ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১

বঙ্গবন্ধু কৃষি পুরস্কার ও আজিজুল হক রুরাল ডেভেলপমেন্ট অ্যাওয়ার্ড

ড. মিহির কুমার রায়

প্রকাশিত: ২২:৫৯, ২৩ অক্টোবর ২০২২

বঙ্গবন্ধু কৃষি পুরস্কার ও আজিজুল হক রুরাল ডেভেলপমেন্ট অ্যাওয়ার্ড

.

১২ অক্টোবর ‘বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার ১৪২৫ ও ১৪২৬’ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দীর্ঘস্থায়ী রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং চলমান কোভিড-১৯ মহামারীর কারণে বাংলাদেশ যাতে খাদ্যের অপ্রতুলতার মতো পরিস্থিতির মুখোমুখি না হয়, সেজন্য দেশবাসীকে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালানোর আহ্বান জানান। তিনি বলেন, খাদ্যের চাহিদা কখনো কমবে না, বরং বাড়বে। চলমান অর্থনৈতিক মন্দার কারণে অনেকেই খাদ্য সংকটে পড়বে। হয়ত অনেক দেশে আমাদের খাদ্য সহায়তা পাঠাতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী কৃষি উৎপাদন বাড়াতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, এক ইঞ্চি জমিও অনাবাদি রাখবেন না, এক ইঞ্চি জমি নষ্ট করবেন না। যে যা পারেন উৎপাদন করেন, বাড়ির আঙিনায়, খোলা জায়গায় যে যা পারেন উৎপাদন করেন। আমাদের মাটি ও মানুষ আছে। তাই এখন থেকেই আমাদের উদ্যোগ নিতে হবে, যাতে বাংলাদেশ কখনও দুর্ভিক্ষ বা খাদ্য সংকটে না পড়ে। আমরা আমাদের খাদ্য উৎপাদন বাড়াব। প্রধানমন্ত্রী বিশ্ব বাজারে প্রতিটি জিনিসের মূল্যবৃদ্ধি এবং পরিবহন ব্যয় অস্বাভাবিক বৃদ্ধির উল্লেখ করে আমদানিনির্ভরতা কমিয়ে আনার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। যুদ্ধের কারণে সারাবিশ্বের সাধারণ মানুষ চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘে প্রদত্ত ভাষণে যুদ্ধ বন্ধ করার উদাত্ত আহ্বানের পাশাপাশি শিশুদের জন্য খাদ্য, চিকিৎসা, শিক্ষার উন্নত জীবন নিশ্চিত করার ব্যবস্থা গ্রহণের কথাও বলেন। তিনি বলেন, পণ্যের দাম যেমন বেড়েছে, পাশাপাশি পরিবহনের খরচও কিন্তু অতিরিক্ত বেড়েছে। তার পরও কৃষকদের ভর্তুকি কিন্তু অব্যাহত রয়েছে। কারণ, দেশের মানুষের খাদ্য এবং পুষ্টির চাহিদা পূরণ করতে হবে। সেদিকে লক্ষ্য রেখেই আমরা কাজ করে যাচ্ছি। এটা মাথায় রাখতে হবে যে, আমরা কখনো আমদানিনির্ভর না হয়ে যেন স্বনির্ভর হতে পারি। রপ্তানি পণ্য বৃদ্ধির ক্ষেত্রে কৃষি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া এবং গবেষণা বাড়ানোর ওপর জোর দেন। এক্ষেত্রে তিনি দেশীয় বিজ্ঞানীদের জুট জেনোম আবিষ্কারের প্রসঙ্গ টেনে পাটপণ্যের বহুমুখীকরণ করে রপ্তানি বৃদ্ধিতে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি খাতকেও এগিয়ে আসতে বলেন। সরকার প্রধান যত্রতত্র শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠে যেন কৃষি জমি নষ্ট না করে, সেজন্য সারাদেশে ১শ’ বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল (শিল্পাঞ্চল) প্রতিষ্ঠায় সরকারের উদ্যোগের কথাও তুলে ধরেন।

যে যে অঞ্চলে আমাদের যেসব কৃষিপণ্য উৎপাদিত হয়, সেই উৎপাদন বৃদ্ধি করে সেগুলো প্রক্রিয়াজাত করার জন্য সেসব অঞ্চলে আমরা কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে পারি। প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে গণভবন থেকে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে কৃষি মন্ত্রণালয় আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন। অনুষ্ঠানে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সাফল্য ও এর কার্যক্রমের ওপর একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে কৃষিমন্ত্রী কৃষি গবেষণা ও সম্প্রসারণ, সমবায়, উদ্বুদ্ধকরণ, প্রযুক্তি উদ্ভাবন, বাণিজ্যিক চাষ, বনায়ন, গবাদিপশু পালন এবং মাছ চাষে অবদানের জন্য ৪৪ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের মধ্যে বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার ১৪২৫ ও ১৪২৬ বিতরণ করেন। নির্বাচিত ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের মধ্যে তিনটি স্বর্ণ পদক, ষোলোটি রৌপ্য পদক এবং পঁচিশটি ব্রোঞ্জ পদক বিতরণ করা হয়। স্বাধীনতার ৫২ বছর পর এই মহতী উদ্যোগ আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয় যে, গত শতাব্দীর সত্তরের দশকে কৃষিই ছিল দেশের অর্থনীতির প্রধান খাত। কৃষিকে দেখে দেখেই বেড়ে উঠেছেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু। কৃষি পরিবারে বেড়ে ওঠা বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ ও কৃষকদের জন্য সংগ্রামের মাধ্যমে স্বপ্ন দেখিয়ে একটি স্বাধীন বাংলাদেশ এনেছেন। সেই স্বপ্নই বাস্তবায়িত করছেন তাঁর সুযোগ্যকন্যা শেখ হাসিনা। বঙ্গবন্ধু স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয়ে উল্লেখযোগ্য কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। এর মধ্যে, কৃষির উন্নতির জন্য সমবায় কৃষি ব্যবস্থা প্রবর্তন করেন। বন্যা ও খরার হাত থেকে কৃষককে রক্ষার জন্য বিভিন্ন ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। সরকারি ইজারাদারি প্রথা বিলুপ্ত করেন। বঙ্গবন্ধু কৃষকদের ২৫ বিঘা পর্যন্ত জমির খাজনা মওকুফ করেন। এ কারণে কৃষিকাজে জড়িতরা উপকৃত হয়েছেন। খাজনা দেওয়ার অক্ষমতা ও জটিলতা হতে মুক্ত হয়ে কৃষকরা নিশ্চিন্তে কাজ করেছেন প্রাতিষ্ঠানিক কৃষি উন্নয়ন তথা কৃষি এবং কৃষকের কথা ভেবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার পর বাংলাদেশের জনগণের ক্ষুধা ও দারিদ্র্য মুক্তির লক্ষ্যে কৃষি উন্নয়নের বৈপ্লবিক পদক্ষেপ গ্রহণ করেন।
কৃষিভিত্তিক প্রতিষ্ঠান স্থাপন, সংস্কার, উন্নয়ন এবং ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে পল্লী উন্নয়ন ও দারিদ্র্য বিমোচনে অসামান্য অবদানের জন্য ‘আজিজ-উল-হক রুরাল ডেভেলপমেন্ট অ্যাওয়ার্ড- ২০২২’ লাভ করেছে বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন একাডেমি (বার্ড)। এর আগে পল্লী উন্নয়নে বিশেষ অবদান রাখার জন্য বার্ড, ১৯৬৩ সালে মেগসেস অ্যাওয়ার্ড ও ১৯৮৬ সালে ‘স্বাধীনতা পদক’ লাভ করে। এশীয় ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের পল্লী উন্নয়নের জন্য প্রতিষ্ঠিত আন্তর্জাতিক সংস্থা সিরডাপ ২০২১ সালে সংস্থাটির প্রথম প্রধান নির্বাহী আজিজ-উল-হকের সম্মানে ‘আজিজ-উল-হক রুরাল ডেভেলপমেন্ট অ্যাওয়ার্ড’ চালু করে। ২০২১ সালে ওই পদক লাভ করেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বার্ডের পক্ষে থাইল্যান্ডে সিরডাপের টেকনিক্যাল কমিটির সভায় বার্ডের সম্মানিত মহাপরিচালক এই পদক গ্রহণ করেন। বিষয়টি খবই সম্মানের, যা বার্ডের জন্য একটি বড় প্রাপ্তি। উল্লেখ্য যে, সিরডাপ ১৯৭৯ সালের ৬ জুলাই জাতিসংঘের সাহায্যে প্রথমত ৬টি রাষ্ট্রের সদস্য পদ নিয়ে প্রতিষ্ঠা লাভ করে, যা বর্তমানে ১২টিরও বেশি সদস্য রাষ্ট্রের অনুদানে পরিচালিত হয়ে আসছে।
সিরডাপের লিংক প্রতিষ্ঠান হিসাবে বাংলাদেশে বার্ড কাজ করে যাচ্ছে এবং গবেষণা বিভাগ বার্ডের পক্ষে দৈনন্দিন কাজ দেখভাল করে থাকে। বার্ড কর্তৃক উদ্ভাবিত পল্লী উন্নয়নের ‘কুমিল্লা মডেল’-এর জন্য সংস্থাটি দেশে-বিদেশে সুখ্যাতি অর্জন করে। বর্তমানে বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন একাডেমি (বার্ড) স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের অধীন একটি স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, যার যাত্রা শুরু হয় ১৯৫৯ সালের ২৭ মে। পল্লী উন্নয়নের ক্ষেত্রে প্রশিক্ষণ, গবেষণা ও প্রায়োগিক গবেষণা পরিচালনাকারী একটি প্রতিষ্ঠান হিসেবে, যার প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ছিলেন আখতার হামিদ খান, যিনি একজন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন সমাজ বিজ্ঞানী, কুমিল্লা পল্লী উন্নয়ন পদ্ধতির প্রবর্তক ও বার্ডের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক।
বঙ্গবন্ধুকন্যা ১৯৯৬ সালে সরকার গঠন করে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়েছিলেন মানুষের ভাতের চাহিদা নিশ্চিতকরণে। ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ বিনির্মাণে জ্ঞাননির্ভর কারিগর তৈরিতে তিনি হলেন অত্যন্ত আন্তরিক। তাই কৃষি শিক্ষায় অধিক সংখ্যক মেধাবী শিক্ষার্থীর সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে এবং কৃষি শিক্ষাকে আধুনিক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সম্মিলনে বিকশিত করতে তিনি ১৯৯৮ সালের ২২ নভেম্বর ইপসাকে উন্নীত করে প্রতিষ্ঠা করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়। তিনি ১৯৯৯ সালের ১১ সেপ্টেম্বর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের মাধ্যমে হাজী মোহাম্মদ দানেশ কৃষি কলেজকে উন্নীত করেন হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে। প্রধানমন্ত্রীর আন্তরিকতার ফসল হিসেবে বাংলাদেশ কৃষি ইনস্টিটিউট উন্নীত হয় শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এবং পটুয়াখালী কৃষি কলেজ রূপান্তরিত হয় পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় নামে একটি পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে। পরবর্তী সময়ে দেশের প্রাচীন ও বৃহত্তম বিশ্ববিদ্যালয়, যা প্রাচ্যের অক্সফোর্ড নামে খ্যাত, সেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মৎস্য বিদ্যা বিভাগ চালু এবং দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে কৃষি শিক্ষা বিকশিত করতে বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বিদ্যাপীঠ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে চালু করেন কৃষি, মৎস্য ও পশু চিকিৎসা অনুষদ।
বাংলাদেশের কৃষির বর্তমান চ্যালেঞ্জ বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব মোকাবিলা করে দেশের ক্রমহ্রাসমান ভূমি থেকে ক্রমবর্ধমান জনগোষ্ঠীর পুষ্টি নিশ্চিতকরণ, সেই সঙ্গে বিশ্বের ক্ষুধা ও দারিদ্র্যপীড়িত দেশগুলোয় খাদ্য সহায়তা প্রদান এবং আধুনিক বিজ্ঞানের ছোঁয়ায় প্রাগ্রসর বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মানুষের পুষ্টি চাহিদা জোগানোর ক্ষেত্রে অংশীদারিত্ব পালন। অধিকতর কৃষিজ উৎপাদন, যথাযথ প্রক্রিয়াকরণ, সংরক্ষণ ও বাজারজাতের মাধ্যমে অভীষ্ট লক্ষ্য অর্জন সম্ভব। এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রয়োজন অধিকসংখ্যক দক্ষ ও যোগ্য কৃষি উদ্যোক্তা, গবেষক ও সম্প্রসারণ কর্মী। তাই প্রধানমন্ত্রী কৃষিশিক্ষা ও গবেষণাকে আঞ্চলিক জলবায়ু এবং ফসল বিন্যাসের ধারায় উৎকর্ষ সাধন করতে এলাকাভিত্তিক কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় বা কৃষি ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠাকে প্রাধান্য দিয়েছেন। তাঁর আন্তরিকতা ও প্রচেষ্টার ফলস্বরূপ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়। এছাড়াও দেশে আরও চারটি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার কার্যক্রম দ্রুত এগিয়ে চলছে।

প্রতিটি কৃষি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আজ সর্বোচ্চ মেধাবী তরুণ-তরুণীর পছন্দের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় বিদ্যাপীঠ হিসেবে প্রস্ফুটিত। সাম্প্রতিক বছরগুলোয় এসব প্রতিষ্ঠানে পুরুষের তুলনায় অধিকসংখ্যক নারী শিক্ষার্থী ভর্তি হচ্ছে এবং একাডেমিক ফলে তাদের প্রাধান্য লক্ষণীয়। এ ধারা বাংলাদেশের কৃষিকে বিকশিত ও নারীর ক্ষমতায়ন এবং বহির্বিশ্বে আমাদের বৈষম্যহীন ও অসাম্প্রদায়িক  চেতনার ইতিবাচক লক্ষণ বলে প্রশংসিত হয়েছে। প্রতিটি কৃষি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে অব্যাহত গতিতে সৎ, নিষ্ঠাবান ও করিতকর্মা কৃষিবিদ তৈরি হচ্ছে। অনেক কৃষিবিদ উদ্যোক্তা হয়ে নিজে হয়েছেন সমৃদ্ধ আর দেশের অর্থনীতিকে করেছেন বেগবান। কৃষিবিদরা নিজ নিজ দায়িত্ব নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করে কৃষি শিক্ষার সুনাম ও মর্যাদা সর্ব মহলে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর উদ্যোগে দেশের প্রতিটি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে অবকাঠামো নির্মাণ ও গবেষণার ভৌত সুবিধা উন্নয়নের কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে। আগামী দিনে প্রতিটি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকরা জলবায়ুর নেতিবাচক প্রভাব মোকাবিলা করে নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন, প্রক্রিয়াকরণ, সংরক্ষণ ও বাজারজাতে আরও সুফল বয়ে আনবে বলে দেশবাসীর প্রত্যাশা।

লেখক : কৃষি অর্থনীতিবিদ, ডিন, ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদ, সিটি ইউনিভার্সিটি, ঢাকা

 

×