ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ০৩ জুলাই ২০২৫, ১৯ আষাঢ় ১৪৩২

নবীজি যেসব খাবার পছন্দ করতেন না

প্রকাশিত: ২০:২৯, ২ জুলাই ২০২৫

নবীজি যেসব খাবার পছন্দ করতেন না

ছবি: সংগৃহীত

মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রতিটি অভ্যাস ও জীবনাচার তাঁর উম্মতের জন্য অনুসরণীয়। তাঁর জীবনযাপন ছিল পরিপূর্ণ স্বাস্থ্যসম্মত, যার অনেক দিক আজকের আধুনিক চিকিৎসা ও স্বাস্থ্যবিজ্ঞানের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। হালাল হলেও কোনো খাবার যদি নিজে বা অন্যের জন্য কষ্টদায়ক হয়, তিনি তা পরিহার করতেন এবং উম্মতদেরও এমনটি করতে নির্দেশ দিতেন।

 

 

খাবার গ্রহণে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ছিল ব্যতিক্রমী এক নীতি। আবু হুরায়রা (রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু) বর্ণনা করেন, নবীজি কোনো খাবার পছন্দ না করলে তা খেতেন না, আবার অপছন্দনীয় বলে সমালোচনাও করতেন না। ভালো লাগলে খেতেন, না লাগলে রেখে দিতেন।

তিনি বলেন, "মুমিন একটি অন্ত্রে খাবার খায়, আর কাফের খায় সাতটি অন্ত্রে।"—এই হাদিস থেকে স্পষ্ট হয়, নবীজি অতি আহার থেকে বিরত থাকার শিক্ষা দিয়েছেন, যা সুস্বাস্থ্যের অন্যতম মূলনীতি।

 

আধুনিক বিজ্ঞান প্রমাণ করেছে যে অতিরিক্ত গরম খাবার স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলতেন, "গরম খাবারে বরকত নেই। নিশ্চয়ই আল্লাহ আমাদের আগুন খাওয়াননি।" তাই তিনি গরম খাবার ঠান্ডা হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতেন।

কাঁচা রসুন-পেঁয়াজ প্রসঙ্গে তিনি বলেছিলেন—“যে ব্যক্তি কাঁচা রসুন বা পেঁয়াজ খেয়েছে, সে যেন মসজিদের নিকটেও না আসে।” কারণ মানুষ যেমন দুর্গন্ধে কষ্ট পায়, ফেরেশতারাও কষ্ট পায়। রান্না করা বা গন্ধমুক্ত অবস্থায় এগুলো গ্রহণে সমস্যা নেই, কিন্তু কাঁচা অবস্থায় তা খেয়ে মসজিদে যাওয়া তিনি স্পষ্টভাবে নিরুৎসাহিত করেছেন।

একবার সাহাবী খালিদ বিন ওয়ালিদ (রাদিয়াল্লাহু আনহু) নবীজিকে "দব্ব" (এক ধরনের মরুভূমির প্রাণী) সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে, তিনি বলেন, “এটি আমার অঞ্চলের নয়, তাই আমি এটি পছন্দ করি না।” যদিও এটি হারাম নয়, তবুও নিজের অনিচ্ছার কারণে তিনি তা থেকে বিরত ছিলেন। তবে হানাফি মাজহাব মতে দব্ব খাওয়া বৈধ নয় বলে অভিমত রয়েছে।
 

ছামিয়া

×