ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১২ জুলাই ২০২৫, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২

চ্যাটজিপিটিতে তথ্য দেওয়ার সময় যেসব ভুলে বিপদ হতে পারে

প্রকাশিত: ১৩:৫০, ১০ জুলাই ২০২৫

চ্যাটজিপিটিতে তথ্য দেওয়ার সময় যেসব ভুলে বিপদ হতে পারে

ছবি: সংগৃহীত

বর্তমানে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক চ্যাটবট ‘চ্যাটজিপিটি’ ব্যবহারকারীদের নানা কাজে সহযোগিতা করছে। ব্যক্তিগত, শিক্ষাগত, পেশাগত এমনকি চিকিৎসা-সংক্রান্ত তথ্য জানতেও মানুষ চ্যাটজিপিটির সাহায্য নিচ্ছেন। তবে এই প্রযুক্তির ব্যবহার করতে গিয়ে কিছু সাধারণ ভুল অনেক সময় বড় বিপদের কারণ হতে পারে।

১. ব্যক্তিগত তথ্য শেয়ার করা:

চ্যাটজিপিটিতে নিজের এনআইডি নম্বর, ঠিকানা, ফোন নম্বর বা ব্যাংক সংক্রান্ত তথ্য দেওয়া বিপজ্জনক হতে পারে। চ্যাটবট নিরাপদ হলেও এই তথ্য সংরক্ষণ বা ব্যবহারের কোনো নিশ্চয়তা নেই। ফলে সাইবার অপরাধীরা এসব তথ্যের অপব্যবহার করতে পারে।

২. ভুল তথ্যের উপর নির্ভরতা:

অনেক সময় চ্যাটজিপিটি ভুল বা অসত্য তথ্য দিতে পারে। বিশেষ করে স্বাস্থ্য, আইন বা বৈজ্ঞানিক বিষয়ে দেওয়া তথ্য যাচাই ছাড়া ব্যবহার করলে বিপদ ডেকে আনতে পারে। তাই এসব বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।

৩. পাসওয়ার্ড বা লগইন তথ্য জানানো:

অনেকে অজান্তেই চ্যাটজিপিটিতে নিজের ইমেইল, ফেসবুক বা অন্যান্য অ্যাকাউন্টের লগইন তথ্য শেয়ার করে থাকেন। এটি একটি বড় নিরাপত্তাজনিত ভুল।

৪. ভুল উপস্থাপনায় আইনগত জটিলতা:

কেউ কেউ চ্যাটজিপিটির সহায়তায় রিপোর্ট, চিঠি বা চুক্তিপত্র তৈরি করে থাকেন। কিন্তু ভুল শব্দচয়ন বা তথ্য উপস্থাপন আইনি জটিলতায় ফেলতে পারে। তাই চ্যাটজিপিটির তৈরি কোনো অফিসিয়াল ডকুমেন্ট ব্যবহার করার আগে একজন মানব সম্পাদক বা আইন বিশেষজ্ঞের চেক করা উচিত।

৫. মিথ্যা বা বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানো:

কেউ যদি চ্যাটজিপিটির ভুল তথ্য যাচাই না করে সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার করে, তাহলে তা গুজব বা বিভ্রান্তির কারণ হতে পারে। এর ফলে সামাজিক অস্থিরতা কিংবা আইনশৃঙ্খলা সমস্যা তৈরি হতে পারে।

সতর্ক থাকার পরামর্শ:

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চ্যাটজিপিটি একটি শক্তিশালী টুল হলেও এটি মানব প্রতিস্থাপন নয়। এর দেওয়া প্রতিটি তথ্যকে যাচাই করে ব্যবহার করাই বুদ্ধিমানের কাজ। প্রযুক্তিকে বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে ব্যবহার করলেই তা উপকার বয়ে আনবে, না হলে উল্টো বিপদ ডেকে আনতে পারে।

আসিফ

×