বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ ও কর্মসংস্থান
কথাসাহিত্যিক শামসুদ্দীন আবুল কালামের কথা হয়তো মনে আছে কারও কারও। ১৯৫৩ সালে ৩৩ বছর বয়সে তার লেখা গল্পগ্রন্থের ‘পথ জানা নেই’ ছোটগল্প একসময় আশি-নব্বইয়ের দশকে স্কুলপাঠ্য ছিল। বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মউতলা নামে এক নিরিবিলি গ্রামের সড়ক তৈরি নিয়ে গল্পটি লেখকের ভাষায় ছিল এ রকম, ‘...এই মউতলা গ্রামের গফুর আলী ওরফে গহুরালি একজন সামান্য কৃষক। মাত্র পাঁচ কুড়া জমির মালিক। শহরফেরত জোনাবালী হাওলাদারের ইচ্ছা হলো শহরের সঙ্গে মউতলার একটা সংযোগ-সড়ক নির্মাণ করবে।
তাতে গহুরালির পাঁচ কুড়া জমির মধ্যে দুই কুড়াই সড়কের পেটে চলে যাবে। গহুরালির আপত্তি নেই তাতে। কেন থাকবে? কাঁহাতক এভাবে দুটি দুটি ধান খুঁটে জীবন চালানো যায়! জোনাবালী বলেছে সড়ক হলে আয়-রোজগারের অনেক রাস্তা খুলে যাবে, নতুন জীবন হবে, জীবনে সমৃদ্ধি আসবে। জোনাবালীর মতো মানুষ, দশ বছর আগেও যার বাবা দিনমান খেটে একমুঠো অন্নের সংস্থান করতে পারত না, অথচ তারই পুত্র শহরের কল্যাণে অগাধ ধন-সম্পদের মালিক এখন। জোনাবালী যদি পারে গহুরালি কেন পারবে না?’
গল্পের শেষটা ছিল এ রকম, ‘অতঃপর একদিন গহুরালি একটা কোদাল নিয়ে রাস্তাটি কোপাতে লাগল। এই রাস্তা সে কেটে ফেলবে। কারণ? কারণ এই রাস্তা দিয়েই গ্রামে এসেছে সমস্ত অশান্তি, এই রাস্তাই টেনে নিয়ে গেছে তার ঘরের মানুষটাকে।’ ৭০ বছর আগের ‘পথ জানা নেই’ গল্পটির অবতারণা এই কারণে, দেশে একের পর এক সড়ক-মহাসড়ক-সেতু-মেট্রোরেল-টানেল-অর্থনৈতিক জোন (ইপিজেড) হচ্ছে। আর মূল্যবোধ, নৈতিকতা, চরম অবক্ষয়ের পাশাপাশি জনসংখ্যায় প্রবীণের সংখ্যা বাড়ছে, বিনিয়োগ কমছে, কমছে কর্মসংস্থান।
অথচ আমাদের নীতিনির্ধারকদের মধ্যে নাগরিকদের ভবিষ্যৎ কর্মজীবন নিয়ে বড় কোনো উদ্বেগ ও পরিকল্পনা দেখা যাচ্ছে না। ২০০৫ সাল থেকে ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ট বা জনমিতিক লভ্যাংশ (মোট জনসংখ্যায় শ্রমশক্তির আধিক্য) ঐতিহাসিক সুবিধায় প্রবেশ করা শতসহ¯্র বেকারঅধ্যুষিত এই রাষ্ট্রের ৪০ শতাংশ কর্মসংস্থান ২০৩৪ সাল নাগাদ রোবটপ্রযুক্তি গ্রাস করলে ৫০-৬০ শতাংশ নির্ভরশীল মানুষের বাংলাদেশের কী হবে?
বিশ্লেষকরা বলছেন, অভূতপূর্ব জনসমর্থন নিয়ে বাংলাদেশে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সংস্কারবিষয়ক ছয়টি কমিশন করেছে। সব ঠিক থাকলে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে তাদের প্রতিবেদন পাওয়া যাবে। মানুষের আশা, জ্ঞানাভিজ্ঞ ব্যক্তিদের এসব কমিশনের সুপারিশ-দিকনির্দেশনা নির্মোহ ও স্বদেশ-উত্থিত হলে সামনের দিনগুলো সুন্দর-শোভন-সমৃদ্ধ হবে। তবে সমাজ-অর্থনীতি বিশ্লেষকদের অনেকে বলছেন, ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্টের মধ্যগগনে থাকা বাংলাদেশের তরুণ সমাজ ও আপামর মানুষ-সমর্থিত নতুন সরকারের জরুরি ভিত্তিতে প্রধান কর্তব্য হিসেবে কর্মসংস্থান বাড়াতে সবার আগে মহাপরিকল্পনা প্রণয়ন করা উচিত।
কারণ, মোট জনসংখ্যার মাত্র ০.৭৪ শতাংশ হিস্যার সরকারি চাকরির কোটা প্রথা নিয়ে বিশ^বিদ্যালয়ের তরুণদের ছোট্ট আন্দোলন অবিশ^াস্য গতিতে জনগণের বৈষম্যবিরোধী গণঅভ্যুত্থানে রূপ নিয়েছিল। যেখানে মূল চালিকাশক্তি ছিল দেশের জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেক প্রতিনিধিত্বকারী শিশু-কিশোর-তরুণ। তারা তাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তিত ছিল, তাই অভিভাবক শ্রেণিকেও রাস্তায় নামিয়ে ছেড়েছে। একবার ভেবে দেখুন, সরকারের লুকিয়ে-ছাপিয়ে প্রকাশ করা হিসাবেই মোট জনসংখ্যার ৩৮.৬৪ শতাংশের বয়স ১৫-২৯ বছরের মধ্যে, ৩০-৩৪ বয়সী ৭.৩৪ শতাংশ এবং ৩৫-৩৯ বয়সী ৭.৭ শতাংশ।
অর্থাৎ দেশে এমন ৫৩.৬৮ শতাংশ মানুষ আছে, যারা শ্রমবাজারে উৎপাদনী শক্তি বিনিয়োগে প্রাথমিক স্তর থেকে সর্বোচ্চ পর্যায়ে যেতে সক্ষম। বিজ্ঞানীরা দেখেছেন, উন্নত বিশে^ মানুষের মাঝামাঝিমানের পুষ্টি ও ব্যায়ামের শরীর হলে ৩০ বছর বয়স থেকে উৎপাদন শক্তি (কর্মক্ষমতা) ক্ষয় শুরু হয়ে ৩৯-এ শেষ সীমায় যায় এবং আর সর্বোচ্চ পুষ্টি ও সুযোগ-সুবিধার শরীর হলে তা বড়জোর ৪৫ করা যায়। এরপর টিকে থাকতে মানুষ শরীরটা শুধু টেনে নিয়ে যায়।
আর বাংলাদেশের সর্বোচ্চ কর্মক্ষম ১৫-২৯ বছর এক-তৃতীয়াংশই (সংখ্যায় প্রায় ৭৪ লাখ, ১৭ শতাংশ পুরুষ ও ৮৩ শতাংশ নারী) কোনো কাজ, শিক্ষা বা প্রশিক্ষণে নেই। উপরন্তু ৫৩ বছর হলেও অর্থনীতির ৭০-৭৫ শতাংশ অনানুষ্ঠানিক খাতনির্ভর (সরকারের প্রত্যক্ষ সহযোগিতা ছাড়াই জনগণের চেষ্টায় গড়ে ওঠা)। এমনকি গোড়াপত্তনের ৪০ বছর হলেও বাংলাদেশের ১ নম্বর শিল্প বস্ত্র ও তৈরি পোশাক খাত (উন্নত বিশে^ ১৫০ বছর আগে উচ্ছিষ্ট-আবর্জনা শিল্প বিবেচিত) বাঁচিয়ে রাখতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে নিরুপায় হয়ে তীব্র মূল্যস্ফীতির মধ্যেও পোশাক শ্রমিকদের বেতন-ভাতার জন্য ১০০০ কোটি টাকা ছাপিয়ে দিতে হয়!
উল্লেখ্য, ব্রিটিশ ও পাকিস্তানিদের ২৫০ বছরের শাসন-শোষণ আর স্বাধীন রাষ্ট্রের কর্ণধারদের ৫৩ বছরের অপশাসনে ৫০০ বছর আগে দুধে-ভাতে থাকা উন্নত ভূখ-ের বাংলার বিশ্ববীক্ষার সুযোগ ধূলিসাত হয়ে গেছে। ইতোমধ্যে বিশ্বব্যবস্থায় আমূল বদল এসেছে। অথচ বাংলাদেশে এখন প্রাথমিক শিক্ষা স্তরেই ১৫টি ধারা, এসএসসি পর্যন্ত ১৭টি। ১৯৭৭ সালে প্রথম শিক্ষাক্রম প্রণয়নের পর ১৯৮৬ সালে পাঠ্যবইয়ে পরিমার্জন হয়। ১৯৯২ সালে প্রাথমিক স্তরে যোগ্যতাভিত্তিক শিক্ষাক্রমে চালু হয়, ১৯৯৫ সালে মাধ্যমিক স্তরে উদ্দেশ্যভিত্তিক শিক্ষাক্রম, ২০০২ সালে প্রাথমিক শিক্ষাক্রমের পাঠ্যক্রমে মৌলিক পরিবর্তন, ২০১২ সালে সৃজনশীল পদ্ধতি চালুর পরের এক দশক ধরে আরও কয়েকবার পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর ২০২৪ সালে সম্পূর্ণ নতুন শিক্ষাক্রম শুরু হয় সব ধরনের প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষা বাদ দিয়েই।
যেখানে শিশুকাল থেকে সেলাইয়ের কাজ-ছবি আঁকা আর আলুভর্তা-ডিমভাজা মূল উপজীব্য। ৬ মাস পরে আবার অন্তর্বর্তীকালীন সরকার জনসমর্থনে বার্ষিক পরীক্ষা যোগ করে মাঝামাঝি এক অবস্থান নেয়। শিক্ষা খাতে নীতিনির্ধারকরা ৫৩ বছরে আইয়ামে জাহেলিয়া বা অন্ধকার যুগে চলেছে। তাই তো এখনো এমবিএ-পিএইচডি-এমবিবিএসধারী আমাদের লাখ-কোটি নাগরিক ইংরেজি লেখা-বোঝা তো দূরের কথা, নির্ভুল বাংলায় একপৃষ্ঠার প্রতিবেদন লিখতে না পেরে স্বদেশে কর্মসংস্থানের অভাবে উন্নত দেশে নির্মাণ শ্রমিক ও ময়লা সাফাইকারী হয়।
আর জাপান পারমাণবিক বোমার আঘাত সহ্য করে স্বাধীনতা লাভের এক দশকের মধ্যেই বিশ্বপরাশক্তি বনে যায়। জ্ঞানের এমন কোনো সূচক নেই, যেখানে জাপান বিশ্ব দশে নেই। দেশটি এখন জনসংখ্যা অপ্রতুলতা আর জনসংখ্যায় প্রবীণ নাগরিক আধিক্য নিয়ে মহা দুশ্চিন্তায়। তাই মানবশক্তির স্বল্পতা পূরণে সর্বোন্নত রোবট তৈরি করছে। এর কারণ, ১৯৪৫ সালে বিশ্বযুদ্ধে পাশ্চাত্যের হাতে চরম অপমানিত ও ক্ষতিগ্রস্ত প্রাচ্যের এই দেশটি ১৯৪৮ সালেই জনসংখ্যায় তরুণ কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীর সুফল বুঝতে পারে (১৯৫৫ সালে জাপান ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্টে বা জনমিতিক লভ্যাংশে প্রবেশ করে)।
তাই দ্রুতই পারমাণবিক বোমা দিয়ে আঘাত করা চরমতম শত্রু যুক্তরাষ্ট্র-ব্রিটেন-ফ্রান্সের শিক্ষাধারাকে নিজেদের আঙ্গিকে সাজিয়ে শত শত নীতিনির্ধারক-শিক্ষক-শিক্ষার্থীকে বাইরে থেকে প্রশিক্ষিত করে আনে। বিশ্বসেরা বই-টেক্সটকে রাতারাতি অনুবাদ করিয়ে বিনামূল্যে শিশু-কিশোরদের হাতে তুলে দেয়। প্রযুক্তি স্থানান্তর করবে শর্তে নিজের বাজারকে পুরোপুরি তুলে দেয় পাশ্চাত্যের হাতে। হাতেনাতে ফলও পায় দেশটি। জনংখ্যায় ৩৫-৪৫ বয়সী মানুষের আধিক্য যখন বাড়ে (১৯৬৫-৭০), তখন তারা আর্থিক শক্তিতে শত্রু যুক্তরাষ্ট্রের ঘাড়ে নিশ্বাস ছেড়ে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনৈতিক শক্তিতে পরিণত হয়ে অন্যভাবে প্রতিশোধ নিতে শুরু করে। যুক্তরাষ্ট্রকে সরিয়ে নিজের দখলে নেয় বিশ^বাজার।
অন্যদিকে, বাংলাদেশের নীতিনির্ধারকরা নিজেদের সন্তানদের বিদেশে পাঠিয়ে ২০০৫ সাল থেকে ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্টে প্রবেশ করা দেশে ২০২৪ সাল পর্যন্ত কেবল শিক্ষাব্যবস্থাকে গিনিপিগ বানিয়ে বিএএম-এমবিএ অফিস চাপরাশি তৈরি করে। কম-বেশি সব দেশেই রাজনৈতিক সরকারের পরিসংখ্যানিক মিথ্যা বলার মেশিন পরিসংখ্যান বিভাগ। বাংলাদেশে যেমন বিবিএস। বিভাগটির মতে, প্রান্তিকভিত্তিক বছরওয়ারি গড় হিসাবে ২০২৩ সালে বেকারের সংখ্যা অতি যৎসামান্য, মাত্র ২৪,৭০,০০০ জন বা ৩.৩৬ শতাংশ, (২০২২ সালে ২৫,৮০,০০০)।
করোনা ও ইউরোপ-মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধের পরও মহাশক্তিধর যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি হিসাবে ২০২৪ সালের ২৫ সেপ্টেম্ব^র পর্যন্ত ৪.২ শতাংশ বেকার (২০২২ সালে ৩.৬ শতাংশ)। কিন্তু দেশটির লডউইগ ইনস্টিটিউটের মতে, প্রকৃত বেকার ২৪.৭ শতাংশ। লডউইগ ইনস্টিটিউটের হিসাব পদ্ধতি বিবেচনায় নিলে বাংলাদেশে প্রকৃত বেকারত্বের হার ৪০ শতাংশের কম নয়। কারণ, মোটামুটি ধনী-নির্ধন সব দেশেই সরকারি হিসাব কর্মসংস্থানের সত্যি চিত্র দেয় না।
কারণ, ধনী পরিচালিত বিশ^ শ্রম সংস্থার (আইএলও) সংজ্ঞায়, জরিপকালের ঠিক আগের ৭ দিন ১৫ ঊর্ধ্ব কেউ ১ ঘণ্টা মজুরিশ্রম দিলে তিনি বেকার নন। এই হিসাবে বিবিএস জানায়, ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে দেশে শ্রমশক্তি ৭,৩৪,৬০,০০০ নারী-পুরুষ, যাদের মধ্যে ৭,১১,১০,০০০ জন ৭ দিনে ১ ঘণ্টা মজুরিশ্রম দিয়েছেন (কৃষি খাতে ৩,১৭,৮০,০০০ এবং শিল্পে ১,২৪,৯০,০০০, বাকিটা সেবায়)। এই পরিসংখ্যানের বিপরীতে অন্য একটি হিসাব তুলনা করা যাক। সরকারি হিসাবে বাংলাদেশে ২০২৩ সালে মসজিদ আছে ৩,৩১,১২৫টি।
৭ দিনে ১ দিন অর্থাৎ শুক্রবার জুমার নামাজ উপলক্ষে ১ জন করে ভিক্ষুকও যদি এসব মসজিদের সামনে থাকেন, তা হলেও তো বেকার ৩,৩১,১২৫ জন। পোকামাকড়ের মতো নিতান্ত বেঁচে থাকার তাগিদে ভিক্ষার থালা নিয়ে বসা এত মানুষের দেশে ১০০ জনে সাড়ে ৩ জন বেকার, এ কথা শুধু কলাগাছকে বলাই সাজে।
প্রশ্নসাপেক্ষে পরিসংখ্যানে বাংলাদেশ ৩৫তম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ হলেও সরকারি অর্থ ও নীতিগত পৃষ্ঠপোষকতার আনুষ্ঠানিক খাতের অবদান টেনেটুনে ২৫ শতাংশ। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কল্যাণে আগামী ডিসেম্বরে দেশের প্রকৃত আর্থিক অবস্থা জানা গেলে হয়তো দেখা যাবে বাংলাদেশ আসলে অনেক পেছনে। এমন একটি দেশে বিদেশী বিনিয়োগ কেন বাড়বে? কেন বাড়বে কর্মসংস্থান?
লুটপাট-চুরিচামারি-শুল্ক ফাঁকি-ঘুষ-চাপরাশি তৈরির শিক্ষা ব্যবস্থার দেশে সৎভাবে টিকে থাকা ও হালাল মুনাফা যেখানে প্রায় অসম্ভব, সেখানে মানুষের বিনিয়োগ করতে বয়েই গেছে। এমন এক প্রেক্ষাপটে আকাশচুম্বী প্রত্যাশার অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সর্বোচ্চ প্রাধান্য দিয়ে দ্রুততম সময়ে কর্মসংস্থান বাড়াতে আগ্রাসী পদক্ষেপ নেবে, সেটাই তো হওয়া উচিত সবার প্রত্যাশা।
লেখক : অধ্যাপক, অর্থনীতি বিভাগ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়; সাধারণ সম্পাদক,
বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতি