সোহেল তাজ
আওয়ামী লীগের দায়িত্ব নেওয়ার প্রশ্নে ‘শর্ত’ জুড়ে দিয়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদের ছেলে তানজীম আহমেদ সোহেল তাজ। তিনি বলেছেন, ‘যারা হত্যা, গুম, খুনের সাথে জড়িত তাদেরকে বিচারের আওতায় এনে শাস্তি দেবে এবং আওয়ামী লীগ যখন পরিষ্কার হবে, তারপরে তারা যদি চায় আমি নেতৃত্বে আসি, তখন বিবেচনা করব তার আগে নয়।’
শনিবার (৯ নভেম্বর) বিকেলে বাংলা একাডেমির সাহিত্য বিশারদ আব্দুল করিম মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে সঞ্চালকের প্রশ্নে তিনি এমন শর্ত দেন। ঐতিহ্য প্রকাশনীর আয়োজনে কথাসাহিত্যিক অধ্যাপক আহমাদ মোস্তফা কামালের সঞ্চালনায় ‘শতাব্দীর কণ্ঠস্বর তাজউদ্দীন আহমদ: কন্যার চোখে, পুত্রের চোখে’ শীর্ষক এ অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়।
অনুষ্ঠানে সঞ্চালক সোহেল তাজের কাছে জানতে চান— আওয়ামী লীগের হাল কি তাজউদ্দীন পরিবার বা সোহেল তাজ ধরবেন? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘নির্দিষ্ট কিছু দায় আওয়ামী লীগ মেনে না নিলে এ দলের নেতৃত্বে আসার প্রশ্নই উঠে না।’
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের দায়িত্ব নেওয়ার প্রশ্ন তখনই আসবে যখন সংগঠন হিসেবে আত্মসমালোচনা শুরু করবে, আত্মোপলব্ধি করবে। তাদের কর্মকাণ্ডগুলো যখন স্বীকার করবে, যারা আওয়ামী লীগকে নেতৃত্ব দিয়ে ধ্বংসের পথে নিয়ে গেছে তারা জবাবদিহি করবে।’
সোহেল তাজ আরও বলেন, ক্ষমতার প্রতি আমার মোহ নাই, আমাদের পরিবার সবসময় গণমানুষের সেবায় বিশ্বাসী। আমার বাবার একটা গুণাবলী ছিল ভালো জিনিস শেখা, আর সেটা প্রয়োজন হলে শত্রুর কাছ থেকে হলেও শেখা। নীতি ও আদর্শ যাই থাকুক উনি সবার কাছ থেকে ভালো কিছু শেখার চেষ্টা করতেন। তিনি যে মাপের নেতা ছিলেন সেটা আর কারো মধ্যে খুব একটা লক্ষ্য করা যায়নি। তার নেতৃত্বের অনেক গুণাবলি ছিল, তিনি বিচক্ষণ ছিলেন। মানুষকে আপন করে নেওয়া, মানুষের সঙ্গে যোগাযোগের দূরদর্শিতা তার মধ্যে অনেক বেশি ছিল।
আওয়ামী লীগের কাউন্সিল মিটিংগুলোতে বারংবার তাজউদ্দীন আহমেদ বিভিন্ন ইস্যুতে প্রতিবাদ করেছেন বলেও জানান তিনি। তার বাবা দুর্নীতি ও ব্যবস্থাপনা ও দলীয় দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলেছেন।
সোহেল তাজ জানান, বঙ্গবন্ধু গ্রেপ্তার হওয়ার পর তাজউদ্দীন আহমেদকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, সবাই আন্ডারগ্রাউন্ডে চলে গিয়েছিল তুমি কেন যাওনি? তখন তিনি বলেছিলেন আমি পাকিস্তানকে বাঁচানোর জন্যই আন্ডারগ্রাউন্ডে যাইনি।
শিহাব উদ্দিন