
ছবিঃ সংগৃহীত
স্পেনের পুলিশ ধারণা করছে, লিভারপুল ও পর্তুগালের তারকা ফুটবলার দিয়োগো জোটা এবং তার ভাই আন্দ্রে সিলভার মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনার পেছনে মূল কারণ ছিল অতিরিক্ত গতি।
গত সপ্তাহে স্পেনের জামোরা প্রদেশে ঘটে যাওয়া এই দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান ২৮ বছর বয়সী জোটা ও তাঁর ২৫ বছর বয়সী ভাই আন্দ্রে। তারা একটি ল্যাম্বোরগিনি গাড়িতে করে যাত্রা করছিলেন, যা নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তা থেকে ছিটকে পড়ে আগুন ধরে যায়।
মঙ্গলবার (৮ জুলাই) স্পেনের সিভিল গার্ড জানিয়েছে, এখনো তদন্ত শেষ না হলেও প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে, গাড়িটি সড়কে নির্ধারিত সর্বোচ্চ গতি ১২০ কিমি/ঘণ্টা (৭৫ মাইল/ঘণ্টা) এর চেয়ে অনেক বেশি গতিতে চলছিল এবং সম্ভবত একটি চাকা বিস্ফোরিত হয়েছিল।
পুলিশের মুখপাত্র বলেন, “বর্তমানে একটি বিশেষজ্ঞ প্রতিবেদন তৈরি হচ্ছে। এতে গাড়ির চাকায় পড়ে থাকা দাগ বিশ্লেষণ করা হচ্ছে। সব আলামতই অতিরিক্ত গতি এবং নিয়ন্ত্রণ হারানোর দিকেই ইঙ্গিত করছে। প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, গাড়িটি দিয়োগো জোটা নিজেই চালাচ্ছিলেন।”
দুর্ঘটনাটি ঘটে স্পেনের উত্তর-পশ্চিমে A52 মহাসড়কে, যেখানে গাড়িটি রাস্তা ছেড়ে পড়ে যায় এবং মুহূর্তেই আগুন লেগে যায়। ধারণা করা হচ্ছে, জোটা ও তাঁর ভাই সানতান্দার বন্দরের দিকে যাচ্ছিলেন সেখান থেকে ফেরিতে করে ইংল্যান্ডে ফেরার উদ্দেশ্যে। কারণ, সাম্প্রতিক ফুসফুস সংক্রান্ত এক চিকিৎসার কারণে জোটাকে বিমানে ভ্রমণ না করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল।
দুর্ঘটনার ১১ দিন আগে দিয়োগো জোটা তাঁর দীর্ঘদিনের প্রেমিকা রুতে কার্ডোসোর সঙ্গে বিয়ে করেছিলেন।
গত শনিবার জোটা ও তাঁর ভাইয়ের দাফন সম্পন্ন হয় তাদের নিজ শহর গনদোমার, পোর্তোর নিকটবর্তী এক এলাকায়।
জোটা’র মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ লিভারপুল দল কয়েকদিনের জন্য প্রাক-মৌসুম অনুশীলন পিছিয়ে দেয়। মঙ্গলবার থেকে লিভারপুলের খেলোয়াড়েরা পুনরায় অনুশীলনে ফিরতে শুরু করেছেন। মোহাম্মদ সালাহ ও অ্যান্ডি রবার্টসনের মতো সতীর্থরা যারা ইতোমধ্যেই আবেগঘন শ্রদ্ধা নিবেদন করেছিলেন, তারা AXA ট্রেনিং সেন্টারে পৌঁছান নতুন সাইনিং জেরেমি ফ্রিমপংয়ের সঙ্গে। ট্রেনিং গ্রাউন্ডের খেলোয়াড় প্রবেশদ্বারের কাছে জোটার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ফুল ও বার্তা রাখা হয়েছে।
পুরো স্কোয়াড বৃহস্পতিবারের আগে একত্রিত হবে না বলে জানা গেছে। লিভারপুল আগামী রোববার প্রেস্টনের বিপক্ষে তাদের প্রথম প্রীতি ম্যাচ খেলবে।
সূত্রঃ দ্যা গার্ডিয়ান
ইমরান