিযোগিতা শেষ করেছিল তারা। ২০০৬ সালের পর থেকে বিশ্বকাপের শেষ ষোলোর বাধাই অতিক্রম করতে পারেনি পর্তুগিজরা। প্রায় দেড় দশক পর এবার এই গ্রুপের শীর্ষে থেকেই পরের রাউন্ডে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে তাদের। সে ক্ষেত্রে শেষ ষোলোতে ‘জি’ গ্রুপের রানার্সআপদের সঙ্গে খেলতে হবে তাদের। যেখানে তাদের প্রতিপক্ষ হতে পারে ব্রাজিল, সুইজার‌্যলান্ড, ক্যামেরুন বা সার্বিয়ার মধ্যে যে কোনো এক দল।
প্রথম বিশ্বকাপের চ্যাম্পিয়ন উরুগুয়ে সর্বশেষ তিন বিশ্বকাপেও ইতিবাচক পারফর্ম করেছে। ২০১০ সালে চতুর্থ হওয়ার পর ২০১৬ বিশ^কাপে শেষ ষোলো এবং চার বছর আগে রাশিয়া বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে খেলেছে লাতিন আমেরিকার দেশটি। বিশ্বকাপে নকআউটপর্বে খেলার অভিজ্ঞতা তাদের বেশ সমৃদ্ধ। এবার সেই অভিজ্ঞতা আগেভাগেই কাজে লাগাতে হচ্ছে লা সেলেস্তেদের। কেননা, এই ম্যাচে হারলেই যে তাদের বেজে যেতে পারে বিদায়ঘণ্টা। এবারের বিশ^কাপে অভিজ্ঞদের ওপরই আস্থা রেখেছে উরুগুয়ে। গোডিন, মার্টিন কাসেরেস, এডিনসন কাভানি এবং লুইস সুয়ারেজ রয়েছেন দলে। তাদের কাঁধে ভর করে আরও একবার শেষ ষোলোতে যাওয়াই এখন উরুগুয়ের সামনে মূল চ্যালেঞ্জ। দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে নিজেদের প্রথম ম্যাচে উরুগুয়ের জয়ের সুযোগ ছিল।

বিশেষ করে দিয়েগো গোডিন আর ফেডেরিকো ভালভার্দে পোস্টে বল না লাগালে ম্যাচের ভাগ্য হয়তো ভিন্ন হতে পারত। দিয়েগো আলোনসোর দল এর আগে কখনই বিশ্বকাপের গ্রুপপর্বের দ্বিতীয় ম্যাচে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নেয়নি। কিন্তু পর্তুগালের বিরুদ্ধে হারলে ঘানার সঙ্গে শেষ ম্যাচের আগে বেশ বিপদেই থাকবে উরুগুয়ে। এই ম্যাচের আগে লা সেলেস্তেদের দলে ইনজুরি নিয়ে খুব একটা চিন্তা নেই। এদিকে, পর্তুগাল শিবিরেও প্রায় একই চিত্র। ঘানার বিপক্ষে জয়ের পর কোনো ইনজুরির খবর নেই দলে। তথাপি দলটির অভিজ্ঞ কোচ সান্তোস পরিবর্তন আনার ইঙ্গিত দিয়েছেন।

উইলিয়াম কারভালহো বদলি নামলে আরও বেশি সরব হয়ে ওঠে। সে কারণেই মধ্যমাঠ সামলানোর দায়িত্ব ওটাভিওর থেকে কালভালহোর ওপর চলে আসতে পারে।
রোনাল্ডোকে সহযোগিতা করতে ব্রুনো ফার্নান্দেস আর হুয়াও ফেলিক্সই মূল দলে থাকছেন। প্রথম ম্যাচে পর্তুগালের জার্সিতে প্রথম পেনাল্টিতে গোল করেন দলের সেরা তারকা সিআর সেভেন। পাঁচ বিশ্বকাপে গোল করার অবিস্মরণীয় এক কীর্তি গড়েন তিনি। সেই ম্যাচের অনেকটা সময়জুড়েই পর্তুগাল ৩-১ গোলে এগিয়ে ছিল।

 

সম্পর্কিত বিষয়:

×