ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

যান্ত্রিক ত্রুটিতে স্থগিত নাসার চন্দ্রাভিযান

প্রকাশিত: ২১:৫১, ২৯ আগস্ট ২০২২

যান্ত্রিক ত্রুটিতে স্থগিত নাসার চন্দ্রাভিযান

রকেট

রকেটে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেওয়ায় স্থগিত করা মানুষকে চাঁদে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া বিষয়ক নাসার প্রকল্প আর্টেমিসের স্পেস লঞ্চ সিস্টেমের (এসএলএস) উৎক্ষেপণ।

যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে সোমবার স্থানীয় সময় সকাল ৮টা ৩৩ মিনিটে (বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৬টা ৩৩ মিনিট) এই রকেটটি উৎক্ষেপণের কথা ছিল।

কিন্তু উৎক্ষেপণের ঘণ্টা দুই আগে রকেটটির ইঞ্জিন থেকে জ্বালানি লিকেজ সংক্রান্ত সমস্যা শনাক্ত হওয়ার পর উৎক্ষেপণ বাতিল করে নাসা কর্তৃপক্ষ।

১৯৫৮ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে এ পর্যন্ত মহাকাশে যত রকেট পাঠিয়েছে নাসা, সেসবের মধ্যে এসএলএস রকেটটি সর্ববৃহৎ ও সবচেয়ে শক্তিশালী। রকেটটির ইঞ্জিনের আয়তনই ১০০ মিটার।

এর আগে নাসার কর্মকর্তারা জানিয়েছিলেন, এতে মূল প্রযুক্তিগত কোনো ত্রুটি নেই।

“পর্যালোচনা থেকে আমরা কোনো নেতিবাচক ফলাফল পাইনি। এবং এ নিয়ে আমাদের মধ্যে কোনো ভিন্নমতও তৈরি হয়নি,” বলেছিলেন নাসার এক্সপ্লোরেশন সিস্টেমস ডেভেলপমেন্টের সহযোগী প্রশাসক জিম ফ্রি।

এই রকেট একটি ক্যাপসুল বহন করবে। এই ক্যাপসুলের নাম ওরাইয়ন। এই ওরাইয়ন চাঁদের চারপাশে পরিভ্রমণ করবে। তবে এই যাত্রায় কোনো মানুষ থাকবে না। যদি সবকিছু পরিকল্পনামাফিক চলে পরবর্তী মিশনগুলোতে মহাকাশচারীরা যোগ দেবেন। যাত্রা শুরুর পর যানটি দু'ঘণ্টার মধ্যে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল ত্যাগ করবে।

চাঁদে মানুষ প্রথমবারের মতো পা রাখে ১৯৬৯ সালে অ্যাপোলো-১১ রকেটে চড়ে। ওই ঘটনার অর্ধ শতাব্দী পরের এই উৎক্ষেপণ নাসার জন্য একটি বড় ঘটনা হতে যাচ্ছে।

নাসা প্রতিশ্রুতি দিয়েছে যে তারা তাদের নতুন প্রযুক্তি 'আর্টেমিস প্রোগ্রাম' নিয়ে ফিরে আসছে যার প্রযুক্তি আধুনিক যুগকে সমৃদ্ধশালী করবে।

এই চন্দ্রাভিযানকে নাসা মঙ্গল গ্রহে যাওয়ার একটা প্রস্তুতি হিসেবে দেখছে। তারা আশা করছে, ২০৩০ সাল নাগাদ বা তার পরপরই তারা মহাকাশচারীদের মঙ্গল গ্রহে পাঠাবে।

এসএলএস এবং ওরাইয়ন তৈরি করা হয়েছে এক দশক ধরে। এই পর্যায়ে পৌঁছুতে প্রতিটির খরচ পড়েছে ২০ বিলিয়ন ডলার। ওরাইয়নকে এর আগে ২০১৪ সালে মাত্র একবারের জন্য পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের কাছাকাছি উৎক্ষেপণ করা হয়েছিল।

 

×