ইগা সুইয়াটেক
পোল্যান্ডের প্রথম প্রমীলা খেলোয়াড় হিসেবে ইউএস ওপেন টেনিসের কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছেন নাম্বার ওয়ান তারকা ইগা সুইয়াটেক। সোমবার রাতে শেষ ষোলোর ম্যাচে সুইয়াটেক পিছিয়ে পড়ার পরও ২-৬, ৬-৪, ৬-০ গেমে হারিয়েছেন র্যাঙ্কিংয়ের ১০৮ নম্বরে থাকা জার্মানির জুলি নেইমিয়ারকে। সেমিফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে সুইয়াটেকের প্রতিপক্ষ অষ্টম বাছাই যুক্তরাষ্ট্রের জেসিকা পেগুলা।
অন্যদিকে টানা দ্বিতীয়বারের মতো ইউএস ওপেনের শেষ আটে উঠেছেন বেলারুশের এরিনা সাবালেঙ্কা। শেষ ষোলোর ম্যাচে বিশ্বের ছয় নম্বর প্রমীলা তারকা ৩-৬, ৬-৩, ৬-২ গেমে হারিয়েছেন ড্যানিয়েল কলিন্সকে। এদিকে ছেলেদের এককে চারবারের ইউএস ওপেন চ্যাম্পিয়ন ও ছেলেদের এককে সর্বোচ্চ গ্রান্ডসøামজয়ী স্প্যানিশ কিংবদন্তি রাফায়েল নাদালকে শেষ ষোলোর ম্যাচে ৬-৪, ৪-৬, ৬-৪, ৬-৩ গেমে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছেন যুক্তরাষ্ট্রের ২৪ বছর বয়সী ফ্রান্সিস টিয়াফো।
ক্যারিয়ারে এর আগে নাদালের বিরুদ্ধে কখনও একটি সেটও জিততে পারেননি। অথচ সেই টিয়াফোই দুর্দান্ত টেনিস খেলেছেন। চলতি বছর গ্রান্ডসøামে ২২ জয়ের বিপরীতে কোনো হার না দেখে টিয়াফোর মুখোমুখি হয়েছিলেন র্যাঙ্কিংয়ে তৃতীয় নাদাল। এর আগে অস্ট্রেলিয়ান ওপেন ও ফরাসী ওপেন জিতলেও চোটের কারণে ইউএস ওপেনের সেমিফাইনাল থেকে সরে দাঁড়ান।
আর্থার এ্যাশ স্টেডিয়ামে জয় নিশ্চিত হওয়ার পর র্যাকেট কোর্টে ছুড়ে মারেন টিয়াফো। নাদালের মতো কিংবদন্তিকে হারানোর উচ্ছ্বাস তখন তার চোখমুখে। দর্শকদের অভিনন্দন জানানো শেষে তোয়ালে দিয়ে মুখ ঢেকে ফেলেন তিনি। বোঝাই যাচ্ছিল, আবেগ ধরে রাখতে পারছেন না। অন্যদিকে নাদালকে দেখে তেমন কিছু বোঝা যায়নি। সম্ভবত বাস্তবতা মেনে নিয়েছেন। অবিশ্বাস্য টেনিস খেলেছি। তবে কী ঘটেছে তা বলতে পারব না।
নাদালকে বিদায় করার পর নিজেকে আর ধরে রাখতে পারেননি টিয়াফো। কোর্টেই কেঁদে ফেলেন। ইউএস ওপেনের কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠার আনন্দে কেঁদেছেন বিষয়টা আসলে তা নয়। ২০১৯ অস্ট্রেলিয়ান ওপেনেও কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছিলেন। তার আনন্দ অশ্রুর কারণ নাদালের মতো কিংবদন্তিকে হারানো। নাদালের চেয়ে বয়সে ১২ বছরের ছোট টিয়াফো মনে করেন, টেনিসের ‘বিগ থ্রির (রজার ফেদেরার, রাফায়েল নাদাল ও নোভাক জোকোভিচ) সময় শেষ হয়ে এসেছে। সময় এখন নিক কিরিওস, কার্লোস আলকারাজ, ইয়ানিক সিনারদের মতো উঠতিদের।
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, নতুন যুগ শুরু হয়েছে। কিরিওস দারুণ খেলছে। আলকারাজও দারুণ। আমিও ভালো খেলছি। সবাই সমর্থন দিচ্ছে। আরও অনেকেই দারুণ টেনিস খেলছে। তাই বিগ থ্রি এখন আর নেই। এটা সম্ভবত বিগ টুয়েলভ হয়ে গেছে। অন্যদিকে হতাশ নাদাল বলেন, টিয়াফোকে স্থানচ্যুত করতে পারিনি। টেনিস তো জায়গা দখলের খেলা।
খুব দ্রুত নড়াচড়া করতে হয়, তরুণ হলে ভালো। আমি এখন সে অবস্থায় নেই। সে আমার চেয়ে ভালো খেলেছে। ২০১৬ সালের পর এই প্রথম ইউএস ওপেন থেকে এত দ্রুত বিদায় নিয়েছেন নাদাল। এর আগে টানা ১৬টি গ্রান্ডসøামে অন্তত কোয়ার্টার ফাইনালে খেলেছেন।