মাহমুদুল্লাহ
টি২০ ক্রিকেটে একটানা হারের মধ্যেই আছে বাংলাদেশ দল। সর্বশেষ ১২ টি২০ ম্যাচে মাত্র ১টি জয় পেয়েছে তারা। আর এই ১২ ম্যাচে অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের ব্যাটিং ব্যর্থতা চোখে পড়ার মতো। দেশের অন্যতম টি২০ ‘স্পেশালিস্ট’ হওয়াতেই মাহমুদুল্লাহ নেতৃত্ব পেয়েছেন দলের। কিন্তু সর্বশেষ ১২ ম্যাচে তার নেই ফিফটি কিংবা বড় কোন ইনিংস। এই ১২ ম্যাচে তিনি রান করেছেন ১৬.০০ গড়ে ১৬০ রান। হারের ধারা বজায় রেখে তার ধারাবাহিক ‘ব্যর্থ’ নেতৃত্বে স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টি২০ ম্যাচেও ৩৫ রানে হেরেছে বাংলাদেশ।
ব্যর্থ মাহমুদুল্লাহ ব্যাট হাতে ঘুরে দাঁড়ালে হয়তো বাংলাদেশ দলও এই ফরমেটে ঘুরে দাঁড়াতে সক্ষম হবে। অবশ্য মাহমুদুল্লাহ দলগত প্রচেষ্টায় ঘুরে দাঁড়ানোর আশাবাদ জানিয়েছেন। দ্বিতীয় টি২০ ম্যাচে অন্য বোলাররা যখন বেদম পিটুনি খেয়েছেন তখন মোসাদ্দেক হোসেক সৈকত ১৩তম ওভারে মেডেন দিয়ে ভেঙ্গেছেন ৭৪ রানের তৃতীয় উইকেট জুটি। এরপরও আর বোলিং দেয়া হয়নি তাকে, এর ব্যাখ্যায় মাহমুদুল্লাহর দাবি ডানহাতি ব্যাটাররা উইকেটে থাকাতেই আর বোলিং পাননি মোসাদ্দেক!
সর্বশেষ ১২ ম্যাচে মাহমুদুল্লাহ ২ বার মাত্র ২০ রানের বেশি করতে পেরেছেন। ব্যর্থতা কাটাতে রবিবার সিরিজের দ্বিতীয় টি২০ ম্যাচে একধাপ এগিয়ে ৪ নম্বরে নেমেও ১১ রানেই সাজঘরে ফিরেছেন মাহমুদুল্লাহ। দলও হেরেছে গত ১২ ম্যাচে ১০ম বারের মতো। দলের ব্যর্থতা নিয়ে তিনি বলেছেন, ‘মনোযোগটা ম্যাচ জয়ের দিকে। আমরা যেমন দল, আমাদের দলগতভাবে অনেক ভাল করতে হবে। ছোট ছোট প্রতিটা জায়গায় যার যার ভূমিকা পালন করতে হবে।
তাহলে আমরা দল হিসেবে ভাল পারফর্ম করতে পারি। বলছি না আমরা পারব না। তবে শুরুটা ভাল হলে বাড়তি সুবিধা দেয়, যেটা আমরা গত অনেক ম্যাচ ধরে সংগ্রাম করছি।’ এই ম্যাচে সবচেয়ে আলোচিত ছিল পেসারদের অগোছালো, অনিয়ন্ত্রিত বোলিং। তাসকিন আহমেদ ৩ ওভারে ৪৬, শরিফুল ইসলাম ৪ ওভারে ৪০ আর মুস্তাফিজুর রহমান ৪ ওভারে ৩৭ রান দিয়েছেন। ৩ পেসারে ১১ ওভারে ১২৩ রান দেয়াতেই বড় সংগ্রহ পায় উইন্ডিজ। এ নিয়ে মাহমুদুল্লাহ বলেন, ‘আমরা বোলিংয়ে আর কিছু রান যদি কম দিতে পারতাম... আমরা ১৫৮ রান করেছি। আরও ১০-১৫ রান করতে পারতাম। টার্গেটটা যদি একটু ছোট হতো তাহলে একটু ভাল হতো।’
পেসাররা যখন বেদম পিটুনি খেয়েছেন এবং স্পিনাররা ভাল করছেন তখন মোসাদ্দেক ১৩তম ওভারে বোলিংয়ে এসে মেডেনসহ নিকোলাস পুরানের উইকেট নিয়ে ৭৪ রানের তৃতীয় উইকেট জুটি ভাঙ্গেন। তবুও পরবর্তীতে বোলিং করেননি মোসাদ্দেক। এ বিষয়ে মাহমুদুল্লাহ বলেন, ‘মোসাদ্দেককে আমি অবশ্যই বোলিং করাতাম। কিন্তু রোভম্যান পাওয়েল ছিল, ক্রিজের দুইজনই তখন ডানহাতি ব্যাটার (আরেকজন ব্র্যান্ডন কিং)। আর ওপাশটা একটু ছোটও ছিল।
এজন্য আমি ঝুঁকি নেইনি, তাসকিনকে বোলিংয়ে আনি আর ঐপাশ থেকে সাকিব বোলিং করছিল।’ বোলিংয়ে অন্যতম ভরসা মুস্তাফিজ একেবারেই ভাল করেননি। আবার ফর্মে থাকা লিটন দাস এদিনও ব্যর্থ হয়েছেন ওপেনিংয়ে নেমে।