ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ০৬ জুলাই ২০২৫, ২২ আষাঢ় ১৪৩২

হুসাইন (রাঃ) এর শাহাদাতের পর শোক পালনের বিধান সম্পর্কে ইসলাম কী বলে?

প্রকাশিত: ১৯:০৭, ৫ জুলাই ২০২৫; আপডেট: ১৯:০৯, ৫ জুলাই ২০২৫

হুসাইন (রাঃ) এর শাহাদাতের পর শোক পালনের বিধান সম্পর্কে ইসলাম কী বলে?

ছবি: সংগৃহীত।

হযরত হোসাইন (রা.) এর হৃদয়বিদারক শাহাদাত মুসলিম উম্মাহর জন্য একটি বেদনাদায়ক অধ্যায়। তবে এই শাহাদাত উপলক্ষে প্রতিবছর আনুষ্ঠানিক শোক পালন, তাজিয়া মিছিল, মাতম বা শরীরকে আঘাত করার মতো যেসব কার্যক্রম বিভিন্ন স্থানে পালিত হয়, তার কোনটাই ইসলামের স্বীকৃত নয় বলে মন্তব্য করেছেন শায়খ আহমাদুল্লাহ।

সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টকশোতে তিনি এ বিষয়ে বিস্তারিত বক্তব্য রাখেন।

উপস্থাপক তাকে প্রশ্ন করেন, “হোসাইন (রাঃ) এর শাহাদাত আমাদের হৃদয়কে বিদীর্ণ করে। কিন্তু তার পরবর্তী জীবিত সাহাবীরা যেমন আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস, ইবনে মাসউদ বা ইবনে ওমর (রাঃ) — কেউই তো প্রতি বছর শোক পালন করেননি। তাহলে বর্তমানে আমরা যেভাবে শোক পালন করি, সেটা ইসলামের দৃষ্টিতে কতটা গ্রহণযোগ্য?”

জবাবে শায়খ আহমাদুল্লাহ বলেন— “হোসাইন (রাঃ) শুধু নন, যেকোনো নির্মম ঘটনা বা হত্যাকাণ্ডে শোকার্ত হওয়া স্বাভাবিক। কিন্তু তার মানে এই নয় যে আমরা সেটা নিয়ে বছর বছর শোক পালনের মতো আনুষ্ঠানিকতায় যাবো। নবী করীম (সা.)-এর নির্দেশ অনুযায়ী, তিন দিনের বেশি শোক পালনের কোনো অনুমতি ইসলামে নেই। এমনকি নবীজির মৃত্যুর পরেও সাহাবারা কোনো বার্ষিক শোক অনুষ্ঠান পালন করেননি।”

শায়খ আহমাদুল্লাহ আরও বলেন, “আল্লাহর রাসূল (সা.) পরিষ্কারভাবে বলে গেছেন—মৃত্যুতে চিৎকার করা, গায়ে আঘাত করা, শরীর রক্তাক্ত করা হারাম। আজকাল তাজিয়া মিছিল, মাতম করা, রাস্তাঘাট বন্ধ করে যে আয়োজন করা হয়, এগুলো ইসলামের নামে অপসংস্কৃতি এবং বিদআত।”

তিনি আহ্বান জানান, “আমরা যেন হোসাইন (রাঃ)–এর জীবনের শিক্ষা গ্রহণ করি, তার ত্যাগ, সাহসিকতা ও সত্য প্রতিষ্ঠার সংগ্রামকে অনুসরণ করি। শোক নয়, তাঁর আদর্শের অনুসরণই হোক আমাদের পথ।”

নুসরাত

×