ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

বঙ্গবন্ধু ও ’৭২-এর সংবিধান

অধ্যাপক ড. রেবা মণ্ডল

প্রকাশিত: ২০:২৯, ৩ নভেম্বর ২০২২

বঙ্গবন্ধু ও ’৭২-এর সংবিধান

বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার স্বাধীন বাংলাদেশের সংবিধান- নিজ হাতে গড়া

বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার স্বাধীন বাংলাদেশের সংবিধান- নিজ হাতে গড়া স্বল্প সময়ে প্রণীত সংবিধান বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ একটি সংবিধান। ৪ নভেম্বর আমাদের প্রিয় স্বদেশভূমির গর্বের সংবিধান দিবস। অনেক ত্যাগ-তিতিক্ষা-নিপীড়ন-নির্যাতন-রক্তস্নাত গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান (The Constitution of the People’s Republic of Bangladesh) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবিসংবাদিত নেতৃত্বের সুদৃঢ় ফসল, যা বাংলাদেশের মানুষের মানুষ হিসেবে বেঁচে থাকার, ব্যক্তিত্ব বিকাশে এবং পারিবারিক, সামাজিক, রাষ্ট্রীয় ও আন্তর্জাতিক জীবনে সুখ-শান্তি-নিরাপত্তা ও উন্নয়নের সামগ্রিক দিককে বিস্তৃত ও সমৃদ্ধ করে।

১৯৭২ সালের ৪ নভেম্বর স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের সংবিধান বিল সর্বসম্মতভাবে গৃহীত এবং ১৬ ডিসেম্বর মহান সংবিধান কার্যকর হওয়ার প্রত্যক্ষ কার্যকরণ ও নেতৃত্ব বঙ্গবন্ধুর। ইতিহাস সাক্ষ্য দেয় যে, ১৯৭২ সালের ২৩ মার্চ রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমান কর্তৃক Constituent Assembly of Bangladesh Order 1972 (P.O 22 of 1972) জারি করা হয়।
উল্লেখ্য, ১৯৭০-এর সাধারণ নির্বাচনের অন্যতম মূল উদ্দেশ্য ছিল একটি গণতান্ত্রিক শাসনতন্ত্র প্রণয়ন। রাষ্ট্রপতির আদেশ অনুসারে ১৯৭০-এর সাধারণ নির্বাচনে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে নির্বাচিত জাতীয় পরিষদ ও প্রাদেশিক পরিষদের ৩৪ সদস্যের সমন্বয়ে গঠিত কমিটি মোট ৮৫টি বৈঠক শেষে ১২ অক্টোবর ১৯৭২-এ সংবিধান বিল উত্থাপন ও আলোচনা শেষে গৃহীত হয়। বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু সেদিন আলোচনায় বলেন, ‘দুনিয়ার ইতিহাসে দেখা যায় না দশ মাসের মধ্যে কোনো দেশ শাসনতন্ত্র দিতে পেরেছে...।’

ভেবে অবাক হই এবং বঙ্গবন্ধুকে অন্তরের গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করি যে, ১৯৪৭ সালে দেশ বিভাগের পর থেকে  পশ্চিমা কুচক্রী মহলের অমানবিক কা-জ্ঞানহীন সাম্প্রদায়িক মৌলবাদী শাসকচক্রের দ্বারা বঙ্গবন্ধু ও পূর্ব বাংলার জনতার ওপর পরিচালিত দীর্ঘ ২৩ বছরের অন্যায়-অবিচার-অনাচার-বৈষম্য-নির্যাতন-হত্যা-গণহত্যার বিরুদ্ধে বঙ্গবন্ধুর মানবতাবাদী মনস্তত্ত্বের অসীম সাহস, অবিচল দুর্বার আন্দোলন-সংগ্রামের পথ ধরে অসাধারণ একটি সংবিধান প্রণীত হয়েছে।

মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষ শক্তি এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় (World Community) মনেপ্রাণে স্বীকার করবে স্বাধীন বাংলাদেশের সংবিধান জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর উর্বর মস্তিষ্কেরই অনবদ্য সৃষ্টি (Creation)। ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে নির্মম-নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করে পরবর্তীতে ’৭২-এর সংবিধানকে কাটা-ছেড়ার মাধ্যমে বিধ্বস্ত করে বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারী ও স্বাধীনতাবিরোধী গোষ্ঠী বঙ্গবন্ধুর প্রিয় আপামর জনগোষ্ঠীকে কয়েকশ’ বছর অনুন্নত-পশ্চাৎপদ জনগোষ্ঠীতে পরিণত করেছিল, যা বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা সরকার পুনরুদ্ধার করে বাংলাদেশকে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের উন্নত-সমৃদ্ধ জনগোষ্ঠীসম্পন্ন বাংলাদেশে পরিণত করেছে। বাংলাদেশ আজ বিশ্বের উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে সুপরিচিতি লাভ করেছে।

আমাদের সংবিধানের প্রস্তাবনাসহ পুরো ১৫৩টি অনুচ্ছেদের প্রতিটি শব্দে বঙ্গবন্ধুর আজীবন রাজনৈতিক সংগ্রামে পূর্ব বাংলার জনগণের জন্য প্রতিটি দাবি প্রতিফলিত হয়েছে। ইংরেজিতে একটি কথা আছে- জড়সব ধিং হড়ঃ নঁরষঃ রহ ধ ফধু. দ্বার্থহীনভাবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান প্রণয়ন ও কার্যকর হওয়ার সার্বিক বিষয় বঙ্গবন্ধুর বজ্রকণ্ঠ থেকে ধ্বনিত জনগণের অধিকার আদায়ের ঘোষণা বাস্তবায়নের মূর্ত প্রতীক। পশ্চিমা শাসকচক্র প্রথম মাতৃভাষা বাংলার ওপর ১৯৪৮ সাল থেকে আঘাত হানে।

’৫২-এর ভাষা আন্দোলনে বঙ্গবন্ধুর তীব্র প্রতিবাদ ও কারাভোগের ইতিহাস অবিস্মরণীয়। সংবিধানের প্রথমভাগের ৩ নম্বর অনুচ্ছেদে প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রভাষা বাংলা সংরক্ষিত হয়েছে। বঙ্গবন্ধু যে সুজলা-সুফলা-শস্য-শ্যামলা বাংলার মাটি ও মানুষের জন্য মুক্তি ও স্বাধীনতা চেয়েছেন তা বিবৃত হয়েছে অনুচ্ছেদ ৪(১),(২),(৩),(৪)-এ। বঙ্গবন্ধু পাকি শাসকচক্রের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করেছেন বাঙালি জাতীয়তাবাদের ভিত্তিতে এবং আত্মনিয়ন্ত্রণ অধিকার চর্চা ও দেশ স্বাধীন করেছেন বাঙালি জাতীয়তাবোধের অনুভূতিতে ঐক্যবদ্ধ সংগ্রামের মধ্য দিয়ে।

’৭২-এর সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৬(২) এবং অনুচ্ছেদ ৯-এ বাঙালি জাতীয়তা এবং বাঙালি জাতির ঐক্য সংহতি বাঙালি জাতীয়তাবাদের ভিত্তি হিসেবে সন্নিবেশিত হয়েছে।
ঐতিহাসিক পল্টন ময়দানে বঙ্গবন্ধু ভাষণে বলেছিলেন- এই বাংলা মীরজাফরের বাংলা। আবার এই বাংলাই তিতুমীর-সুভাষ-নজরুল-ফজলুল হক-সোহরাওয়ার্দী-মাওলানা ইসলামাবাদীর বাংলা। তিনি সেদিন পশ্চিমাদের পূর্ব বাংলাবিরোধী কর্মকা-ের প্রেক্ষিতে বাঙালিদের প্রতি কত গভীর মমত্ব থাকলে বলেছেন- এই বাংলা যদি একবার রুখে দাঁড়ায় তবে আপনাদের সিপাই, বন্দুক, কামান, গোলা সবই স্রোতের শেওলার মতো কোথায় ভেসে যাবে, হদিসও পাবেন না।

পাকিস্তানি সরকার পূর্ব বাংলার সম্পদ নিয়ে পশ্চিম পাকিস্তানে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি ঘটিয়ে পূর্ব বাংলার মানুষকে ভুখানাঙা-জরাজীর্ণ-রুগ্ন-অসহায় মানুষে পরিণত করেছিল। দুর্ভিক্ষ দেখা দিয়েছিল, যার বিরুদ্ধে বঙ্গবন্ধুর অন্তর কেঁদে উঠেছিল আর প্রতিবাদের ঝড় তুলেছিলেন। তাই শোষণমুক্ত সমাজ ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের লক্ষ্যে সংবিধানে সাম্প্রদায়িক ও মৌলবাদী সরকারের বিরুদ্ধে বঙ্গবন্ধু আজীবন লড়াকু ছিলেন। যার প্রতিফলন অনুচ্ছেদ ১২ যেখানে ধর্মনিরপেক্ষতা ও ধর্মীয় স্বাধীনতার স্বীকৃতি রয়েছে।

ব্রিটিশ শাসনের অবসানে তৎকালীন ভারতীয় উপমহাদেশে স্বস্তির নিশ্বাস এলেও পাকিস্তান-ভারত আলাদা স্বাধীন রাষ্ট্র হওয়ার পর পাকিস্তানও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ নিয়ে বেড়ে উঠবে এরকমটি প্রত্যাশা ছিল পূর্ব বাংলার প্রকৃত গণতান্ত্রিক নেতৃবৃন্দের ও জনগণের। কিন্তু তা বারবার ভূলুণ্ঠিত হয়েছে।
১৯৫৮ সালে পাকিস্তানের সংসদীয় গণতন্ত্রের বিলুপ্তি ঘটে ইস্কান্দার মীর্জা এবং আইয়ুব খানের পাকিস্তানকে রক্ষার নামে সামরিক শাসন জারির মাধ্যমে। আইয়ুব খান সকল রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করে। রাজনৈতিক কার্যকলাপ বন্ধের উদ্দেশ্যে ‘পোডো’ ও ‘এবডো’ দুটি আইন জারি করে, যার আওতাধীন হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীও ছিলেন। আইয়ুব খানের সামরিক শাসনের অধীনে শেখ মুজিবুর রহমান, মওলানা ভাসানী গ্রেপ্তার হন।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় বঙ্গবন্ধু তাঁর জীবদ্দশায় সর্বমোট ৪৬৮২ দিন জেলে কাটিয়েছেন। আইয়ুব খানের ইতিহাস কুখ্যাত ইধংরপ ফবসড়পৎধপু- মৌলিক গণতন্ত্র সে বুনিয়াদী গণতন্ত্র জনগণের সরাসরি ভোটে অংশগ্রহণের অধিকার কেড়ে নিয়েছিল। যার বিরুদ্ধে বঙ্গবন্ধু ও বাংলার মানুষ ধিক্কার ও তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন। ১৯৬২ সালে আইয়ুব খানের এক ব্যক্তির দেয়া শাসনতন্ত্রের প্রধান দুটি উদ্দেশ্য হলো- * সকল ক্ষমতা কেন্দ্রীভূত।

দেশের সর্বময় কর্তা প্রেসিডেন্ট- তিনি সর্বাধিক ক্ষমতার অধিকারী। * জনগণের ওপর পূর্ণ অনাস্থা। জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে প্রেসিডেন্টকে নির্বাচন করার অধিকার নেই। গণতন্ত্রবিরোধী স্বৈরাচারী আইয়ুবের বিরুদ্ধে ব্যাপক গণআন্দোলনের নেতৃত্বে শেখ মুজিবুর রহমান চিরঞ্জীব।  আর তাই বাংলাদেশ সংবিধানে জনগণের আশা-আকাক্সক্ষা প্রতিফলিত হয়েছে। পশ্চিমা শাসকরা পূর্ব বাংলার মানুষের রাজনৈতিক অধিকার, সমাবেশ-সংগঠনের অধিকার, চলাফেরার স্বাধীনতা হরণ করেছিল, যার প্রতিটির বিরুদ্ধে বঙ্গবন্ধুর দুর্বার সংগ্রাম ছিল।

স্বাধীন বাংলাদেশে সমাবেশের স্বাধীনতা (অনু:৩৭), সংগঠনের স্বাধীনতা (অনুঃ৩৮), চলাফেরার স্বাধীনতা (অনুঃ৩৬), চিন্তা-বিবেকের স্বাধীনতা এবং বাক-স্বাধীনতা (অনুঃ৩৯), আইনের আশ্রয় লাভের অধিকার (অনুঃ৩১), আইনের দৃষ্টিতে সমতা (অনুঃ২৭), ধর্ম-গোষ্ঠী-বর্ণ, নারী-পুরুষভেদে বা জন্ম স্থানের কারণে বৈষম্য প্রদর্শন না করা (অনুঃ২৮) ইত্যাদি মৌলিক অধিকার স্বীকৃত ও সংরক্ষিত হয়েছে সংবিধানের তৃতীয় অধ্যায়ে।

বঙ্গবন্ধু ছিলেন কৃষক-শ্রমিক-মেহনতি মানুষের বন্ধু। ১৯৬৪ সালের ১২ জুলাই জুলুম প্রতিরোধ দিবসে পল্টন ময়দানে ভাষণ দিয়েছিলেন- ‘আমাদের কথা নয়, সরকারি রিপোর্টেই বলা হয়েছে যে, পূর্ব পাকিস্তানের কৃষক ৯৩ কোটি টাকা ঋণগ্রস্ত। ...এই কারণেই বলি সেই লাহোর প্রস্তাবের ভিত্তিতে শাসনতন্ত্র প্রণয়ন করতে হবে, অন্যথায় পূর্ব পাকিস্তানের বাঁচার উপায় নাই।’

বঙ্গবন্ধু যে স্বাধীন বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক সংবিধান রচনার জন্যই সংগ্রাম করেছিলেন তার আরও বড় প্রমাণ ১৯৬৬-এর ৬ দফা কর্মসূচির ১ নম্বর দফা, যেখানে বলা হয়েছে যে, ঐতিহাসিক লাহোর প্রস্তাবের ভিত্তিতে শাসনতন্ত্র রচনা করে পাকিস্তানকে একটি সত্যিকার ফেডারেশনরূপে গড়তে হবে। সরকার হবে পার্লামেন্টারি পদ্ধতির। সমস্ত নির্বাচন সর্বজনীন প্রাপ্তবয়স্কদের সরাসরি ভোটে অনুষ্ঠিত হবে। আইনসভাসমূহের সার্বভৌমত্ব থাকবে।

বঙ্গবন্ধু ১ নম্বর দফায় যে প্রস্তাব করেন তা গণভোটে যাচাইয়ের জন্য বলেন। ১৯৭২-এর সংবিধান গৃহীত হওয়ার আগে জনগণের মতামত সংগ্রহের আহ্বান করা হয়। সংগৃহীত মতামত থেকে ৯৮টি সুপারিশ গ্রহণ করা হয়। এ থেকেও প্রতীয়মান হয় যে, বঙ্গবন্ধুর ৬ দফার ১ নম্বর দফার প্রস্তাবকে অনুসরণ করে ৭২-এর সংবিধান প্রণীত হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক দর্শন- জনগণের অধিকার, মানবীয় মর্যাদা, সাম্য-স্বাধীনতা-মুক্তি-উন্নয়ন এবং জাতীয় সংহতি, যার প্রতিফলন মুক্তিযুদ্ধের মৌল তিনটি নীতিতে বিকশিত।

Equality, Human Dignity, Social Justice. আর এ নীতিসমূহের প্রকৃত বাস্তবায়ন ঘটেছে সংবিধানের রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি সংক্রান্ত ২য় অধ্যায়ের ৮ নং অনুচ্ছেদে, যেখানে জাতীয়তাবাদ, গণতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা ও সমাজতন্ত্রকে রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু জীবনভর জনতার সুখ অন্বেষণের ও সার্বিক অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য স্বাধীন বাংলাদেশ সৃষ্টির সংগ্রামে ডাক দিয়ে বিজয়ী হয়ে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করেছেন, যা প্রকৃতপক্ষেই বাংলার জনগোষ্ঠীর জন্য।

জনদরদী পোয়েট অব পলিটিক্স বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সংবিধানে দেখতে পাই- বাংলাদেশের ভৌগোলিক নির্দিষ্ট সীমারেখা, প্রজাতান্ত্রিক ও গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র বাংলাদেশ, যার সকল ক্ষমতার উৎস জনগণ। ’৭২-এর সংবিধান মৌলিক সংবিধান বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক-সামাজিক-সাংস্কৃতিক দর্শনের ও মূল্যবোধের বহির্প্রকাশ, যা প্রকৃতপক্ষেই বঙ্গবন্ধু রচিত সর্বোচ্চ আইনের দলিল। অত্যন্ত আনন্দের কথা এই যে, বর্তমান সরকার সংবিধান দিবসকে জাতীয় দিবস হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

লেখক : চেয়ারম্যান, আইন বিভাগ এবং সাবেক ডিন, আইন অনুষদ, ইবি, বাংলাদেশ

×