ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

জেলা প্রশাসক সম্মেলনের গুরুত্ব

অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বদরুজ্জামান ভূঁইয়া

প্রকাশিত: ২০:৩৬, ২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

জেলা প্রশাসক সম্মেলনের গুরুত্ব

প্রতিবছরের মতো এবারও তিন দিনব্যাপী ডিসি সম্মেলন শেষ হলো

প্রতিবছরের মতো এবারও তিন দিনব্যাপী ডিসি সম্মেলন শেষ হলো। ২৪ জানুয়ারি শুরু হওয়া এ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী ২৫টি নির্দেশনা দিয়েছেন। তিনি ডিসিদের স্মরণ করিয়ে দেন যে, জনগণের ট্যাক্সের টাকায় তাদের বেতন-ভাতা দেওয়া হয়। অতএব জনগণকে কাক্সিক্ষত সেবা প্রদান করা প্রতিটি সরকারি কর্মচারীর দায়িত্ব। সে জন্য সেবার মনোভাব নিয়ে সত্য ও ন্যায়ের পথে অবিচল থেকে দায়িত্ব পালন করার কথা তিনি তাদের স্মরণ করিয়ে দেন। স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে জেলা প্রশাসকগণ যেন স্ব স্ব উদ্যোগ গ্রহণ করেন সেদিকে কর্ণপাত করেন।
তিন দিনব্যাপী বার্ষিক জেলা প্রশাসক সম্মেলন-২০২৩-এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২৫ দফা দিকনির্দেশনা দিয়েছেন। কোভিড-১৯ মহামারিউত্তর চলমান রাশিয়া- ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সারাবিশ্ব যখন বিপর্যস্ত এবং অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত, তখন এই সম্মেলনটি সবিশেষ গুরুত্বপূর্ণ অবশ্যই। কেননা, সরকার প্রণীত ও গৃহীত যাবতীয় নীতি নির্ধারণ এবং কর্মকৌশল মাঠপর্যায়ে নিয়মিত দেখভাল, তদারকি ও বাস্তবায়ন করে থাকেন জেলা প্রশাসকরাই।

সরকারের অন্যান্য সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় সাপেক্ষে তা যথাযথভাবে বাস্তবায়িত হচ্ছে কিনা, সেটাও তাদের কার্যপরিধির মধ্যে পড়ে। ২৫ দফা নির্দেশনায় যেগুলো সর্বাধিক গুরুত্ব পেয়েছেÑখাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য সর্বাত্মক উদ্যোগ গ্রহণ, বিদ্যুত ও জ্বালানি ব্যবহারে সাশ্রয়ী হওয়াসহ জনসাধারণকে উদ্বুদ্ধ, সরকারি তহবিল ব্যবহারে কৃচ্ছ্রসাধন, অপ্রয়োাজনীয় প্রকল্প গ্রহণ না করা; সর্বোপরি এসডিজি স্থানীয়করণের আওতায় নির্ধারিত লক্ষ্যগুলো অর্জনে তৎপরতা জোরদার ইত্যাদি।

জেলায় শিক্ষা, স্বাস্থ্য, আইনশৃঙ্খলা দেখভাল করার পাশাপাশি দেশবিরোধী এবং জঙ্গি তৎপরতার দিকেও সজাগ ও সতর্ক দৃষ্টি রাখার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার কথা স্মরণ করে দিয়ে তিনি বলেন, বর্তমানে জনগণের মাথাপিছু আয় ২ হাজার ৪১ মার্কিন ডলার থেকে ১২ হাজার মার্কিন ডলারে উন্নীত করা। সেদিকে লক্ষ্য রেখেই তদনুযায়ী পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করতে হবে। দেশের জনসাধারণকে একটি সুন্দর, শান্তিপূর্ণ, নির্বিঘ্ন জীবনযাপন উপহার দেওয়াই বর্তমান সরকারের অন্যতম লক্ষ্য।

ডিসিরা এক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা ও অবদান রাখতে পারেন। সে অর্থে ডিসিদের হতে হবে জনগণের সেবক। সম্মেলনে ডিসিরাও নির্বাচিত সংসদ সদস্যসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের আরও সক্রিয় ভূমিকা ও সহায়তা প্রত্যাশা করেন। তারা প্রশাসনে জনবল সংকটের কথাও তুলে ধরেন। বর্তমান জনবান্ধব ও গণমুখী সরকারের দেশব্যাপী নানাবিধ উন্নয়ন কর্মকা- পরিচালিত হলেও প্রশাসনে দক্ষতা এবং জনবল বাড়েনি আশানুরূপ। ফলে সরকারের কাক্সিক্ষত উন্নয়ন ও প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের সঙ্গে তাল মেলাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে প্রায় সর্বস্তরের প্রশাসনকে- রাজধানী থেকে তৃণমূল পর্যন্ত।

গত তিন দশক বিশেষ করে বর্তমান সরকারের গত এক দশকে কর্মপরিধি বেড়েছে কয়েকগুণ। জনগোষ্ঠী বেড়ে হয়েছে দ্বিগুণ। অথচ প্রশাসনে জনবল বেড়েছে মাত্র দশমিক ২৭ ভাগ। ফলে শহর থেকে প্রত্যন্ত গ্রাম এলাকা পর্যন্ত সুবিশাল জনগোষ্ঠীকে জনসেবা দিতে পদে পদে বিপাকে পড়তে হচ্ছে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের। তদুপরি রয়েছে দক্ষ জনবলের প্রকট অভাব। আইটি বিশেষজ্ঞ ও ডিজিটাল কর্মকর্তা-কর্মচারী নেই বললেই চলে। অপ্রিয় হলেও সত্য যে, ঘুষ-দুর্নীতি-অনিয়ম প্রায় সর্বত্রই পরিলক্ষিত হয় অন্তত সরকারি অফিস-আদালতের ক্ষেত্রে।

ফলে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দায়িত্বশীলতা ও কর্তব্যনিষ্ঠা নিয়েও প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক। দেশকে উন্নত দেশে পরিণত করতে হলে এসব অনিয়ম-অনাচার-দুর্নীতি ও দায়িত্বহীনতা অনতিবিলম্বে দূর করতে হবে। সরকারের নবপ্রণীত বিধি ডোপ টেস্টসহ শুদ্ধাচার পুরস্কার যদি এসব ক্ষেত্রে ইতিবাচক অবদান রাখতে সক্ষম হয়, তাহলেই এর সাফল্য ও সার্থকতা।
তিন দিনের এ সম্মেলন শেষে জেলার শীর্ষ কর্মকর্তারা ফিরে গেছেন তাদের নিজ নিজ জেলার কর্মস্থলে। জেলা প্রশাসক সম্মেলনে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী যেসব দিকনির্দেশনা দিয়েছেন তা তাৎপর্যপূর্ণ। দেশের মালিকগোষ্ঠী যে জনগণ এ বিষয়টি তাঁরা স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন বিশেষভাবে। নাগরিকরা যেন সরকারি অফিসে সেবা নিতে এসে হয়রানির সম্মুখীন না হয়, এই বিষয়টির প্রতি বিশেষভাবে গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে। জেলা প্রশাসকদের পুলিশ সুপার এবং সামরিক-বেসামরিক প্রশাসনের সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে সমন্বয় করে দায়িত্ব পালনের নির্দেশনাও পেয়েছেন তাঁরা সরকারের সর্বোচ্চ  কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে। এবারের সম্মেলনের প্রধান কেন্দ্রবিন্দুই ছিল জনবান্ধব প্রশাসন নিশ্চিত করা। সবচেয়ে বেশি জোর দেওয়া হয়েছে জনপ্রতিনিধির সঙ্গে সমন্বয় করে সরকারের উন্নয়ন  কর্মকা- ও সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের বিষয়টিতে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বয়ং জেলা প্রশাসকদের এ নির্দেশনা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘সব ধরনের ভয়ভীতি ও প্রলোভনের ঊর্ধ্বে থেকে নিজেকে জনগণের সেবায় নিয়োজিত করতে হবে।

সেবার মনোভাব নিয়ে সত্য ও ন্যায়ের পথে অবিচল থাকলে জেলা প্রশাসকদের পক্ষে যথাযথভাবে দায়িত্ব পালন সম্ভব হবে। এতে সাধারণ মানুষ হবে উপকৃত। দেশ সামনে এগিয়ে যাবে। শুদ্ধাচার বাস্তবায়নের পাশাপাশি দুর্নীতি প্রতিরোধে সোচ্চার হতে হবে।’ সম্মেলনে একাধিক মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী তাঁদের কর্ম-অধিবেশনেও জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে সমন্বয় করে প্রশাসন পরিচালনার বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেছেন। 
সম্মেলনে জেলা প্রশাসকদের কাছ থেকে আসা বিভিন্ন প্রস্তাব সম্পর্কেও নিজেদের সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন নীতিনির্ধারকরা। সরকারের কর্মকর্তা-কর্মচারী তথা রাষ্ট্র ও সরকারের সব ব্যয় নির্বাহ হয় জনগণের টাকায়। সরকারি কর্মকর্তাদের কাছে সেবার আশায় গিয়ে তারা যদি উপেক্ষার শিকার হন তা নিশ্চিতই দুর্ভাগ্য। জেলা প্রশাসক সম্মেলনে রাষ্ট্রপতি বিষয়টি স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী জেলা প্রশাসকদের উদ্দেশে বলেছেন, সরকারি সেবা নিতে এসে কোনো মানুষ যেন হয়রানির শিকার না হয়। এ বিষয়ে সবাইকে নজর রাখার তাগিদ দিয়ে বলেছেন, মাঠপর্যায়ের সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে উদ্ভাবনী উদ্যোগ গ্রহণ ও বাস্তবায়নে জেলা প্রশাসকদের সক্রিয় ভূমিকা থাকতে হবে।

জেলা প্রশাসক সম্মেলন-২০২৩ উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রীর উপরোক্ত বক্তব্যটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ ও তাৎপর্যের দাবিদার। জেলা প্রশাসকরা জেলা পর্যায়ে সরকারের চোখ-কানের ভূমিকা পালন করেন। প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী হিসেবে তাদের দায় দেশের মালিক এবং সাধারণ মানুষের প্রতি। জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধি তথা সরকারের প্রতি। দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য, আমাদের দেশ ২০০ বছর ধরে বিদেশি শাসনের নাগপাশে আবদ্ধ ছিল। সে শাসনে সাধারণ নাগরিক ছিল উপেক্ষিত। ৩০ লাখ মানুষের আত্মোৎসর্গের বিনিময়ে দেশে নিজেদের সরকার প্রতিষ্ঠিত হলেও সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীর একাংশের মধ্যে ঔপনিবেশিক আমলের মানসিকতা এখনো বিদ্যমান।

সরকারি অফিসে সেবা নিতে গিয়ে সাধারণ মানুষ যে হয়রানির শিকার হয় তা সকলেরই জানা। এ অকাম্য অবস্থার অবসানেই প্রধানমন্ত্রী জেলা প্রশাসকদের সম্মেলনে তাদের গণমুখী ভূমিকা পালনের তাগিদ দিয়েছেন। জেলা প্রশাসকরা তাদের নিয়ন্ত্রণাধীন এলাকায় মানুষ সঠিকভাবে সেবা পাচ্ছে কিনা সেদিকে নজর রাখলে হয়রানির বিড়ম্বনার পুরোপুরি অবসান না হলেও কমিয়ে আনা সম্ভব হবে। জেলা প্রশাসক সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী যে ২৪ দফা নির্দেশনা দিয়েছেন তা খুবই প্রাসঙ্গিক। এগুলো প্রতিপালিত হলে দেশের মানুষের কল্যাণ যেমন নিশ্চিত হবে তেমন শান্তি-শৃঙ্খলা ও স্থিতিশীলতার ভিতও জোরদার হবে।
সবকিছু যাতে ঢাকাকেন্দ্রিক না হয়ে পড়ে, সে জন্য স্থানীয় প্রশাসনকে ক্ষমতায়িত করার বিষয়টি নিয়ে বহু বছর ধরেই আলোচনা হচ্ছে। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, দায়িত্ব এড়িয়ে যাওয়া এবং রাজনৈতিক প্রভাবসহ বিভিন্ন কারণে মাঠপ্রশাসনের কর্মকর্তারা সিদ্ধান্ত নিতে চান না। প্রশাসনিক সিদ্ধান্তের জন্য মাঠপ্রশাসন এখনো অনেক ক্ষেত্রে ‘ঢাকার দিকে’ তাকিয়ে থাকে। এতে সাধারণ মানুষ সরকারি সেবা পেতে বিড়ম্বনা ও দীর্ঘসূত্রতার কবলে পড়েন। এমন পরিস্থিতিতে সরকার নির্দেশনা দিয়েছে, স্থানীয় প্রশাসন যেসব সিদ্ধান্ত নিজেরাই নিতে পারে, সেসব যাতে ঢাকায় না পাঠনো হয়।

জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলনের শেষদিনে গতকাল বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন বলেন, স্থানীয় প্রশাসন যেসব কাজ নিজেরাই করতে পারে, সেগুলো অনেক সময় ঢাকায় পাঠিয়ে দেয় এবং নিজেদের দায়িত্ব এড়িয়ে যায়। এর ফলে সবাই ঢাকাকেন্দ্রিক হচ্ছে। এসব বিষয়ে ডিসিদের সজাগ থাকার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। 
ডিসি সম্মেলনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের সার্বিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে সারা দেশের জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) ২৫ দফা নির্দেশনা দিয়েছেন। সরকারি অফিসসমূহে সাধারণ মানুষ যেন নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নির্বিঘেœ যথাযথ সেবা পায় সেটি নিশ্চিত করতে হবে। সেবা প্রত্যাশীদের সন্তুষ্টি অর্জনই যেন হয় সরকারি কর্মচারীদের মূল কাজ। দেশ উন্নয়নশীল দেশের কাতারে শামিল হওয়ায় দায়িত্ব বেড়ে গেছে। আমরা দক্ষ, দুর্নীতিমুক্ত ও সেবামুখী জনপ্রশাসন গড়ে তুলতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

এ লক্ষ্যে মাঠপর্যায়ে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি, জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল, সিটিজেনস চার্টার ইত্যাদির বাস্তবায়ন জোরদার করতে হবে। রমজানে দ্রব্যমূল্য কঠোরভাবে তদারকি এবং ওমিক্রন প্রতিরোধে ডিসিদের সর্বোচ্চ সতর্ক থাকার নির্দেশনাও দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। সব ভয়-ভীতি, প্রলোভনের ঊর্ধ্বে থেকে দায়িত্ব পালনের জন্য জেলা প্রশাসকদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। বলা নিষ্প্রয়োজনÑ সেবার মনোভাব নিয়ে সত্য ও ন্যায়ের পথে অবিচল থাকলে জেলা প্রশাসকদের পক্ষে যথাযথভাবে দায়িত্ব পালন সম্ভব হবে। এটি একটি রুটিন ওয়ার্ক হলেও এই সম্মেলনের মধ্য দিয়ে দেশের সার্বিক প্রশাসনিক চিত্র উঠে আসে।

একই সঙ্গে সিভিল সার্ভিসের একজন জ্যেষ্ঠ পর্যায়ের সদস্য ও সরকারের একজন গুরুত্বপূর্ণ আমলা হিসেবে জেলা প্রশাসকদের মনোভাব সম্পর্কেও সরাসরি একটি ধারণা পাওয়া যায়। সরকার প্রধানের সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা সম্মেলনের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য দিক। সেনাপ্রধানের অংশগ্রহণের বিষয়টি বিশেষ গুরুত্ব পেয়েছে এবারের জেলা প্রশাসক সম্মেলনে। দেশকে সামনে এগিয়ে নিতে সামরিক ও বেসামরিক প্রশাসনকে একসঙ্গে কাজ করার তাগিদ দিয়েছেন সেনাপ্রধান।

সোনার বাংলা গড়ার যে অভীষ্ট লক্ষ্য নিয়ে জাতি এগোচ্ছে, সেখানে সামরিক প্রশাসনের সঙ্গে বেসামরিক প্রশাসন যদি একসঙ্গে কাজ না করে তাহলে আমরা সেই লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারব না- এমন বাস্তবোচিত উপলব্ধি সেনাপ্রধানের। 
সাধারণ মানুষ আশা করে জেলার প্রধান প্রশাসনিক কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে জেলা প্রশাসকগণ যে জনসেবক; সেটি অবশ্যই তারা স্মরণে রাখবেন এবং প্রধানমন্ত্রীর জনহিতকর ও যুগোপযোগী নির্দেশনাসমূহ যথাযথভাবে মান্য করার মধ্য দিয়ে দেশসেবার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করবেন। সবারই আইনের শাসনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকাটাই প্রত্যাশিত।

জেলা প্রশাসক সম্মেলন থেকে এই প্রত্যাশা রাখা যায় যে, মাঠপর্যায়ের বাস্তবতা সম্পর্কে সরকারের উপলব্ধির পরিসর বাড়াতে অবদান রাখবে। সুশাসন প্রতিষ্ঠায় সরকারের লক্ষ্য পূরণে জেলা প্রশাসকদের করণীয় কর্তব্য সম্পর্কে সচেতন হতে সাহায্য করবে। দেশ এগিয়ে নিতে জেলা প্রশাসকরা সরকারের চোখ ও কান হিসেবে যথাযথ ভূমিকা পালন করবেন এমনটিই প্রত্যাশিত।

 লেখক : ট্রেজারার, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়

×