নিজস্ব সংবাদদাতা, পটুয়াখালী, ২৩ অক্টোবর ॥ আসনের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পটুয়াখালী-১ প্রচার বেশ জোরেশোরে শুরু হয়েছে। কিন্তু আমেজ নেই। প্রার্থী-সমর্থকরা সবাই এ আসনে প্রার্থী নির্বাচনের বিষয়ে শঙ্কিত। নৌকা না মহাজোটের প্রার্থী হচ্ছে, এমন আতঙ্কে পেয়ে বসেছে প্রার্থী সমর্থকদের। যে কারণে কেউই উজ্জীবিত নন। তাই উজ্জীবিত করা যাচ্ছে না আওয়ামী লীগের তৃণমূলের নেতাকর্মীদের। এ অবস্থার মধ্য দিয়ে নির্বাচনের আগের সময় পার করছে আওয়ামী লীগ। আর এমন পরিস্থিতির সুযোগ নিতে চাচ্ছে বিএনপি। যদিও মনোনয়নপ্রত্যাশীরা নিজ নিজ নেতাকর্মীকে চাঙ্গা করতে পটুয়াখালীতে আওয়ামী লীগ শুরু করেছে গণসংযোগ ও প্রচার কর্মসূচী। সাধারণ ভোটারদের মধ্যে নানা বিশ্লেষণে নির্বাচন নিয়ে উচ্ছ্বাস থাকলে, রয়েছে শঙ্কাও।
পটুয়াখালী সদর-দুমকি-মির্জাগঞ্জ এ তিন উপজেলা নিয়ে গঠিত পটুয়াখালী-১ আসন। নিরপেক্ষ নির্বাচন যতবার হয়েছে, ততবারই আসটিতে আওয়ামী লীগ জয় পেয়েছে। আসনটিতে গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মহাজোট থেকে মনোনয়ন দেয় হয় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক ধর্ম প্রতিমন্ত্রী আলহাজ এ্যাডভোকেট মোঃ শাহজাহান মিয়াকে। অপরদিকে মহাজোটের অন্যতম শরিক জাতীয় পার্টি মনোনয়ন দেয় পার্টির মহাসচিব এ বি এম রুহুল আমীন হাওলাদারকে। মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী শাহজাহান মিয়া তার মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেন কেন্দ্রীয় নির্দেশে। আর আওয়ামী লীগের কাঁধে ভর করে তাদের সমর্থন নিয়ে নির্বাচিত হন জাতীয় পার্টির মহাসচিব রুহুল আমীন হাওলাদার। গত পাঁচ বছরে যেখানে সরকারের গতানুগতিক উন্নয়ন ছাড়া, উল্লেখ করারমত তার কোন কার্যক্রম ছিল না। যে কারণে আসনটির অভ্যন্তরীণ যোগাযোগের সড়কের চরম বেহাল অবস্থা। গ্রামীণ অবকাঠামো কালভার্ট, ব্রিজ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ধর্মীয় উপাসনালয়সহ কোথাও উন্নয়নের কোন ছাপ নেই। আর উন্নয়ন বিহীন এ সব এলাকার তৃণমূলের মানুষের কাছে জবাবদিহিতা করতে হচ্ছে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের। অপরদিকে প্রশাসনের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সভায় রুহুল আমীন হাওলাদার অনুপস্থিত থেকেছেন ধারাবাহিকভাবে।
এ সময়ে হাতেগোনা কয়েকবার হেলিকপ্টারে এসেছেন পটুয়াখালী। সব মিলিয়ে নিজ দলের নেতাকর্মীসহ এলাকার জনগণের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন ছিলেন এই নেতা রুহুল আমীন হাওলাদার। মোটাদাগে বলতে গেলে গত পাচ বছর পটুয়াখালী-১ আসনটি ছিল অভিভাবক শূন্য। এরপরেও তিনি এ আসনে মনোনয়ন চাইবেন।