ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ০৮ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১

খাদ্য নিরাপত্তায় বোরো

ড. মো. জামাল উদ্দিন

প্রকাশিত: ২০:৪৫, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

খাদ্য নিরাপত্তায় বোরো

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ দীর্ঘায়িত হওয়ার কারণে বিশ্বে মন্দার পদধ্বনি শোনা যাচ্ছে

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ দীর্ঘায়িত হওয়ার কারণে বিশ্বে মন্দার পদধ্বনি শোনা যাচ্ছে। ফলে দেশে খাদ্যশস্যের উৎপাদন বাড়িয়ে উল্লেখযোগ্য মজুত গড়ে তোলা গেলে অর্থনীতির জন্য তা স্বস্তিদায়ক হবেÑ এমনটি মনে করে সম্প্রতি জাতীয় একটি দৈনিক ‘আশা জাগাচ্ছে বোরো’ শিরোনাম করেছে। কৃষি মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যে বোরোর আবাদ ও উৎপাদন বাড়ানোর জন্য চলতি মৌসুমে চার ক্যাটাগরিতে ১৭০ কোটি টাকা প্রণোদনা দিয়েছে। সারা দেশের ২৭ লাখ কৃষক এ প্রণোদনার আওতায় বিনামূল্যে বীজ ও সার পেয়েছেন। বৈশ্বিক সংকটের প্রভাব মোকাবিলায় খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে সরকারের নেওয়া এহেন পদক্ষেপ প্রশংসনীয় অবশ্যই। 
খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে উৎপাদনশীলতা বাড়ানোর কোনো বিকল্প নেই। কৃষিক্ষেত্রে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির মাধ্যমে খাদ্যে স্বনির্ভরতা অর্জনের চেষ্টা করেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি বলতেন, ‘একটা স্বল্প সম্পদের দেশে কৃষি খাতে অনবরত উৎপাদন হ্রাসের পরিস্থিতি অব্যাহত থাকতে পারে না। দ্রুত উৎপাদন বৃদ্ধির সব প্রচেষ্টা গ্রহণ করতে হবে। চাষীদের ন্যায্য ও স্থিতিশীল মূল্য প্রদানের নিশ্চয়তা দিতে হবে।’

তিনি কৃষিতে প্রয়োজনীয় অর্থায়নের জন্য কৃষি ব্যাংক স্থাপন করেন। উন্নত বীজ ও প্রযুক্তি ব্যবহারের উদ্যোগ নেন। উচ্চতর কৃষি গবেষণা ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন। এ কথা অনস্বীকার্য যে, খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধির পাশাপাশি খাদ্যশস্যের মজুতও গড়ে তোলা জরুরি। প্রকৃত খাদ্য নিরাপত্তা গড়ে তুলতে হলে দেশে খাদ্যের মজুত ৩০ লাখ মে. টন হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেন দেশের খাদ্য বিশেষজ্ঞরা। অবশ্য সে পরিমাণ খাদ্য মজুতের গুদাম নেই দেশে।

তাই খাদ্যগুদাম আরও নির্মাণ করা প্রয়োজন। খাদ্যের বিশাল মজুত থাকলে সময়ে সময়ে খাদ্য রপ্তানিও করা যাবে। তাতে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জিত হবে। দেশের অর্থনীতি আরও সুদৃঢ় হবে।
খাদ্য মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটের সাম্প্রতিক তথ্যানুসারে, ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ তারিখ পর্যন্ত খাদ্যশস্যের মোট সরকারি মজুত রয়েছে ২০ লাখ ৩৭ হাজার ৪৯৫ মেট্রিক টন।

তার মধ্যে চাল ১৬ লাখ ৩৮ হাজার ৪২০ মেট্রিক টন, গম ৩ লাখ ৯৬ হাজার ৯৯৫ মেট্রিক টন এবং ধান ৩ হাজার ১২৯ মেট্রিক টন (উল্লেখ্য, ধানকে চালের আকারে মোট মজুতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে)। দেশে খাদ্য পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখার লক্ষ্যে মজুত বাড়ানো হয়েছে। বোরো মৌসুমে মজুত আরও বাড়বে বলে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার মন্তব্য করেছে।
জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) মতে, যে কোনো রাষ্ট্রের নাগরিকদের খাদ্য নিরাপত্তায় সরকারিভাবে কমপক্ষে ৬০ দিনের খাদ্য মজুত রাখা প্রয়োজন। আমাদের মোট জনগোষ্ঠীর এক দিনের খাদ্য চাহিদা প্রায় ৪৬ হাজার টন। সে হিসাবে ৬০ দিনের জন্য খাদ্য মজুত রাখার কথা ২৭ লাখ টন। সেখানে সরকারের কাছে খাদ্য মজুত রয়েছে ২০ লাখ ৩৭ হাজার ৪৯৫ মে. টন, যা সাম্প্রতিক রেকর্ড পরিমাণ মজুত।

তবে বাংলাদেশের মানুষের ঘরে, মিল, বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় খাদ্যপণ্যের যথেষ্ট মজুত রয়েছে বলে মনে করে কৃষিবান্ধব সরকার। যেখানে বিশ্বের অনেক দেশেই এমন ব্যবস্থা নেই সেখানে বাংলাদেশের মানুষের ঘরে খাদ্য মজুতের ব্যবস্থা রয়েছে। চিন্তার বিষয় হলো, চালের দাম এখনো ঊর্ধ্বমুখী। সরকার চালের মূল্য স্থিতিশীল রাখার জন্য বোরোর উৎপাদন বাড়ানোর ওপর  জোর তাগিদ দিয়েছে।
চলতি বোরো মৌসুম খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে, এতে কোনো সন্দেহ নেই। সেচ সুবিধা বৃদ্ধি ও সরকারের নানামুখী পদক্ষেপের কারণে বোরোর উৎপাদন ক্রমশ বাড়তির দিকে। কৃষি পরিসংখ্যান বর্ষগ্রন্থ-২০২১ অনুসারে ২০২০-২১ অর্থবছরে দেশে বোরোর মোট উৎপাদন এলাকা ছিল ১ কোটি ১৮ লাখ ২৯ হাজার ১৫০ একর। যার মোট উৎপাদন ছিল ১ কোটি ৯৮ লাখ ৮৫ হাজার ২৮৩ মেট্রিক টন।

ওই সূত্রমতে, বোরোর মোট উৎপাদন এলাকা দেশের মোট ধান উৎপাদনের ৪০.৯১ শতাংশ। বোরোর মোট উৎপাদন এলাকার মধ্যে সর্বোচ্চ ৯২ লাখ ৯৮ হাজার ৩১৫ একর উফশী জাত দখল করে রয়েছে, যার মোট উৎপাদন ১ কোটি ৫২ লাখ ২ হাজার ২৭৬ মেট্রিক টন।  অন্যদিকে, ২৪ লাখ ৫৩ হাজার ৪২১ একর হাইব্রিড জাত, যার মোট উৎপাদন ৪৬ লাখ ২৬ হাজার ৯৪৭ মেট্রিক টন। স্থানীয় জাত ৭৭ হাজার ৪১৪ একর, যাদের মোট উৎপাদন ৫৬ হাজার ৬০ মেট্রিক টন, যা কৃষি পরিসংখ্যান বর্ষগ্রন্থ-২০২১ এর ৫১ পৃষ্ঠায় উল্লেখ রয়েছে।
খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। জলবায়ু পরিবর্তন ও বৈশ্বিক মন্দা খাদ্য নিরাপত্তার ছয়টি মাত্রাকে বিভিন্নভাবে প্রভাবিত করে। খাদ্য নিরাপত্তার ছয়টি উপাদান হলো- খাদ্যপ্রাপ্যতা, প্রবেশাধিকার, স্থিতিশীলতা, খাদ্যের ব্যবহার, সংস্থা ও স্থায়িত্ব। উল্লেখ্য, এইচএলপিই গ্লোবাল ন্যারেটিভ রিপোর্ট সম্প্রতি খাদ্য নিরাপত্তার আরও দুটি মাত্রা যুক্ত করেছে। তা হলোÑ সংস্থা (এজেন্সি) ও স্থায়িত্ব (সাসটেইন্যাবিলিটি)। জলবায়ু পরিবর্তন বেশিরভাগই খাদ্য নিরাপত্তার প্রাপ্যতা ও স্থায়িত্বকে প্রভাবিত করে। সেই সঙ্গে খাদ্য উৎপাদন ও প্রক্রিয়াকরণ থেকে শুরু করে এর বিতরণ ও খরচ পর্যন্ত একাধিক উপায়কেও প্রভাবিত করে। 
খাদ্য নিরাপত্তা পারিবারিক ও জাতীয় দুভাবেই নিশ্চিত করা যায়। দেশের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করায় রাষ্ট্রের যেমন দায়িত্ব রয়েছে, তেমনি ব্যক্তি তথা পারিবারিক পর্যায়েও এটির দায়িত্ব বর্তায়। পারিবারিক পর্যায়ে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে রাষ্ট্রের পৃষ্ঠপোষকতা দরকার। তাই খাদ্য উৎপাদন বাড়াতে সরকার সময়ে সময়ে বহুমুখী উদ্যোগ বা কর্মপরিকল্পনা গ্রহণের পাশাপাশি প্রণোদনার ব্যবস্থা করে থাকে। যার ফলে কৃষক অধিক উৎপাদনে আগ্রহী হয়।

তবে বোরোতে সেচ-সার অধিক প্রয়োজন বিধায় এসবের মূল্যবৃদ্ধি কৃষকের জন্য চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এসব উপকরণের মূল্যবৃদ্ধির ফলে উৎপাদন খরচ বেড়ে যাবে বহুগুণে। সেক্ষেত্রে সেচ খরচ কমানোর জন্য ডিজেলের দাম কমানো যায় কিনা সেটা ভাবা যেতে পারে। অথবা সৌরশক্তির মাধ্যমে সেচ সুবিধার আওতা বাড়ানো গেলে এর সুফল পাবে কৃষক।
 বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে সার ও ডিজেলের দাম ঊর্ধ্বমুখী। বোরো চাষে সারের ক্ষেত্রে ভর্তুকি বাড়ানো গেলে আর  চাহিদামাফিক কৃষকের সারপ্রাপ্তি নিশ্চিত হলে বোরোর উৎপাদন বাড়বে বহুগুণ। উৎপাদন বাড়লে উৎপাদিত ধানের ন্যায্য দাম যাতে কৃষক পায় সেটি বিবেচনায় রাখাও জরুরি। অন্যথায় তাদের উৎপাদন খরচ উঠে না এলে পরবর্তীতে উৎপাদনে আগ্রহ হারাতে পারে।

বাজারে যেহেতু চালের দাম ঊর্ধ্বমুখী, সেক্ষেত্রে বোরো ধানের ন্যায্যমূল্য কৃষক পাবে সেটি আশা করা যায়। তবে ভোক্তাদের কথা চিন্তা করে চালের দাম সহনীয় পর্যায়েও রাখা জরুরি। সেক্ষেত্রে অভ্যন্তরীণ উৎপাদন ও চালের মজুত বৃদ্ধি যেমন প্রয়োজন রয়েছে, তেমনি সুষ্ঠু বণ্টন ব্যবস্থা নিশ্চিতকরণও জরুরি।
বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিরি) মহাপরিচালক ড. মো. শাহজাহান কবীর একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত এক নিবন্ধে বলেন, ধান উৎপাদনে বোরো মৌসুম সর্বাধিক উৎপাদনশীল। তার মতে, বোরোর ওপর ভিত্তি করেই দেশের খাদ্য নিরাপত্তার ভিত্তি রচিত হয়েছে। দেশের মোট উৎপাদনের ৫৮ ভাগ আসে এ মৌসুম থেকে। সঠিক ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে বোরো ধানের গড় ফলন হেক্টর প্রতি ১.৫ থেকে ২.০ টন পর্যন্ত বাড়ানো সম্ভব, যা জাতীয় উৎপাদনে বিশাল ভূমিকা রাখতে পারে।

তিনি আরও উল্লেখ করেন, এক সময় দেশের বোরোর আবাদ কম হলেও সেচ ব্যবস্থা প্রবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে আবাদ বাড়তে থাকে। এর সঙ্গে যোগ হতে থাকে অব্যাহতভাবে ফলন বৃদ্ধির নতুন নতুন উন্নত জাত। ফলে উৎপাদনের দিক থেকে তৃতীয় অবস্থানে থাকা বোরো ক্রমশ প্রথম অবস্থানে উঠে এসেছে, যা দেশের খাদ্য নিরাপত্তাকে আরও সুদৃঢ় করেছে। 
বোরো ধান নিয়ে এক ধরনের নেতিবাচক প্রচারণা রয়েছে যে, বোরো ধানের আবাদে পানি বেশি লাগে। ব্রি ও অস্ট্রেলিয়ান সেন্টার ফর অ্যাগ্রিকালচারাল রিসার্চ কর্তৃক এক যৌথ গবেষণার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রতিকেজি বোরো ধান উৎপাদন করতে ১২০০-১৫০০ লিটার পানি লাগে। অপচয় বাদ দিয়ে শুধু ধানের উৎপাদনে প্রকৃত পানির খরচ হিসাব করলে প্রতিকেজি ধান উৎপাদন করতে ৫৫০-৬৫০ লিটার পানিই যথেষ্ট বলে তিনি গবেষণার তথ্য তুলে ধরেন।

তিনি বোরো চাষে পানির অপচয় কমাতে কৃষকদের সচেতনতা বাড়ানোর ওপর জোর দেন। বোরো ধান আবাদে সেচের প্রয়োজন অত্যধিক। এ খাতে খরচও বেশি। বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে ডিজেলের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় সেচের খরচ ভবিষ্যতে আরও বৃদ্ধি পাবে। তাই সেচের অপচয় রোধ জরুরি। সেচের পানির  সাশ্রয়ী ও কার্যকর পদ্ধতিও রয়েছে। বিজ্ঞানীদের মতে, জমিতে একটি পর্যবেক্ষণ পাইপ বা চোঙ বসিয়ে সহজেই সেচ দেওয়ার সময় নির্ধারণ করা যায়।

গভীর নলকূপে পিভিসি পাইপের মাধ্যমে পানি বিতরণ করা হলে শতকরা ২৫-৩০ ভাগ অপচয় রোধ করা যায়, সময় শতকরা ৩০ ভাগ কম লাগে, উঁচু-নিচু জমিতে সহজেই পানি বিতরণ করা সম্ভব। এর ফলে সেচ এলাকা শতকরা ৩০ ভাগ বৃদ্ধি করা সম্ভব বলে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞদের অভিমত। সেচ সমস্যা নিরসন করা গেলে বোরোর আবাদ আরও বাড়বে বলে মনে করেন বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের আঞ্চলিক কার্যালয়, সোনাগাজী, ফেনীর প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও কেন্দ্রের প্রধান ড. বিশ্বজিৎ কর্মকার। খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তায় বোরোর উৎপাদন বাড়াতে বিরি উদ্ভাবিত বোরোর লাগসই পুষ্টিজাতসমূহ কৃষকের মাঠ পর্যায়ে বিস্তারে জোর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলেও তিনি জানান।
বোরো ধানে ভালো ফলনের জন্য সেচ প্রয়োগের পাশাপাশি সুষম সারের প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য। ধানের জাত, জীবনকাল ও ফলন মাত্রার ওপর ভিত্তি করে সারের মাত্রা ঠিক করা দরকার। সে সঙ্গে সারের কার্যকারিতা বৃদ্ধির জন্য কোন্ সার কখন ও কিভাবে প্রয়োগ করতে হবে, তা নির্ধারণ করা আরও জরুরি। মাটি পরীক্ষার মাধ্যমে সারের মাত্রা নির্ধারণ করা গেলে বেশ ভালো।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সার সুপারিশ গাইড অনুযায়ী কিংবা অনলাইনে সার সুপারিশ নির্দেশিকা সফটওয়্যার (ঋজঝ) ব্যবহার করেও সারের মাত্রা জানা যেতে পারে। সরকারি কৃষি কল সেন্টারের ১৬১২৩ নম্বরে বা কৃষক বন্ধু সেবার ৩৩৩১ নম্বরে কল করে, কৃষি ব্লকের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা, ইউনিয়ন পরিষদে অবস্থিত ফিয়াক সেন্টারে সরাসরি যোগাযোগ করে এ ব্যাপারে সহায়তা পেতে পারে কৃষক। বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের অনেক অনলাইন অ্যাপস রয়েছে। সেখান থেকে বোরো ধান চাষে অনেক খুঁটিনাটি বিষয় জানা যায়।

বোরো ধান চাষে সঠিকভাবে সার, সেচ ব্যবস্থাপনা ও রোগবালাই দমন করা গেলে উৎপাদন বাড়বে। তাতে লাভবান হবে কৃষক। এলাকা ও কৃষি-পরিবেশ অঞ্চল উপযোগী বোরোর উচ্চ ফলনশীল/হাইব্রিড জাতসমূহ অধিক সম্প্রসারণের মাধ্যমে বোরোর উৎপাদন বাড়িয়ে কৃষকের ন্যায্যমূল্য প্রাপ্তি নিশ্চিত করে মজুত বাড়ানো গেলে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে। তাতে বৈশ্বিক মন্দার প্রভাব মোকাবিলা করা আরও সহজ হবে বলে আশা করা যেতে পারে।

লেখক : কৃষি অর্থনীতিবিদ, সাবেক ন্যাশনাল কনসালট্যান্ট, জাতিসংঘ

×