ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ০৭ জুলাই ২০২৫, ২২ আষাঢ় ১৪৩২

সুফিয়া হত্যা, প্রেমের নাটক থেকে নির্মম পরিণতি

নিজস্ব সংবাদদাতা, গফরগাঁও, ময়মনসিংহ

প্রকাশিত: ২০:৩৯, ৬ জুলাই ২০২৫

সুফিয়া হত্যা, প্রেমের নাটক থেকে নির্মম পরিণতি

ছবি: জনকণ্ঠ

ময়মনসিংহের তারাকান্দার দাদরা গ্রামে সুফিয়া হত্যা মামলার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই পিবিআই ময়মনসিংহ রহস্য উদঘাটন করে এবং হত্যাকাণ্ডে জড়িত রোহান মিয়াকে গ্রেপ্তার করে।

শনিবার মধ্যরাতে ফুলপুরের বেপারী পাড়া থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। রোহান তারাকান্দার দাদরা গ্রামের আলাল মিয়ার ছেলে। পিবিআই ময়মনসিংহের পুলিশ সুপার মোঃ রকিবুল আক্তার জানান, গত ৩ জুলাই সকালে তারাকান্দার দাদরা গ্রামে একটি পরিত্যক্ত বাড়ির সেপটিক ট্যাংকিতে অজ্ঞাত নারীর গলিত মরদেহ পাওয়া যায়। খবর পেয়ে থানা পুলিশ, র‌্যাব, সিআইডি এবং পিবিআই ময়মনসিংহের একটি টিম ঘটনার রহস্য উদঘাটনে ছায়া তদন্ত শুরু করে।

তিনি আরও জানান, পিবিআইয়ের এডিশনাল আইজিপি মোঃ মোস্তফা কামালের তত্ত্বাবধানে এবং পুলিশ সুপার রকিবুল আক্তারের সহযোগিতায় তদন্তকারী কর্মকর্তা সালাহ উদ্দিন আহমেদ ও তার টিম তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় নিহতের পরিচয় শনাক্ত করেন। নিহতের নাম সুফিয়া খাতুন। তার পিতার নাম কেরামত আলী, তিনি ফুলপুরের পালগাঁওয়ের বাসিন্দা।

পরিচয় শনাক্তের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই তদন্তে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী ফুলপুরের বেপারী পাড়া এলাকা থেকে ঘাতক রোহানকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার দেখানো ও শনাক্ত মতে নিহত সুফিয়ার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি উদ্ধার করা হয়েছে।

পিবিআই জানায়, সুফিয়া খাতুন গত ২৯ জুন ছাগল বিক্রি করতে স্থানীয় তারাকান্দা বাজারে যান। সন্ধ্যার পর থেকে নিখোঁজ হলে তার ছোট ভাই ইলিয়াস তারাকান্দা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।

পিবিআইয়ের তদন্তে উঠে আসে, গ্রেপ্তারকৃত রোহান তার এক বন্ধুর কাছ থেকে সুফিয়ার মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করে প্রেমের অভিনয় শুরু করে। ২৯ জুন সুফিয়া বাজারে এলে রোহান তার সঙ্গে দেখা করে বিভিন্ন স্থানে ঘোরাফেরা করে। রাতে আনুমানিক ৯টার দিকে তাকে নিয়ে রোহানের এলাকার জনৈক গেসু মিয়ার পরিত্যক্ত, নির্জন বাড়িতে যায়।

সেখানে রোহান ও সুফিয়ার মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক হয়। এরপর কথাকাটাকাটি শুরু হলে সুফিয়া রোহানকে চড় মারেন। একপর্যায়ে রোহান সুফিয়ার গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে এবং মরদেহটি পাশের সেপটিক ট্যাংকিতে ফেলে দেয়।

পরে রোহান সুফিয়ার সঙ্গে থাকা ৪ হাজার টাকা ও মোবাইল ফোন নিয়ে আত্মগোপনে চলে যায়। তদন্তে জানা যায়, রোহান অতীতেও এই ধরনের হত্যাকাণ্ডে জড়িত ছিল বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার রকিবুল আক্তার।

শহীদ

×