ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ১৯ মে ২০২৫, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

বঙ্গবন্ধু ও অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ

ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী

প্রকাশিত: ২১:২৯, ১৫ জুলাই ২০২২

বঙ্গবন্ধু ও অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ

.

মুক্তির মহানায়ক জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর সদাদীপ্ত লালিত স্বপ্ন ছিল স্বজাত্যবোধনির্ভর একটি গণতান্ত্রিক-অসাম্প্রদায়িক-মানবিক-দারিদ্র্য ও শোষণমুক্ত সমাজ নির্মাণমাটি ও মানুষের প্রতি গভীর মমত্ববোধে ঋদ্ধ ইমান-দেশপ্রেমের অবিচল শক্তিমানতায় ধারণ করেছিলেন বাঙালীর রাজনৈতিক-সামাজিক ও অর্থনৈতিক মুক্তির আদর্শদীর্ঘ স্বাধীনতা সংগ্রাম-মহান মুক্তিযুদ্ধ-স্বাধীন বাংলাদেশ পুনর্গঠনের ধারাবাহিকতায় নানামুখী চক্রান্ত-ষড়যন্ত্রের শিকারে জীবনের দীর্ঘ সময় কারাভোগ-প্রায় সপরিবারে জীবন বিসর্জনে কখনও আপোস-নতিস্বীকার না করেই বিশ্বে বিস্ময়কর অবিসংবাদিত নেতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেনকিশোর থেকে শুরু করে ছাত্রজীবন ও পরবর্তী রাজনৈতিক সময়কালে ব্রিটিশ-ভারত-পাকিস্তান নামক ভঙ্গুর রাষ্ট্র ব্যবস্থায় ধর্ম-বর্ণ-ভাষা-অঞ্চল-অধিকারবঞ্চিত বাঙালী জাতির বিরোধ-বিচ্ছেদ-সংঘাত-দাঙ্গা ইত্যাদি অবলোকনে যারপরনাই ব্যথাহত জীবন পরিচালনা করেছেনএসব যন্ত্রণাদগ্ধ অভিজ্ঞতার আলোকেই মুক্ত মাতৃভূমি প্রতিষ্ঠা এবং সৌহার্দ্য-সম্প্রীতি-মনুষ্যত্বের পরিচায়ক এক অতুলনীয় জাতিরাষ্ট্রের আবির্ভাবে বঙ্গবন্ধু ছিলেন অভিনব আলোকবর্তিকা

জনশ্রুতিমতে মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত স্বাধীনতাকে যথার্থ অর্থবহ করার উদ্দেশ্যে নিগূঢ় নিষ্ঠার সঙ্গে দেশকে এগিয়ে নেয়ার প্রাক্কালেই যেসব অপশক্তি সক্রিয় ছিল তাদের বশংবদ-অন্ধকারের শক্তিগুলোর হীন তপরতা প্রকট পরিলক্ষিত হচ্ছেদেশীয় ও আন্তর্জাতিক চক্রান্তের ফলশ্রুতিতে দেশকে অস্থিতিশীল করে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বকে হেয়প্রতিপন্ন করা-নৃশংস হত্যাযজ্ঞের নীলনকশা তৈরিতে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠান-সংস্থার ভূমিকা দেশবাসী নতুন করে উপলব্ধি করছেঅদম্য অগ্রগতিতে দেশকে উন্নয়ন অভিযাত্রায় বিশ্বপরিম-লে উঁচুমাত্রিকতায় সমাসীনে সফল ও সার্থক রাষ্ট্রনায়ক বঙ্গবন্ধুকন্যা দেশরতœ শেখ হাসিনার সরকার-জনগণের বিরুদ্ধে দেশবিধ্বংসী কদর্য কর্মযজ্ঞ আবারও যেন জোরদারের অপচেষ্টা অব্যাহত রয়েছেমহান ¯্রষ্টার অপার কৃপায় সকল অপকৌশলকে পরাস্ত করে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ অপরাজিত থাকবেই এটিই দেশবাসীর দৃঢ় বিশ্বাসসাম্প্রতিক সময়ে দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও কথিত অসাম্প্রদায়িক-বুদ্ধি-পেশাজীবী-সুশীল নামধারী ব্যক্তিদের মুখ ও মুখোশের বিভাজিত চারিত্রিক দৃশ্যপট অনুধাবনে সচেতন মহল প্রচ- উদ্বিগ্নঅরাজক-অনাকাক্সিক্ষত পরিবেশ সৃষ্টিতে এসব সুবিধাভোগী-আপোসকামী ও ভুয়া নিরপেক্ষ অবস্থানে থাকা ব্যক্তিদের জনগণ চিহ্নিত করতে সক্ষম হয়েছেউল্লেখ্য, ব্যক্তি বা সংস্থাসমূহকে কঠোর নজরদারি এবং এদের সম্পর্কে পর্যাপ্ত সতর্কতা অগ্রিম নিশ্চিত করা না গেলে যে কোন বিপর্যয়ের সমূহ সম্ভাবনা অনুমেয়বিশেষ করে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা-বিরোধ-বিচ্ছেদ পরিকল্পনায় প্রায় সকল ধর্মের উগ্র-ধর্মান্ধ-কট্টর নেতিমনোভাবসম্পন্ন ব্যক্তিদের ভূমিকা পর্যালোচনা জরুরী হয়ে পড়েছে।          

বিভিন্ন সামাজিক-গণমাধ্যম তথ্যানুসারে মধ্যযুগে ভারতবর্ষে হিন্দুদের দ্বারা মুসলমানদের ওপর প্রায়শই সহিংস আক্রমণ সংঘটিত হতো, যেগুলোকে ভারতে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছিলভারতে সবচেয়ে বেশি দাঙ্গার ঘটনা ঘটেছিল উত্তর ও পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোতে

ভারতের উত্তর প্রদেশের অযোধ্যার রাম মন্দির বিতর্ককে কেন্দ্র করে ১৯৮৯ সালে বাংলাদেশে হিন্দুবিরোধী কর্মসূচী শুরু হয়১৯৯০ সালের ২৯ অক্টোবর রাজনৈতিক মদদপুষ্ট দেশের একটি পত্রিকার শিরোনাম বাবরী মসজিদ ভেঙ্গে ফেলা হয়েছেমর্মে সমগ্র বাংলাদেশব্যাপী বাবরী মসজিদ ধ্বংসের গুজব রটানো হয়েছিলউক্ত গুজবের প্রেক্ষিতে বাংলাদেশী মুসলমান ও হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে দাঙ্গা সংঘটিত হয়৩০ অক্টোবর থেকে ২ নবেম্বর পর্যন্ত টানা চারদিন হিন্দুদের ওপর বর্বর হামলা চালানো হয়এছাড়া একই ঘটনার সূত্রপাতে ১৯৯৩ সাল পর্যন্ত সমগ্র দেশজুড়ে বিরতিহীনভাবে হিন্দুদের ওপর চলতে থাকে অত্যাচার, নির্যাতন, লুটপাট, হত্যা, ধর্ষণ ও অপহরণের মতো জঘন্য নিষ্ঠুরতারাজধানী ঢাকা ছাড়াও দেশের কমপক্ষে ১২টি শহরের হিন্দু সম্প্রদায় তখন হামলার শিকার হয়েছিল।  সে সময় ঢাকায় অবস্থিত ভারতীয় দূতাবাসসহ দেশের বিভিন্ন মন্দিরে হামলা হয়েছিল।  

২০১২ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর রাতে রামু উপজেলার ফতেখাঁরকুল ইউনিয়নের হাইটুপির বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী এক বাসিন্দা কর্তৃক ফেসবুক আইডিতে কোরআন অবমাননাকরপোস্টের অভিযোগে ঐ গ্রামসহ আশপাশের বৌদ্ধ মন্দির ও বিহারগুলোতে হামলায় অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর ও লুটপাটে ক্ষতিগ্রস্ত হয় ১৩টি বৌদ্ধ মন্দির এবং ৩০টিরও বেশি বসতবাড়িঘটনার জেরে পরদিন উখিয়া ও টেকনাফ উপজেলার কয়েকটি বৌদ্ধপল্লীতে হামলা চালিয়ে ৭টি বৌদ্ধ মন্দিরে অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর ও লুটপাট চালানো হয়

২০১৬ সালের ৩০ অক্টোবর নাসিরনগরের এক হিন্দু জেলে দ্বারা ফেসবুকে ইসলামবিরোধী পোস্ট দেয়ার অভিযোগে সাম্প্রদায়িক সহিংসতায় ১৯টি মন্দির ও প্রায় ৩০০টি বাড়ি ভাঙচুর করা হয় এবং আহত হয় ১০০ জনেরও বেশি হিন্দু১৭ মার্চ ২০২১ এক হিন্দু ছেলে কর্তৃক দেশের কথিত একটি ইসলামী দলের বহিষ্কৃত নেতাকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কটূক্তির অভিযোগে সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার হবিবপুর নোয়াগাঁও গ্রামে মাইকে ঘোষণা দিয়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের শতাধিক বাড়িঘরে হামলা চালানো হয়২০২১ সালে কুমিল্লায় সংঘটিত সর্বজনীন দুর্গোসব উদ্যাপনে পূজাম-পে পবিত্র কোরান শরীফ রাখার বিষয়টি সত্য-মিথ্যা যাচাই ব্যতিরেকে পবিত্র ইসলামবিরোধী দাঙ্গা-হাঙ্গামার অবতারণা সত্যিই দুঃখজনক-অনাকাক্সিক্ষত-অনভিপ্রেতঅন্যান্য পবিত্র ধর্ম বা ধর্মগ্রন্থকে অবজ্ঞা-কটূক্তি করে কোন ধার্মিক মানুষ কর্তৃক ধর্মীয় প্রার্থনা-উপসনাকে কলুষিত করার নজির বিশ্বে বিরল

শ্রীলঙ্কা, মিয়ানমার ও থাইল্যান্ডে প্রায়ই মুসলিমবিরোধী মনোভাব পরিলক্ষিত হয়বিশ্লেষকদের মতে বৌদ্ধ ভিক্ষুদের একটি অংশের প্রচারণাই এর জন্য দায়ী২০১৮ সালে শ্রীলঙ্কার ক্যান্ডিতে চার মুসলমানের হামলায় এক বৌদ্ধ নাগরিকের আহত হওয়ার অভিযোগে মুসলমানদের মসজিদ, ঘরবাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালানো হয়মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে মুসলমান রোহিঙ্গাদের নির্বিচারে পালিয়ে যাওয়ার পিছনেও রয়েছে মৌলবাদী বৌদ্ধ ভিক্ষুদের প্রত্যক্ষ মদদথাইল্যান্ডের দক্ষিণাঞ্চলের মুসলিমপ্রধান রাজ্যগুলোতে ২০০১ সাল থেকে মাঝে-মধ্যে সাম্প্রদায়িক সহিংসতা ছড়িয়ে পড়েদৈনিক ব্যাংকক পোস্টর হিসাবে ২০০৪ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত এ অঞ্চলে সহিংসতায় প্রায় সাড়ে ছয় হাজার মানুষ প্রাণ হারিয়েছে।  

সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালী স্বাধীন বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু দ্বিজাতিতত্ত্বের ভিত্তিতে ভারত-পাকিস্তান সৃষ্টির অমূলক-অযৌক্তিক-নিষ্ঠুর দাঙ্গা-হাঙ্গামার নির্দয় অভিজ্ঞতার অপরিমেয় কাতরতায় ব্যথিত ছিলেনপাকিস্তান সৃষ্টির পর থেকে এহেন অযাচিত-অবাঞ্ছিত-অনভিপ্রেত বিচ্যুতি থেকে পরিত্রাণ লাভে তাঁর দীর্ঘ রাজনৈতিক মানসে কালপরিক্রমায় অসাম্প্রদায়িক চিন্তা-চেতনার পরিগ্রহে তিনি পরিপূর্ণ পরিশুদ্ধ হয়েছিলেনবঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে দীর্ঘ স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে চূড়ান্ত বিজয় এবং স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার উসসূত্রে প্রণিধানযোগ্য অনুষঙ্গ ছিল বাঙালীর ধর্মনিরপেক্ষ আদর্শসকল ধরনের ধর্মান্ধতা পরিহারে ধার্মিকতার মানবিক-নান্দনিক-পরিশীলিত মূল্যবোধকে ধারণ করে স্বাধীনতা অর্জনের মূলমন্ত্র হিসেবে কার্যকর ছিল সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির অত্যুজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।  দেশের পবিত্র সংবিধানে ধর্মনিরপেক্ষআদর্শ প্রতিস্থাপনে বঙ্গবন্ধু শুধু বিশ্ব পরিমন্ডলে মানবিকতার বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেননি, রাজনীতিতে ধর্মের ব্যবহারকে নিষিদ্ধ করে তিনি অসাম্প্রদায়িক অবিনাশী চেতনার প্রচেতা হিসেবে জাতিকে সর্বোচ্চ মর্যাদাসীন করেছেন। 

১৯৭২ সালের ৪ সেপ্টেম্বর গণপরিষদে খসড়া শাসনতন্ত্র অনুমোদন উপলক্ষে প্রদত্ত ভাষণে বঙ্গবন্ধু জাতির আদর্শের মৌলিক চারটি স্তম্ভ তথা বাঙালী জাতীয়তাবাদ, গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতা সম্পর্কে বিশদ ব্যাখ্যা দিয়েছেনচতুর্থ স্তম্ভ - ধর্মনিরপেক্ষতাবিশ্লেষণে বঙ্গবন্ধু মনুষ্যত্বের সাবলীল ও স্বাভাবিক প্রকাশে বাঙালী স্বজাত্যবোধের মূল্যায়নে তাঁর ধর্মনিরপেক্ষ দর্শনকে অসাধারণ বিশ্লেষণে স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশের ধর্ম-বর্ণ-দলমত নির্বিশেষে নাগরিকবৃন্দের গ্রহণযোগ্য ধর্ম পালনের সৌকর্যকে উদ্ঘাটিত করেছেনবঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, ‘ধর্মনিরপেক্ষতা মানে ধর্মহীনতা নয়বাংলার সাড়ে সাত কোটি মানুষের ধর্ম কর্ম করার অধিকার থাকবেআমরা আইন করে ধর্মকে বন্ধ করতে চাই না এবং করব নামুসলমানরা তাদের ধর্ম পালন করবে, তাদের বাধা দেওয়ার ক্ষমতা এই রাষ্ট্রে কারও নেইহিন্দুরা তাদের ধর্ম পালন করবে, কারও বাধা দেওয়ার ক্ষমতা নেইবৌদ্ধরা তাদের ধর্ম পালন করবে, খ্রীস্টানরা তাদের ধর্ম পালন করবে, তাদের কেউ বাধা দিতে পারবে নাআমাদের শুধু আপত্তি হলো এই যে, ধর্মকে কেউ রাজনৈতিক অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করতে পারবে না২৫ বছর আমরা দেখেছি ধর্মের নামে জুয়াচুরি, ধর্মের নামে শোষণ, ধর্মের নামে বেইমানি, ধর্মের নামে অত্যাচার, খুন, ব্যভিচার- এই বাংলাদেশের মাটিতে এসব চলেছেধর্ম অতি পবিত্র জিনিসপবিত্র ধর্মকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা চলবে না

১৯৭৪ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দ্বিবার্ষিক কাউন্সিল অধিবেশনের উদ্বোধনী ভাষণে নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বঙ্গবন্ধু বলেন, ‘রাজনীতিতে যারা সাম্প্রদায়িকতা সৃষ্টি করে, যারা সাম্প্রদায়িক তারা হীন, নিচ, তাদের অন্তর ছোটযে মানুষকে ভালবাসে সে কোনদিন সাম্প্রদায়িক হতে পারে নাআপনারা যারা এখানে মুসলমান আছেন তারা জানেন যে, খোদা যিনি আছেন তিনি রাব্বুল আলামিনরাব্বুল মুসলিমিন ননহিন্দু হোক, খ্রীস্টান হোক. মুসলমান হোক, বৌদ্ধ হোক সব মানুষ তার কাছে সমানসেজন্যই এক মুখে সোশ্যালিজম ও প্রগতির কথা এবং আরেক মুখে সাম্প্রদায়িকতা পাশাপাশি চলতে পারে নাএকটা হচ্ছে পশ্চিমযারা এ বাংলার মাটিতে সাম্প্রদায়িকতা করতে চায় তাদের সম্পর্কে সাবধান হয়ে যাওআওয়ামী লীগের কর্মীরা, তোমরা কোনদিন সাম্প্রদায়িকতাকে পছন্দ কর নাইতোমরা জীবনভর তার বিরুদ্ধে সংগ্রাম করেছতোমাদের জীবন থাকতে যেন বাংলার মাটিতে আর কেউ সাম্প্রদায়িকতার বীজ বপন না করতে পারেপ্রাসঙ্গিকতায় উল্লিখিত ভাষণের প্রেক্ষাপটে বঙ্গবন্ধুর আদর্শিক চেতনা-দর্শন-দেশপ্রেম-ধার্মিকতায় অচ্ছেদ্য মূল্যবোধের নবতর আবিষ্কার-পরিচর্যা-অনুশীলনের এখনই যোগ্যতম পর্যায় হিসেবে জাতিকে ধারণ করতেই হবে

 

লেখক : শিক্ষাবিদ, সাবেক উপাচার্য

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়

 

×