
বাংলাদেশের রাজনীতির বর্তমান অবস্থা নিয়ে আলোচিত এক টকশোতে মুখ্য অতিথি ডা. সায়ন্থ তীব্র প্রশ্ন তুলেছেন—“বেগমপাড়ার বেগমদের সাহেবরা কোথায় লুকিয়ে আছেন?” তিনি অভিযোগ তুলে ধরেন, ছাত্রলীগের কর্মীরা বিমানবন্দরে গিয়ে ফেসবুকে হেলথ চেক-আপের কথা ঘোষণা করে ব্যাংকক যাচ্ছেন, অথচ দেশে দীর্ঘদিন ডাক্তারি করেও কেউ পরামর্শ, চেক-আপ বা চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে পারছেন না।
ডা. সায়ন্থ বলেন, “এমন একজন দুর্নীতিবাজ দেখান, যার লুটপাটের টাকা উদ্ধার করা গেছে। এই চোরগুলোকে যদি দৃষ্টান্তমূলকভাবে গ্রেফতার করা যায়, তাহলে মনে একটা শান্তি পাওয়ার মতো হতো।” তিনি আরও প্রশ্ন করেন, “কিন্তু আমরা বেগমপাড়ার কোন এক বেগমকে দেখতে পাচ্ছি না, বা তার সাহেবরা কোথায় লুকিয়ে আছে, সেটিও জানতে পারলাম না।”
অতীতে স্নায়ুযুদ্ধ ও অর্থনৈতিক বৈষম্যের প্রসঙ্গেও তিনি মন্তব্য করেন, “দেশের অর্থনীতির পরিমাণ যেমন বড় হয়েছে, তেমনি বৈষম্যটাও বেড়ে গেছে। যারা শোষিতদের আরও বেশি শোষণ করেছে, তাদের মুখোশ এখনো খোলে নি।”
ডা. সায়ন্থ বলেন, “রাষ্ট্র ব্যবস্থা না নিলে এই প্রক্রিয়া চলতেই থাকবে।” তিনি প্রকাশ্যে অভিযোগ করেন, “যেই আদালত এখন খালেদা জিয়াকে নির্দোষ ঘোষণা করছে, সেই একই আদালত ১০ বছর আগে তাকে সাজা দিয়েছিল। তাহলে যারা সেই রায় দিয়েছেন, তারাও তো অপরাধ করেছেন—তাদের বিরুদ্ধে কেন কোনো ব্যবস্থা হচ্ছে না?”
এতে শুরু হয় টকশোর আলোচনা রাজনীতিবিদ, আইনজীবী ও শিক্ষার্থীরা ব্যাখ্যা করেন, “বিচারের স্বাধীনতা এবং সময়োপযোগী তদন্ত ছাড়া এ ধরনের ঐক্যবদ্ধ চক্র ভেঙে ফেলা কঠিন।”
এই বক্তব্য যেন দেশের গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নগুলোর দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করছে—দুর্নীতিবোধ ও রাজনৈতিক ক্ষমতা সংক্রান্ত অনিয়ম, বিচার ব্যবস্থার নিরপেক্ষতা, ও শিক্ষা-স্বাস্থ্য ব্যবস্থার অধঃপতন। ডা. সায়ন্থের প্রশ্নগুলো এখন রেগে ওঠা হয়ে উঠেছে রাজনীতিবিদ ও প্রশাসন উভয়ের জন্য।
Jahan