
জিম্বাবুইয়ে থেকে ফিরে বিমানবন্দরে কথা বলছেন এনামুল হক বিজয়
জিম্বাবুইয়েতে দুঃস্বপ্নের একটা সফর শেষ করে শুক্রবার বিকেলে দেশে ফিরেছে বাংলাদেশ দল। অথচ কয়েক বছর ধরে বাংলাদেশ দল যখনই নিজেদের খারাপ সময়ে কাটিয়ে উঠতে চেয়েছে, জিম্বাবুইয়ের সঙ্গে খেলে জিতে অনুপ্রাণিত হয়েছে। অথচ এবার টি২০ ও ওয়ানডে সিরিজে ২-১ ব্যবধানে হার দেখেছে বাংলাদেশ। বিশেষ করে ওয়ানডে দল হিসেবে অপ্রতিরোধ্য হয়ে ওঠা বাংলাদেশের হারটা ছিল অপ্রত্যাশিত এবং চমকে দেয়ার মতো। দীর্ঘদিন পর ওয়ানডে দলে ফিরে সিরিজে দুটি অর্ধশতাধিক রানের ঝড়ো ইনিংস খেলা ওপেনার এনামুল হক বিজয় দাবি করেছেন এমনটাই। এছাড়া তার মনে হয়েছে, এই সিরিজে শতভাগ দিয়ে খেলতে পারেনি বাংলাদেশ। দলের সঙ্গে ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবাল, প্রধান কোচ রাসেল ডোমিঙ্গো, বোলিং কোচ এ্যালান ডোনাল্ড ও স্পিন কোচ রঙ্গনা হেরাথ ফেরেননি। তবে ব্যাটিং কোচ জেমি সিডন্স ও ফিল্ডিং কোচ শন ম্যাকডারমট এসেছেন।
জিম্বাবুইয়ের বিপক্ষে এবারই প্রথম টি২০ সিরিজ হেরেছে বাংলাদেশ। আর ২০১৩ সালের পর এই প্রথম আবার ওয়ানডেতে হারের পাশাপাশি সিরিজও হেরেছে। এ বিষয়ে বিজয় বলেন, ‘অবশ্যই আমরা প্রথম ম্যাচটা হারার পর অনেক বেশি আসলে চমকিত হয়েছি। আমাদের যে আশা ছিল জিম্বাবুইয়েতে আমরা যতটুকু পারফর্ম করব সে অনুযায়ী করতে পারিনি। অবশ্যই আমাদের জন্য একটা খারাপ লাগার বিষয় ছিল।’ বিজয় দাবি করেন ওয়ানডেতে বাংলাদেশ অনেক শক্তিধর দল হলেও এবার শতভাগ দিয়ে খেলতে পারেনি। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এই একটা সিরিজ যে সিরিজে আমাদের শতভাগ দিয়ে খেলতে পারিনি। আসলে ওয়ানডে ক্রিকেট তো আমরা দুই বছর ধরে খুব ভাল খেলছি ধারাবাহিকভাবে। আসলে এটা দুর্ভাগ্যবশত হয়ে গেছে।’ তবে বিজয়ের আশা আবারও নিজেদের ফিরে পাবে বাংলাদেশ। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ দল কিন্তু ওয়ানডেতে অনেক ভাল। আমরা প্রতিটা খেলোয়াড়ই বিশ্বাস করি আমাদের প্রক্রিয়া ঠিক থাকলে আমরা যদি শতভাগ দিয়ে সবাই খেলি ইনশাআল্লাহ যে কোন সিরিজ, যে কোন দলের সঙ্গে জেতা সম্ভব।’ এই সিরিজ দিয়েই প্রায় ৩ বছর পর ওয়ানডে খেলেছেন বিজয় জাতীয় দলের হয়ে। টি২০তে ভাল করতে না পারলেও দুই ওয়ানডেতে ৭৩ ও ৭৬ এবং আরেক ম্যাচে ২০ রান করেছেন। নিজের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘অনেকদিন পর ওয়ানডে দলে এসে খুব এক্সসাইটেড ছিলাম আসলে। অনেক কঠোর পরিশ্রম করেছি, অনেকদিন এরকম সময় পার করেছি।
আসলে ৩ বছর পর যেহেতু আসছি চেষ্টা করেছি যে সুযোগটা কাজে লাগানোর জন্য, আমার প্রক্রিয়াটা ঠিক রাখা। আমার মনে হয় যে প্রতিটি খেলোয়াড়ই চাচ্ছিল যে আমি রান করি। যেহেতু আমি প্রিমিয়ার লীগ বলেন বেশ ভাল খেলে গিয়েছি। প্রতিটা খেলোয়াড়ের কাছ থেকে দারুণ সাপোর্ট পেয়েছি। সবাই আসলে আমাকে ভালমতো গ্রহণ করেছে এবং বুঝতে দেয়নি যে আমি অনেক পর এসেছি।’