
ছবিঃ সংগৃহীত
গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর কাছে সবচেয়ে বড় সমস্যার ক্ষেত্র ভূমি সেবা নিশ্চিতকরণ। এবার সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকেও এই সেবা নিশ্চিতে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া হলো, তাও সরকারের নির্দিষ্ট ফি’র মাধ্যমে। সরকারি তদারকিতে চলবে এই সেবা কার্যক্রম।
পটুয়াখালীর কলাপাড়া পৌরশহরের ভূমি অফিস সংলগ্ন মেইন সড়কে এই ভূমি সহায়তা সেবা কেন্দ্র খোলা হয়েছে। সরকারের অনুমতিপ্রাপ্ত এই ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নাম ভাই ভাই কম্পিউটার সেন্টার। এটির পরিচালনাকারীর নামও উল্লেখ করা রয়েছে। ইতিপূর্বে বাইরে থেকে কিছু প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ভূমি সেবা নেওয়ার সুযোগ থাকলেও সরকারের নির্দিষ্ট ফি’র মাধ্যমে এই সেবা নিশ্চিতের ব্যবস্থা ছিল না। যেটি এখন থেকে সাধারণ মানুষ পাবেন। ফলে সরকারের মাধ্যমে ভূমি সেবা নিশ্চিতের পাশাপাশি এই ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিকও পাচ্ছেন কর্মসংস্থানের সুযোগ।
রবিবার (৬ জুলাই) বিকালে এই ভূমি সহায়তা সেবা কেন্দ্রের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন কলাপাড়ার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও কুয়াকাটা পৌরসভার প্রশাসক মো. ইয়াসীন সাদেক।
এসময় কলাপাড়া প্রেসক্লাবের আহ্বায়ক হুমায়ুন কবিরসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। ছিলেন সেবাগ্রহীতারাও।
ইয়াসীন সাদেক জানান, ভূমি উন্নয়ন কর, মিউটেশন, খতিয়ান (পর্চা), জমির নকশাসহ ১৩ ধরনের সেবা নেওয়ার সুযোগ থাকবে এই সেবা কেন্দ্র থেকে। সেবা কেন্দ্রের সামনেই খাতওয়ারি সেবার সরকারি ফি’র তালিকা দৃশ্যমান রয়েছে। আর দোকানির জন্য একটি তালিকা থাকছে।
সরকারের নির্দিষ্ট ফি’র বিনিময়ে ভূমি সেবা দিতে কোনো ধরনের ব্যত্যয় ঘটলে এ প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে সরকারের আরোপিত আইনানুগ ব্যবস্থার বিধান রয়েছে। এছাড়া নির্দিষ্ট হটলাইনে অনিয়ম সংক্রান্ত অভিযোগ দেওয়ার সুযোগ রয়েছে। সরকারি ভূমি অফিসের পাশাপাশি সরকারের ছুটির দিনেও এই সেবা প্রতিষ্ঠান থেকে নির্ধারিত ভূমি সেবা নিশ্চিত করায় সাধারণ ভূমির মালিকরা স্বস্তিবোধ করছেন। সরকারের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানালেন সাধারণ মানুষ।
আমরা কলাপাড়াবাসী স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সভাপতি নাজমুস সাকিব জানান, ভূমি সেবা প্রাপ্তির এটি একটি অসাধারণ উদ্যোগ। এটির যথাযথ বাস্তবায়ন হলে এই সেক্টরের সেবা প্রাপ্তির অন্তরায় মধ্যস্বত্বভোগীর দৌরাত্ম্য থেকে সাধারণ মানুষ মুক্তি পাবেন। যেহেতু এই সেবা সহায়তা কেন্দ্রের কার্যক্রম তদারকির সুযোগ থাকছে। এক কথায় বর্তমান সরকারের এটি সবচেয়ে বড় একটি উদ্যোগ। কারণ বৃহৎ জনগোষ্ঠীর কাছে এই সেবা ছিল প্রত্যাশিত, যার বাস্তবায়ন হতে যাচ্ছে।
ইমরান