ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

সমৃদ্ধ- উন্নত রাজশাহী

-

প্রকাশিত: ২০:৩৩, ৩১ জানুয়ারি ২০২৩

সমৃদ্ধ- উন্নত রাজশাহী

সম্পাদকীয়

রাজশাহী নগরীর ঐতিহাসিক মাদ্রাসা মাঠে  প্রধানমন্ত্রী  শেখ  হাসিনা এক সুবৃহৎ জনসমাবেশে আরও উন্নত ও সমৃদ্ধ জনপদ গড়ে তোলার ঘোষণা দিয়েছেন। চট্টগ্রামের পর প্রধানমন্ত্রীর এটি দ্বিতীয় নির্বাচনমুখী জনসভা বলে প্রতীয়মান হলেও বাস্তবে প্রাধান্য ও অগ্রাধিকার পেয়েছে উত্তর জনপদের এই নগরীর ব্যাপক ও বহুমুখী উন্নয়ন পরিকল্পনা। যেগুলোর অনেকাংশ ইতোমধ্যেই বাস্তবায়িত হয়েছে। অনেকটা চলমান এবং বাকিগুলো বাস্তবায়িত হতে যাচ্ছে অচিরেই।

সমাবেশস্থল থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজশাহী সিটি করপোরেশনের ৭টি প্রকল্পসহ মোট ২৬টি প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। এর বাইরে ৬টি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। প্রকল্পগুলোর ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৭৬ কোটি ২৮ লাখ টাকা। এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, রাজশাহী সবসময় অবহেলিত ছিল। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় এসে রাজশাহীর ব্যাপক উন্নয়ন সাধন করে। এ পর্যন্ত ১০ হাজার ৬৬০ কোটি টাকার বিভিন্ন ধরনের উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়ন হয়েছে।

বর্তমানে ৪ হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন কর্মকা- চলমান। আর এসবই রাজশাহীবাসীর জন্য বর্তমান জনবান্ধব ও উন্নয়নমুখী সরকারের উপহার। প্রধানমন্ত্রী আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, দৃশ্যমান এসব উন্নয়ন দেখে এবং সেবা পেয়ে রাজশাহীবাসী অবশ্যই তা মূল্যায়ন করবে এবং আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সুচিন্তিত সিদ্ধান্ত নিতে সক্ষম হবে। 
প্রসঙ্গত প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে অঙ্গীকারবদ্ধ। এর জন্য চাই সারাদেশের সুসম উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি। বর্তমান সরকার এসব বিষয়ে সবসময় অগ্রাধিকার দিয়ে থাকে। প্রকৃতপক্ষে যথার্থ উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির সোপান হলো সর্বস্তরের জনসাধারণের কল্যাণ এবং মঙ্গলের নিমিত্ত সবাইকে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে সম্মিলিত ও সমন্বিত উন্নয়ন। আর তা হলেই দেশের সর্বস্তরের মানুষ প্রকৃত উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির সুফল ভোগ করার পাশাপাশি গড়ে তুলতে সক্ষম হবে স্মার্ট বাংলাদেশ। 
তবে প্রধানমন্ত্রীর সুবিশাল জনসভায় সবটা ছাপিয়ে সবার ওপরে যে বিষয়টি উঠে এসেছে, তাহলোÑ রাজশাহীর সার্বিক ও সামগ্রিক উন্নয়ন প্রসঙ্গ। রাজশাহী হলো উত্তরবঙ্গের ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রাণকেন্দ্র এবং উন্নত শিক্ষানগরী। রাজশাহীর ল্যাংড়া ও ফজলি আম খুবই বিখ্যাত ও সুস্বাদু। বিশেষ করে ফজলি আম ইতোমধ্যেই পেয়েছে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রাজশাহীর আম রপ্তানিও হচ্ছে। রাজশাহীর সিল্কও ভুবনবিখ্যাত।

সেই ক্ষেত্রে রাজশাহীর উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি সুনিশ্চিত হলে বাংলাদেশের জাতীয় অর্থনীতিতে আরও ইতিবাচক অবদান রাখতে সক্ষম হবে আগামীতে। রাজশাহীর ব্যাপক উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির পেছনে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি হিসাবে মেয়রের অবদানও কম নয়। ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান হিসেবে তিনি নিরন্তর সক্রিয় ভূমিকা পালন করে চলেছেন রাজশাহীর উন্নয়নে।

×