
ছবি: জনকণ্ঠ
জাতীয় নাগরিক পার্টি- এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, এটা হাসিনার বাংলাদেশ নয়। এটা গণঅভ্যুত্থান করে ছাত্র-জনতার বাংলাদেশ, বাংলাদেশ পন্থীদের হাতেই বাংলাদেশ চলবে, ফলে যেকোনো মূল্যে আমরা সীমান্ত হত্যা বন্ধ করবো।
দলটির উত্তরবংগ পদযাত্রার অংশ হিসেবে আজ শুক্রবার দুপুরে ঠাকুরগাঁও শহরের পুরাতন বাসস্ট্যান্ড গোলচত্বর এলাকায় আয়োজিত এক পথসভায় এ কথা বলেন । এসময় এনসিপির কেন্দ্রীয় অন্যান্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
নাহিদ ইসলাম আরও বলেন, ঠাকুরগাওসহ উত্তরাঞ্চলের অবহেলিত জেলাগুলো রয়েছে সেখানে কোনো আঞ্চলিক বৈষম্য থাকবে না, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কর্মসংস্থান এবং তথ্য প্রযুক্তি ও যোগাযোগ ক্ষেত্রে উন্নয়ন প্রয়োজন, এ উন্নয়ন শুধু ঢাকার উন্নয়ন হবেনা, বরং প্রান্তের জেলাসহ সকল জেলার যেদিন উন্নয়ন হবে সেদিনই প্রকৃত উন্নয়ন হয়েছে বলে আমরা প্রমাণ করে দিব ।
সমাবেশে এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেন বলেন, ঠাকুরগাঁও অঞ্চল দীর্ঘদিন ধরে উন্নয়ন বৈষম্যের শিকার। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, শ্রম—সবক্ষেত্রেই এখানে উপেক্ষা চলছে।কৃষকরা ন্যায্য মূল্য পায় না, শ্রমিকরা পায় না তাদের ন্যায্য মজুরি। বাজেট বরাদ্দেও ঠাকুরগাঁওকে উপেক্ষা করা হয়।
সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন, এনসিপির উত্তরাঞ্চলীয় মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, দলটির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ, সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব ডাঃ তাসনীম জারা, মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন, সিনিয়র যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসউদ, এনসিপি নেতা রফিকুল ইসলাম কনক, আব্দুল মুনীম, যুগ্ম মুখ্য সংগঠক আসাদুল্লাহ গালিব, শ্রমিক উইং নেতা আকিব উদ্দিন ও যুগ্ম মুখ্য সংগঠক সাদিয়া ফারজানা দিনাসহ অন্যান্যরা।
পরে তারা ঠাকুরগাও শরের মডেল মসজিদে জুম্মার নামাজ আদায় করে জেলার পীরগঞ্জ উপজেলা ও দিনাজপুরের উদ্দেশ্যে রওনা দেন।
ছামিয়া