ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ২৬ জানুয়ারি ২০২৫, ১২ মাঘ ১৪৩১

হাসিনা-কাদেরেসহ হত্যা মামলার আসামি বগুড়ার ৫৫ প্রভাবশালী

প্রকাশিত: ০০:১২, ৯ ডিসেম্বর ২০২৪

হাসিনা-কাদেরেসহ হত্যা মামলার আসামি বগুড়ার ৫৫ প্রভাবশালী

ছবি:সংগৃহিত

রাজধানী ঢাকার উত্তরায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে মো. আলী হোসেন (৪৪) নামের এক ব্যক্তি পুলিশের  গুলিতে নিহত হয়েছিল। এই ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ বগুড়ার ৫৫ প্রভাবশালীর বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। 

আজ রোববার (৮ ডিসেম্বর) দুপুরে নিহত আলী হোসেনের আত্মীয় মো. মফিজুল ইসলাম সানা ঢাকার চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিষ্ট্রেট (উত্তরা পূর্ব) আমলী আদালতে এ হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এই মামলায় আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীসহ ১৮৯ জনকে আসামি করা হয়। তাদের মধ্যে বগুড়া জেলার ৫৫ প্রভাবশালীর নাম রয়েছে। মামলায় আরও ৭০০ থেকে ৮০০ জনকে অজ্ঞাত হিসেবে আসামি করা হয়েছে। 

আসামিদের মধ্যে বগুড়া জেলার যারা রয়েছেন- বগুড়া-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সাহাদারা মান্নান (মামলা নং ১৫), আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্যবিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য কে এস এম মোস্তাফিজুর রহমান, আওয়ামী লীগ নেতা হাসান আলী আলাল (মামলা নং ২৭),স্বেচ্চাসেবক লীগ নেতা মাহফুজুল ইসলাম রাজ (মামলা নং ২৪),আওয়ামী লীগ নেতা মাসুদুর রহমান মিলন (মামলা নং ১৭),আওয়ামী লীগ নেত্রী মাহফুজা খানম লিপি (মামলা নং ৫৮),আওয়ামী লীগ নেতা সারজিল আহম্মেদ টিপু (মামলা নং ৬০), সদর উপজেলা যুবলীগের সাবেক সহ সভাপতি আমিনুল ইসলাম (মামলা নং ৩০), বিউটি বেগম (মামলা নং ৩৬),শাহজাদী আলম লিপি (মামলা নং ৫২), আকরাম হোসেন (মামলা নং ৫৫), আব্দুর রাজ্জাক (মামলা নং ৫৬), জিয়াউল হক (মামলা নং ৫৭), 
সৈয়দ কবির আহম্মেদ মিঠু (মামলা নং৬১), সোনাতলা পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মশিউর রহমান রানা (মামলা নং ৪৯), আওয়ামী লীগ নেতা সালেহ আহম্মেদ সবুজ (মামলা নং ৬৪),যুবলীগ ক্যাডার মো. শামিম (মামলা নং ৭৩),
সোনাতলা উপজেলা সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান জাকির হোসেন জাকির (মামলা নং ১২১), সোনাতলার সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম বুলু (মামলা নং ১২০) আওয়ামী লীগ নেতা মানিক সরকারসহ (মামলা নং ১২৬), আবু সুফিয়ান (মামলা নং ১০৫),মান্নান আকন্দ (মামলা নং ৭১), সৈয়দ কবির আহম্মেদ মিঠু (মামলা নং৬১), মোস্তাফিজজুর রহমান (মামলা নং ৭০), সুলতানা মাহমুদ খান (মামলা নং ৭৪), আবু সুফিয়ান (মামলা নং ১০৫),সুলতানা মাহমুদ খান (মামলা নং ৭৪), শুভাশীষ পোদ্দার লিটন (মামলা নং ১০৮),
তৌফিকুর রহমান বাপ্পি (মামলা নং ১০৯), রাফি নেওয়াজ খান (মামলা নং ১১৬), সাজেদুর রহমান শাহীন (মামলা নং ১১৭), শাহ মো. আব্দুল হাকিম, ছাড়াও সারিকান্দি উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আসিক আহমেদ ও পৌর মেয়র মতিউর রহমান মতিসহ অন্যান্যরা। 

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ১৮ জুলাই কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচি ঘোষণা করেছিল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। এই আন্দোলনের  অংশ হিসেবে রাজধানী উত্তরায় ঢাকা ময়মনসিংহ মহাসড়কের পূর্ব পাশে অবস্থান নেয় ছাত্র-জনতা। ওই দিন শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদেরের এবং পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার নির্দেশে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা এবং আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদ্যস সেখানে অবস্থান নেয়।

একপর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-আন্দোলনকারী সাধারণ ছাত্র-জনতা সঙ্গে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া চলতে থাকে। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা এবং আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদ্যসরা ছাত্র জনতার ওপর গুলি চালাতে থাকে। এতে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে থাকা আলী হুসেন গুলিবিদ্ধ হয়ে মহাসড়কের ওপরে পড়ে থাকে।তাৎক্ষণিক সাধারণ ছাত্র-জনতা আলী হুসেনের হাত-পা ধরে তুলে নিয়ে কুয়েত বাংলাদেশ মৈত্রী সরকারি হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত ডাক্তার আলী হুসেনকে মৃত ঘোষণা করে।

সাইদুর

×