ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১

ভস্মীভূত কৃষি মার্কেট

নাজনীন বেগম

প্রকাশিত: ২০:৫৬, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩

ভস্মীভূত কৃষি মার্কেট

আগুনের জ্বলন্ত শিখায় মোহাম্মদপুরের কৃষি মার্কেট পুড়ে ছারখার

আগুনের জ্বলন্ত শিখায় মোহাম্মদপুরের কৃষি মার্কেট পুড়ে ছারখার। কত অসহায় মানুষের স্বপ্ন, আশা-আকাক্সক্ষা নিমিষে ধূলিসাৎ হয়ে গেছে ভাবতেও শিউরে উঠতে হয়। আগুনের ঘটনা নতুন কোনো দুর্বিপাক নয়। অগ্নিদুর্ঘটনায় বারবার জ্বলে পুড়ে অনেকের স্বপ্ন মাটি হয়ে যায়। দুঃসময়ে সংশ্লিষ্টদের জীবন বিপন্ন হয়, অশনিসংকেত চেপে বসেÑ ক্রমান্বয়ে তা বেরিয়েও আসে। কৃষি মার্কেটের অগ্নিকা-ে বরাবরের মতো এবারও প্রশ্ন উঠে আগুন লাগার কারণ কি? সেই চিরাচরিত উত্তর বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট নতুবা মশার কয়েল থেকে আগুন ছড়ানো। তবে সময়ে এটাও পরিষ্কার হবে পুরো মার্কেটটি আসলে বিপজ্জনক জোনের আওতায় ছিল কিনা?

সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ থেকে আগেই কোনো সাবধান বাণী এসেছিল কিনা। কৃষি মার্কেট মানেই ব্যবসা-বাণিজ্যের এক অনন্য স্থান। জনবহুল রাজধানীতে যেভাবে বাণিজ্যিক মার্কেটগুলো গড়ে উঠেছে, সেখানে যেমন স্বাস্থ্যবিধির বালাই নেই, তেমনি বাণিজ্যিক প্রতিবেশ ও নিরাপদ কিংবা স্বস্তিদায়কও নয়। অগ্নিদুর্বিপাকের দুর্ঘটনাগুলোয় ঘটনাস্থলের নেতিবাচক প্রতিবেশও সকলকে বিস্মিত করে। প্রাথমিকভাবে জানা যায়, কৃষি মার্কেটের অগ্নিকা-ে প্রায় আড়াইশ’ দোকান পুড়ে ছাই হয়েছে। সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের সর্বস্বান্ত হওয়ার দৃশ্যও কাঁপিয়ে দেওয়ার মতো। বুধবার রাত সাড়ে ৩টায় কৃষি মার্কেটে আগুন ছড়িয়ে পড়লে ফায়ার সার্ভিস তার দায়-দায়িত্ব অনুযায়ী যথার্থ জায়গায় পৌঁছে যায়। ফলে, আগুন নেভানোর সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হলেও ক্ষতি যা হওয়ার তা আটকানো আসলেই সম্ভব হয়নি।

আগুন নেভাতে সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর সদস্যরাও ত্বরিত গতিতে দুর্ঘটনাস্থলে চলে আসেন। বাংলাদেশ সামরিক বাহিনীর জরুরি কর্মতৎপরতাও শুরু হয়ে যায়। পুরো মার্কেটটি একতলা এবং টিনের ছাউনি দেওয়া। মার্কেটটা শুরু করা হয় মূলত মোহাম্মদপুর নতুন কাঁচা মার্কেট হিসেবে। সেখানে সংশ্লিষ্ট সিটি কর্পোরেশন ৩১৭টি দোকান বরাদ্দ দিয়ে পুরোদমে চালু করার ব্যবস্থা করে। ক, খ, গ ব্লকের সমন্বয়ে তৈরি কাঁচা বাজারটির প্রায়ই ৩ শতাধিক ঘর পুড়ে ছাই হতে খুব বেশি সময়ও লাগেনি। দমকল কিংবা সামরিক জওয়ানরা আসতে আসতেই আগুনের শিখা ক্রমান্বয়ে ছড়াতে থাকে। এমন সব বাজার আসলে কবিগুরুর সেই ঠাঁই নাই, ঠাঁই নাই অবস্থার মহাবিপাকে। বাজার চলাকালে তিল ধারণের ক্ষমতা প্রায় বিলুপ্ত।

চলাচলও নির্বিঘœ কিংবা নিরাপদ থাকে না। আগুন নেভাতে গিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের অনুমান, এখানকার এক মুদির দোকান থেকেই আগুনের সূত্রপাত। সেটা বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট অথবা মশার কয়েল থেকে হতে পারে। খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ফায়ার সার্ভিস তার জরুরি কর্মযোগে যেতে দেরি করেনি। তবে ৫ থেকে ৬ ঘণ্টা লেগে যায় ছড়িয়ে পড়া আগুনের লেলিহান শিখাকে নিয়ন্ত্রণে আনতে। সঙ্গত কারণে ততক্ষণে সর্বনাশ যা হওয়ার তা হয়ে গেছে, সংশ্লিষ্টরা দুর্বিপাকের শিকার হয়েছেন। প্রায় ১৭টি ইউনিটের একযোগে কর্মতৎপরতায় সকাল সাড়ে ৯টায় আগুনের জ্বলন্ত শিখা থামানো হয়। শুধু কাঁচাবাজার নয়, কাপড় আর স্বর্ণ ব্যবসায়ীর দোকানও ছিল সেখানে। সকলের মাথায় হাত। সারা জীবনের অর্থ, সম্পদ, পরিশ্রম, স্বপ্ন সবই যেন নিমিষে কয়লা হয়ে গেল।

কোটি কোটি টাকার সম্পদ অঙ্গার হতে সময় লাগেনি। আশা-আকাক্সক্ষার পরম সুসময় পার করতে না করতেই হতাশা আর সর্বস্ব হারানোর গ্লানি আসলে মেনে নেয়া যায় না। মোহাম্মদপুরের কৃষি মার্কেটে আগুনের যে ধ্বংস্তূপ তা সংশ্লিষ্টদের কতভাবে যে তাড়িয়ে বেড়াবে বলা মুশকিল। ক্রমান্বয়ে অনেক বাস্তব অবৈধ চিত্রই পরিষ্কার হচ্ছে। একতলা টিনের ছাউনিতে সিলিংয়ের ওপরে অবৈধ কক্ষ নির্মাণ করে অনেক ব্যবসায়ীর নতুন বাণিজ্য কার্যক্রম শুরু করার চিত্রও হতবাক হওয়ার মতো। এসব ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে বৈধতা কিংবা অনুমোদনের তোয়াক্কাও করা হয় না। অবৈধ এমন সব যোগসাজশ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় পরিণত হতে সময়ও লাগে না। বিভিন্ন ছোটখাটো ব্যবসায়ীরা মুনাফার লোভে ভেতরে যে আরও কত অনিয়ম অসাধু ব্যবস্থাপনা জিইয়ে রাখে বড় ধরনের দুর্ঘটনা না ঘটলে তা সামনে আসে না।

মাস দুয়েক আগে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ মোহাম্মদপুরের কয়েকটি মার্কেটকে ঝুঁকিপূর্ণ বিবেচনা করে নোটিশ দেয়। তার মধ্যে কৃষি মার্কেটও ছিল অতি ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায়। তবে কে শুনে কার কথা? সংশ্লিষ্টরা কর্ণপাতও করেননি। তার দাম গুনতে হচ্ছে এখন অত্যন্ত অসহায় অবস্থায়। সর্বস্ব খুইয়ে পথে দাঁড়ানোর দুরবস্থা ছাড়া আর কিছু ভাবার অবকাশই নেই। শুধু দোকান হারানো নয়, পুঁজি এবং ব্যাংক ঋণের দুর্বিপাকে বিভিন্ন ব্যবসায়ী এখন পথে বসার অপেক্ষায়। এমন সব ক্ষুদ্র এবং মাঝারি ব্যবসায়ীদের হাতে প্রচুর টাকা গচ্ছিত থাকেও না। মূলত কোনো ব্যবসা শুরু করতে পারলে তার লভ্যাংশ থেকে ধারদেনা শোধ করা যায়।

তেমন আকাক্সক্ষায় অনেকেই ব্যাংক ঋণ নিতে আগ্রহী থাকেন। নিয়ম অনুযায়ী বৈধভাবে শোধও করে থাকেন। কিন্তু আগুনের লেলিহান শিখা যে সব হিসাব-নিকাশ চুরমার করে দিয়েছে। শুধু পুঁজিসহ ব্যবসা হারানো নয়, সঙ্গে আছে পর্বত প্রমাণ সুদসহ ব্যাংক ঋণের পরিশোধের বিষয়টিও উদ্বেগজনক। সত্যিই আগুনের চাইতেও দুর্বিষহ অন্য এক অস্বস্তি। কিভাবে ঋণ পরিশোধ করা যাবে? সিংহভাগ ব্যবসায়ী সামান্য পুঁজি আর ব্যাংক ঋণ নিয়েই নতুন বাণিজ্যের যাত্রা শুরু করে। আস্তে আস্তে কোনো এক সময় নিজের পায়ে দাঁড়িয়েও যায়। কিন্তু মাঝপথে এমন অসহনীয় আগুনের চরম দাপটে স্বপ্ন আর আশা-আকাক্সক্ষা ধূলিসাৎ হলো।

তিল ধারণের ঠাঁই থাকে না যে সব মার্কেটে সেগুলোকে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করে। শুধু তাই নয়, পুরো মার্কেট ভেঙে নতুন ব্যবস্থাপনায় তৈরির নির্দেশও আসে। তবে কোনো সময় তা আমলে নেয় না এমন সব ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীরা। যাদের আসলে নুন আনতে পান্তা ফুরায় তাদের তো প্রতিদিনের আয় রোজগারও মাথায় রাখতে হয়। সাধারণ সাপ্তাহিক ছুটির দিন শুক্রবারই এসব মার্কেট জমজমাট থাকে। আর আগুন লাগে বৃহস্পতিবার ভোর রাতে। মরার উপর খাঁড়ার ঘা আর কি! যদিও সর্ব সাকল্যে এখনো ক্ষয়ক্ষতির তেমন হিসাব-নিকাশ হয়নি। তবে ধারণা করতে অসুুবিধা হচ্ছে না সবাই ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন কমবেশি। ঢাকা শহরে ইতোমধ্যে অনেক ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান, এলাকায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন।

ব্যবসায়ীরা মানছে না সেটা ভিন্ন প্রেক্ষিত। আসলে শুধু চিহ্নিত করে নির্দেশনা দিয়েই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ হাত গুটিয়ে বসে থাকলে কাজের কাজ যে কিছুই হয় না তা ইতোমধ্যে প্রমাণিত। সামনে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বাধ্যতামূলকভাবে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা চিহ্নিত করাই শুধু নয়, বরং প্রয়োজনে ভেঙে দিয়ে নতুন ব্যবস্থাপনার ভিত তৈরি করাও পরিস্থিতির ন্যায্যতা। সময় সাপেক্ষ বিষয়গুলোতে মূল কর্তৃপক্ষকেই নড়েচড়ে বসতে হবে। যাতে কোনো নিয়ন্ত্রণহীন পরিবেশ পরিস্থিতি মাথাচাড়া না দেয়। শুধু ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাই নয়, বরং সার্বিক পরিস্থিতি কঠোর নজরদারিতে এনে সুষ্ঠু সমাধান ও দায়িত্ব কর্তব্যের মধ্যে নিয়ে আসতে হবে।
চলতি বছরের রমজান মাসেই মহানগরীর প্রাণকেন্দ্র ফুলবাড়িয়ার বঙ্গবাজারে অসহনীয় এক অগ্নিদুর্বিপাকে সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের ঈদ আনন্দ আর ব্যবসা পুড়ে ছাই হওয়ার বিসদৃশ্য সত্যিই দুঃসহ নির্মম দুর্ঘটনা। পবিত্র ইবাদত বন্দেগির মাসই শুধু নয়, সামনে অপেক্ষা করছিল সারাবছরের ঈদ আনন্দের প্রস্তুতি পর্ব এবং বিকিকিনির পরম কর্মযোগও বটে। আগুনের লেলিহান শিখা এমন দ্রুততার সঙ্গে ছড়িয়ে পড়ে চোখের নিমেষেই যেন সব ভস্মীভূত হয়ে যায়। বঙ্গবাজারের আগুনের আঁচ কমতে না কমতেই ফের অগ্নিদুর্বিপাকে পড়ে রাজধানীর নিউ সুপার মার্কেট। ফায়ার সার্ভিস টিম আসার পর জানা যায় ২০১৬ সালেই নিউ সুপার মার্কেটকে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা ঘোষণা দিয়ে ভেঙে ফেলার নির্দেশনা আসে।

ফুলবাড়িয়া বঙ্গবাজারকেও নাকি ২০১৯ সালে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করে ভেঙে ফেলার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছিল। তবে এমন সব সরকারি আদেশ-নির্দেশে গাফিলতি করাও সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের একরকম ধৃষ্টতা। তার যথার্থ দামও দিতে হয় ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়িদেরকেই। তবুও তাদের টনক নড়ে না। ঝুঁকিপূর্ণ ধ্বংসযজ্ঞের মধ্যেই সংশ্লিষ্টরা ব্যবসায়িক পসরা সাজাতে নির্বিঘেœ এগিয়েও আসেন। নিজের ভালো যদি কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে বুঝতে না চান, তাহলে তার মঙ্গল কিভাবে হবে? আসলে হচ্ছে না। আসলে বোকামি আর নির্বুদ্ধিতার মূল্য গুনতে হয় তাদেরকেই, যারা কোনো কিছুকে তোয়াক্কা পর্যন্ত করেন না। ক্রেতা-বিক্রেতাদের ভিড়ে জমজমাট বিপণন কেন্দ্রগুলো সত্যিই ব্যবসা-বাণিজ্যের পরম কর্মদ্যোতনার মিলনযজ্ঞ তো বটেই।

শুধু কি লাভ-লোকসান? সারাবছরের উদয়াস্ত শ্রমে জমানো পুঁজির সঙ্গে জীবন সংগ্রামে অক্লান্ত ছুটে চলা মানুষগুলোর লড়াকু অভিগমন সত্যিই এক অনন্য যাত্রাপথ। মাঝখানে যে ব্যবচ্ছেদের পাহাড় তৈরি হয়ে গেল সেটা পাড়ি দেওয়া দুষ্কর। কেননা, কেউই সম্পন্ন ব্যবসায়ী নন- মাত্র শুরু করা ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে নিজেদের তৈরি করতে এগিয়ে এসেছেন স্বল্প পুঁজি আর নিজের সীমাহীন শ্রমশক্তি নিয়ে। তবে, যেসব মার্কেটকে ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, সেগুলো গাফিলতিতে কেন পিছিয়ে যাচ্ছে তাও খতিয়ে দেখার সময় এখনই। 
ছোট্ট, আধুনিক, উন্নয়নশীল বাংলাদেশ। অবকাঠামোগত দৃশ্যমান প্রবৃদ্ধি বিশ্ব পরিসরেও নজরকাড়া। বিভিন্ন পেশাগত কর্মসংস্থানে এগিয়ে যাওয়ার সুফল দেশকে আধুনিকতার বলয়ে নিয়ে যাচ্ছে। ব্যবসা-বাণিজ্যেও দেশ মোটেই পিছিয়ে নেই। ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পে বাংলাদেশের অবস্থান এই মুহূর্তে চোখে পড়ার মতো। রাজধানীর হরেক সুপার মার্কেটে তারই অনন্য নজির, দেশের এক চমকপ্রদ অভিগমনও। কিন্তু মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠের মতো হরেক দুর্যোগ পিছু ছাড়ছে না। সাবধান, সতর্কতায় চিহ্নিত বিভিন্ন ঝুঁঁকিপূর্ণ এলাকাকে নতুন মর্যাদা দেওয়া সময়ের অপরিহার্য দাবি। আগুনের উদ্দীপ্ত শিখায় সংশ্লিষ্ট অব্যবস্থাপনা যাতে বেশিদূর যেতে না পারে, সেটাই নতুন আঙ্গিকে ভাবা জরুরি হয়ে পড়েছে।

আমাদের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ফায়ার সার্ভিস এবং সিভিল ডিফেন্স তাদের নিয়মিত নজরদারিতে বিপদাপন্ন ভবন কিংবা এলাকা চিহ্নিত করে যাচ্ছে। গাফিলতির দুঃসহ চক্র বারবার নতুন ব্যবস্থাপনায় প্রাচীরসম দুর্গম পথ তৈরি করে দিচ্ছে। সেখান থেকে সব বাধা বিঘœকে ভেঙে এগিয়ে আসা ছাড়া অন্য কোনো পথ নেই। প্রত্যেকেই যার যার কর্মস্থল কিংবা ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে নিরাপদ এবং নির্বিঘœ থাকতে পারেন। তেমন নবতর ব্যবস্থাপনায় নিজেকে শামিল করা সময়ের চাহিদা। অনেক সময় পার হয়ে যাচ্ছে।
লেখক : সাংবাদিক

×