.
সকলপ্রকার ভেদাভেদ ভুলে অসাধারণভাবে ঐক্যবদ্ধ পুরো দেশ। সরকারের পাশাপাশি প্রতিটি মানুষ স্ব-স্ব অবস্থান থেকে সামর্থ্য অনুযায়ী এগিয়ে আসছেন। বন্যাদুর্গত মানুষদের সহায়তায় নীরবে কাজ করে যাচ্ছে দেশের আইসিটি খাতের সংগঠন ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান।
ই-ক্যাব
ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে ২২ ও ২৩ আগস্ট মিলিয়ে ৬টি স্পিডবোট ও ৩টি টলার নিয়ে দুর্ঘটনার রাতেই ফেনীর ফুলগাজী, পরশুরামে কার্যক্রম চালিয়েছে ই-ক্যাব প্রতিনিধিরা। ফেনীর ফুলগাজী, পরশুরাম, সোনাগাজী, নোয়াখালী ও কুমিল্লায় ছয় দিনে মোট ১৪ হাজার ৮০০ প্যাকেট ত্রাণ সরবরাহ করেছে তারা। এর মধ্যে নোয়াখালীতে ৪ হাজার, ফেনীতে ৭৭০০ প্যাকেট, কুমিল্লায় ২২০০ প্যাকেট, চৌদ্দগ্রামে ১০০০ প্যাকেট ত্রাণসামগ্রীয় দিয়েছে।
বেসিস
বন্যাকবলিত এলাকায় বিগত ১৯০০ পরিবারের জন্য খাবার প্যাকেট ও ৪০০ পানির জার সরবরাহ করেছে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস)। দুর্গতদের জন্য এ সহায়তাগুলো দেওয়া হয়েছে বৈষম্যবিরোধী ত্রাণ কর্মসূচি, সেনাবাহিনী, আস্সুন্নাহ ও মাস্তুল ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে।
বাক্কো
ফেনী, কুমিল্লা ও নোয়াখালীসহ বিভিন্ন অঞ্চলে বন্যার্তদের কঠিন সময়ে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিতে তিন দিন সেনাবাহিনী, বিমানবাহিনী ও ফেনীর ত্রাণ সমন্বয়কদের কাছে শুকনা খাবার ও প্রয়োজনীয় ওষুধ সরবরাহ করেছে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব কনট্যাক্ট সেন্টার অ্যান্ড আউটসোর্সিং (বাক্কো)। বাক্কো জানিয়েছে, সব সদস্যের সহযোগিতায় বন্যার্তদের পাশে দাঁড়াতে মোট ৩০০টি পরিবারের জন্য প্রয়োজনীয় ত্রাণসামগ্রী হিসেবে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য ওষুধ, বিশুদ্ধ পানি, শুকনা খাবার।
ফ্রিল্যান্সার
দেশের এ ক্রান্তিলগ্নে মানবিক সহায়তা দিতে এগিয়ে এসেছেন ফ্রিল্যান্সাররাও। তাদের অনেকে ব্যক্তিগতভাবে বিভিন্ন দাতব্য সংস্থায় সাধ্যমতো দান করেছেন। আবার কয়েকজন মিলে দল করে শুকনো খাবার, পানিসহ প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনে ছুটে গেছেন বন্যাকবলিত এলাকায়। ফ্রিল্যান্সার এবং কোডম্যান বিডির কর্ণধার মিনহাজুল আসিফ তার টিমের সদস্য এবং মেন্টরদের সঙ্গে মিলে বন্যাকবলিত এলাকায় মুড়ি, চিড়া, বিস্কুট, খেজুর, স্যালাইন, গুড় এবং বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা করেছিলেন। চট্টগ্রামের মীরসরাই এলাকায় দুর্গত ৫০০ পরিবারে এসব পণ্য পাঠিয়েছেন তারা। পানি কমে যাওয়ার পর আসিফ তার দল নিয়ে একই এলাকায় ত্রাণ কর্মসূচি চলমান রাখবেন বলে জানিয়েছেন।