ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ১৯ মে ২০২৫, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

২০২৫ সালে বিদেশে পাড়ি জমাতে চান? ওয়ার্ক ভিসায় সেরা সুযোগ দিচ্ছে যেসব দেশ!

প্রকাশিত: ০৯:৪৫, ১৯ মে ২০২৫; আপডেট: ০৯:৪৬, ১৯ মে ২০২৫

২০২৫ সালে বিদেশে পাড়ি জমাতে চান? ওয়ার্ক ভিসায় সেরা সুযোগ দিচ্ছে যেসব দেশ!

বিদেশে বসবাস আর কাজ করার স্বপ্ন অনেকেরই থাকে। কিন্তু শুধুই ঘুরে বেড়ানো নয়, কোনো একটি সংস্কৃতির সঙ্গে মিশে যাওয়া, স্থানীয়দের মতো জীবনযাপন করা,এই অভিজ্ঞতা পেতে হলে দরকার স্থানীয়ভাবে কাজের সুযোগ। আর সেই যাত্রার প্রথম ধাপই হলো ওয়ার্ক ভিসা।

বর্তমানে ডিজিটাল নোম্যাড ভিসার জনপ্রিয়তা বাড়লেও, শুধু ল্যাপটপ আর ওয়াইফাই নিয়ে দেশ বদলানো আর স্থায়ীভাবে কোথাও গাঁটছড়া বাঁধা এ দুটো কিন্তু এক নয়। যারা সত্যিকারের স্থায়িত্ব খুঁজছেন, তাদের জন্য সবচেয়ে বড় বিষয় হলো কোন দেশে ওয়ার্ক ভিসা পাওয়া সহজ এবং কোন দেশে সেই ভিসায় সুযোগ সবচেয়ে বেশি।

রেমিটলি-এর সাম্প্রতিক এক বিশ্লেষণে উঠে এসেছে, লাটভিয়া ২০২৫ সালের জন্য সবচেয়ে সহজে স্কিল্ড ওয়ার্ক ভিসা পাওয়া যায় এমন দেশের তালিকায় সবার ওপরে। ১০ স্কোরের ভিত্তিতে তারা পেয়েছে ৭.৬৪। ইউরোপীয় ইউনিয়নের ‘ব্লু কার্ড’ স্কিমের আওতায় থাকা লাটভিয়ায় বছরে মাত্র ২০,৫০০ পাউন্ড আয় দেখালেই ভিসা মিলতে পারে। সবচেয়ে চমকপ্রদ তথ্য হলো,মাত্র ১০ কর্মদিবসে ভিসা পেয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা, আর আবেদন ফি মাত্র ৮৩ পাউন্ড।

দ্বিতীয় অবস্থানে আছে আয়ারল্যান্ড, স্কোর ৭.৩২। এখানে কর্মসংস্থান ভিসার ৯৫% আবেদন অনুমোদিত হয়, আর একবার ভিসা পেলে থাকতে পারবেন টানা পাঁচ বছর। এখানেও আবেদন ফি সেই ৮৩ পাউন্ডই।

তৃতীয় অবস্থানে আইসল্যান্ড, স্কোর ৬.৫৮। এখানে গড় বার্ষিক আয় সবচেয়ে বেশি ৬৯,১২০ পাউন্ড, কিন্তু ভিসা পাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় সর্বনিম্ন আয় মাত্র ১৬,৯৭৩ পাউন্ড। তবে সময় লাগে বেশি প্রায় তিন মাস।

সবচেয়ে সাশ্রয়ী ভিসা পাওয়া যায় ইতালিতে, মাত্র ৪১ পাউন্ডে ইউরোপীয় ব্লু কার্ড পাওয়া যায়, যা একই মূল্যে নবায়নযোগ্য।

অন্যদিকে সবচেয়ে ব্যয়বহুল ও ধীরগতির দেশ হলো অস্ট্রেলিয়া। এখানে আবেদন ফি ১,৫৬৯ পাউন্ড, আর ভিসা পেতে সময় লাগে ছয় মাস পর্যন্ত।

যুক্তরাজ্য তালিকার সপ্তম স্থানে রয়েছে, যেখানে আবেদন ফি ১,৪২০ পাউন্ড এবং সর্বনিম্ন বার্ষিক বেতন প্রয়োজন ৩৮,৭০০ পাউন্ড।

যুক্তরাষ্ট্র ভিসার মেয়াদে এগিয়ে,এইচ-১বি প্রোগ্রামের আওতায় ছয় বছরের জন্য ভিসা পাওয়া যায়, যা নবায়নযোগ্য। তবে প্রক্রিয়াগত জটিলতা ও খরচ বেশি হওয়ায় তালিকায় তারা ষষ্ঠ।

ভিসা প্রক্রিয়ায় সময়ের তারতম্য রয়েছে দেশভেদে,লাটভিয়ায় মাত্র ১০ কর্মদিবস, আর ফ্রান্স ও বেলজিয়ামের মতো ইইউ দেশগুলোতে প্রায় তিন মাস। কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্রে গড়ে সাড়ে তিন মাস, অস্ট্রেলিয়ায় ছয় মাস।

সবচেয়ে বেশি ইউকে ওয়ার্ক ভিসা অনুমোদনের হার কাজাখস্তানের ৯৯.৫২%। সবচেয়ে কম পাকিস্তানের,৮২.৩৯%। অন্যদিকে ২০২৩ সালে কানাডা সবচেয়ে বেশি ওয়ার্ক ভিসা দিয়েছে মোট প্রায় ২.৪ লাখ।

বেতনসীমার দিক থেকেও দেশভেদে বড় পার্থক্য। সবচেয়ে কম লাগবে পর্তুগালে ১৩,১৯০ পাউন্ড, আর সবচেয়ে বেশি নেদারল্যান্ডসে ৫৬,৫৩০ পাউন্ড।

ভিসার স্থায়িত্বের দিক থেকে যুক্তরাষ্ট্র এগিয়ে, যেখানে ছয় বছর মেয়াদি ভিসা মেলে। ইইউ ব্লু কার্ড স্কিমে লাটভিয়া ও স্লোভাকিয়া সর্বোচ্চ পাঁচ বছর থাকার অনুমতি দেয়।

যারা নতুন একটি দেশে স্থায়ীভাবে বসতি গড়ে তুলতে চান, তাদের জন্য ২০২৫ সাল হতে পারে সেই স্বপ্নপূরণের বছর। আর কাজের সুযোগ আর সহজ ভিসা প্রক্রিয়ার ভিত্তিতে সেরা গন্তব্য বেছে নেওয়া হতে পারে জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত।

 

 

 

সূত্র:https://tinyurl.com/mr39h8pc

আফরোজা

×