
আমরা বাঙালী জাতি কি আমাদের লাখ লাখ শিশুদের জঙ্গী মোল্লাদের কব্জায় বন্দী থাকা মুক্ত, স্বাধীন শৈশবটি উদ্ধার করব না? আমরা কি প্রয়োজনে শক্ত হাতে ঐ ষড়যন্ত্রী, পাকিস্তান-লন্ডনের অর্থলোভী সাম্প্রদায়িক ‘মাওলানা’ পদবীধারী দক্ষ নাশকতা ও তা-বের ছক প্রণয়নকারী ও নিরীহ মাদ্রাসার ছাত্রদের দুর্বৃত্ত-গুণ্ডায় পরিণতকারী ভণ্ড-কামুক ব্যক্তিদের হাত থেকে রক্ষা করার দায়িত্ব পালন করব না?
আমরা যখন বাবা-মার শিশু বিকাশের লক্ষ্যে যতœ গ্রহণের কৌশল সম্পর্কে সচেতনতা শিক্ষা দেই, তখন আমাদের প্রথম পাঠটিই হলো- ‘বাবা বা মা শিশুকে জন্ম দিয়ে যেন মনে না করেন যে, তাঁরা শিশুটির মালিক হয়ে গেছেন- সব মানুষ জন্ম থেকেই মুক্ত ও স্বাধীন।’ স্বাভাবিকভাবেই বাবা, মায়েরা বিস্মিত হন। এ বক্তব্য মানতে তাঁদের সমস্যা হয়। অথচ ঐ সহজ, সরল সুন্দর কথাটিই হলো সব মানব সন্তানের জন্য প্রথম সত্য। শিশুদের পৃথিবীতে আমরা মা-বাবাই আনি বলে এদের প্রয়োজনীয় সব অধিকার, যতœ, সুরক্ষা ও চিকিৎসা, পুষ্টি, আনন্দ-বিনোদন দেয়ার দায়িত্ব মা-বাবা ও বড়দের। বড় হয়ে বয়স্ক মা-বাবার, যতœকারীর সুরক্ষা, দেখভাল করা, যতœ নেয়া সন্তানদের দায়িত্ব। দেখা গেছে, মায়া মমতা-আদর-স্নেহ ঘেরা পারিবারিক, সামাজিক পরিবেশে বড় হওয়া শিশুরা খুব স্বাভাবিকভাবেই মানবিক মূল্যবোধ-মায়া-দয়া-মমতা অর্জন করেই বড় হয়।
এখন আমাদের দৃষ্টি দেয়া দরকার মাদ্রাসার ছাত্র-ছাত্রীদের প্রতি। এদেরকে মাদ্রাসার শিক্ষক নামের ষড়যন্ত্রী, দেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টিকারী, মানুষ হত্যাকারী, অন্য ধর্মের মানুষের প্রতি ঘৃণা-বিদ্বেষ পোষণকারী, অর্থ লোভী ব্যক্তিগুলো নিজেদের ‘সম্পত্তি’, স্বার্থ উদ্ধারের ‘হাতিয়ার’ হিসেবে ব্যবহার করে চলেছে! এরা যে শুধু দৈহিক নির্যাতনের শিকার হয় তা নয়, এক বড় অংশ যৌন হয়রানিরও শিকার হয়। ফলে অনেকের মৃত্যুও হয়। তবে মানুষকে ঘৃণা, হত্যা করার মতো সবচাইতে নেতিবাচক শিক্ষা এদেরকে দেয়া হয়। যার ফলে এরা সুস্থ এবং মানবিক ও বিজ্ঞানমুখী জ্ঞান ও মনমানসিকতা অর্জন করতে অপারগ ও অক্ষম থাকে। এদের মগজে ঢোকানো হয় মুক্তিযুদ্ধ, এর চেতনা- অসাম্প্রদায়িকতা-ধর্মনিরপেক্ষতা, দেশের স্বাধীনতার ¯্রষ্টা বীর-মুক্তিযোদ্ধা, জাতির জনক, জাতীয় সঙ্গীত ও জাতীয় পতাকা, শহীদ মিনার, বাঙালীর নববর্ষের উৎসব- এসবের প্রাতি প্রাচীন অন্ধ ঘৃণা-বিদ্বেষ! ফলে এরা হয়ে ওঠে এক একজন বাংলাভাই, আবদুর রহমান, বাবুনগরী, মামুনুল-আজিজুলদের মতো ধর্ম ব্যবসায়ী ভ-, সন্ত্রাসী। ইসলাম ধর্মের মূল বাণী থেকে বহু দূরে শয়তানের সঙ্গী হয়ে অর্থ, নারী নিয়ে বিলাসী জীবন যাপন করে তথাকথিত ‘খাঁটি মুসলিম’ হিসেবে জাহির করে। এরা যখন স্লোগান তুলেছিল- ‘আমরা হব তালেবান, বাংলা হবে আফগান,’ তখন জাতি মনে করেছিল এটা হয়তো মুখের কথা। প্রকৃতপক্ষে, ২০১৩ তে শাপলা চত্বরে আল্লামা শফীর নেতৃত্বে হেফাজত যখন মাঠে নামে, তখন কিন্তু শোনা গিয়েছিল শফী বিকেলে সভা শেষ করে চট্টগ্রাম ফিরে যেতে প্রস্তুত হবার সময় একটি ফোন আসে, যে ফোনে তাকে গর্জন করে বলা হয়েছিল- ‘কোথায় যাচ্ছেন আপনি, এত টাকা পাঠানো হচ্ছে, আজ-কাল শাপলা চত্বরে অবস্থান করে সরকারের পতন ঘটাতে হবে, আমরা আমাদের অর্থ, লোকবল নিয়ে পেছনে আছি।’ এরপর আমরা অর্থ লেনদেনের খবরও শুনি এবং টিভিতে ধারণ করা চিত্র দেখি। তারপরের ইতিহাসও জাতি দেখেছে। আজ তারা ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় যেভাবে আগুন ও তা-ব চালিয়ে বহু সরকারী অফিস, সঙ্গীত কেন্দ্র, পাঠাগার, সরকারী দলের নেতা-কর্মীদের বসতবাড়ি ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে, ঠিক একই রকম তা-ব চালিয়ে পুরো মতিঝিল এলাকার অফিস, ব্যাংক, সিপিবি অফিস, হকারদের দোকান, এমনকি কোরান শরীফসহ বই, রাজপথের ডিভাইডার ভেঙ্গে ফেলার নাশকতার ভয়ঙ্কর রূপটি একই রকম। সহজেই বোঝা যায়, ২০১৩ থেকে হেফাজতকে সরকার উৎখাত আন্দোলনের হাতিয়ার হিসেবে বার বার ব্যবহার করবে জামায়াত-বিএনপি এবং ধর্মান্ধ, বাঙালীর মুক্তিযুদ্ধবিরোধী, স্বাধীনতাবিরোধী দেশীবিদেশী চক্র! এটা তো জানা কথা যে, খালেদা-তারেকপন্থী বিএনপি এবং তাদের মিত্র পাকিস্তানপ্রেমী জামায়াত এবং হেফাজতের জামায়াত-বিএনপিপন্থী ও অর্থ ও নারী লোভী অংশটি স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর বছর ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর শতবর্ষ উদযাপনের সময়টিকে বিদেশী সরকারদের উপস্থিতিতে রাজধানীসহ সারাদেশে তা-ব-নাশকতা চালিয়ে মানুষ হত্যা করে একটি চরম অরাজক অবস্থা তৈরি করে সরকার পতন করার চেষ্টার জন্য চিহ্নিত করেছিল।
হাক্কানী গ্রুপের মৌলানারা বলেছেন- এসব নাশকতা, তা-ব চরম ইসলামবিরোধী কাজ করার নীলনকশা এক বছর আগেই তৈরি হয়েছিল, যার প্রধান লক্ষ্য মুক্তিযুদ্ধপন্থী সরকার পতন! তারা এসব চরম অনৈসলামিক কর্মের দোষীদের, নির্দেশ ও উস্কানিদাতাদের দ্রুত বিচার চেয়েছেন। নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়েছে হেফাজতকে।
সরকার নিশ্চয় জানে, চোরা বা তস্করেরা কখনোই ধর্মের নীতি-কাহিনী শোনে না। তারা বিশ্বাস করে আজকে যা নগদ পাই, সেটাই লাভ। তা-ব-নাশকতার উস্কানিদাতারা প্রমাণ করেছে তারা বেহেশত-দোজখে বিশ্বাস করে না, বিশ্বাস করে না আল্লাহর শেষ বিচার, হাসরের ময়দান বা পুলসিরাতেও। এসবে বিশ্বাস করা কোন মৌলানার পক্ষে এরকম অমানবিক তা-ব-হত্যা-অগ্নিসন্ত্রাস-নাশকতা পরিচালনা করা এক কথায় অসম্ভব। এদের পাশে নাশকতামূলক তা-বে, সাম্প্রদায়িক আগ্রাসন কোন প্রগতিশীল, বিজ্ঞান-প্রযুক্তি, ইতিহাস ও সংস্কৃতি চর্চাকারী উদার মানবিক মূল্যবোধে বিশ্বাসীরা কখনোই এসব নেতিবাচক, অমানবিক পন্থায় বিশ্বাসী নয়। বরং এরা তা-ব থেকে মানুষকে রক্ষা করতে চেষ্টা করেছে।
এক্ষেত্রে দেখা যায়, প্রকৃত ধার্মিক এবং প্রকৃত আধুনিক বিজ্ঞানমনস্ক প্রগতিশীল মানুষের মধ্যে মানবিক মূল্যবোধের একটি গাঁটছড়া আছে। সাংস্কৃতিক ঘটনা দেখে খুব সহজেই আমরা প্রকৃত ধার্মিক ও ভ-, অর্থ নারী লোভী ধর্মব্যবসায়ীদের পার্থক্য করতে পারি। যেমন, আমরা আমাদের বিজ্ঞানমনস্ক, প্রযুক্তি দক্ষ প্রগতিশীল আধুনিক শিক্ষিত তরুণদেরই ’৭১-এর যুদ্ধাপরাধীদের সঠিকভাবেই জাতি ও দেশের শত্রু গণ্য করতে দেখেছি। তারা সঠিক সময়েই একত্রিত হয়ে যুদ্ধাপরাধীদের সর্বোচ্চ দণ্ড দিতে সরকারের ওপর চাপ ও সহায়তা দিতে গঠন করেছিল গণজাগরণ মঞ্চ। পাঠক, নিজেকে প্রশ্ন করুন- ‘আচ্ছা, কোন একটি মাদ্রাসা থেকে এমন জাতির শত্রু, ’৭১-এর যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে মিছিল এসে গণজাগরণ মঞ্চে শাহবাগে মিলিত হতে কেন পারল না?’ ২০১৩তে বা এখনো ঐ যুদ্ধাপরাধী মিত্র ধর্মব্যবসায়ীদের তারা শনাক্ত করে তাদের নাশকতা ঘটানোর অন্যায় নির্দেশ অমান্য করতেই বা পারল না কেন? দেখা যাচ্ছে- মাদ্রাসার ছাত্ররা ঐসব ধর্মব্যবসায়ীদের শিকারে পরিণত হয়েছে, অন্যদিকে প্রগতিশীলরা হয়েছে আক্রমণের লক্ষ্যবস্তু। অর্থাৎ ওরাও চরম ক্ষতিগ্রস্ত দল, এরাও চরম ক্ষতির মুখে পরা দল।
সময় এসেছে- দেশের মাদ্রাসাগুলোকে অর্থগৃধœু, লোভী চরম রাষ্ট্রদ্রোহী তালেবান-আইএসপন্থী ধর্মান্ধ জঙ্গী সন্ত্রাসী সৃষ্টির কেন্দ্র হওয়ার হাত থেকে রক্ষা করার। একদিন এভাবেই পাকিস্তান-আফগানিস্তানে গণতান্ত্রিক, আধুনিক সমাজতান্ত্রিক সরকারগুলোর পতন হয়েছিল এসব অমানবিক জঙ্গী তালেবানদের দ্বারা! সমাজে যখন আধুনিক শিক্ষিত সুশীল সমাজ হয় নীরবতা পালন করে অথবা মৌলবাদকে তুষ্ট করতে অর্থ ও অন্য সুবিধা দিয়ে নরম রাখতে চেয়েছে, তখনই সে বিষধর সর্প- মৌলবাদ তাকেও ছোবল দিয়েছে! উপমহাদেশের স্বাধীনতা ও দ্বিখণ্ডিত হওয়ার সময় পাকিস্তানে ধর্মের নামে অর্থ ছড়িয়ে প্রগতিশীলদের নেতা খান আবদুল গাফফার খানের- ‘খোদাই খিদমতগার’ দলের হাজার হাজার সৎ দেশপ্রেমিক কর্মী-নেতাকে জেল-জুলুম-হত্যা-নির্যাতন দ্বারা সমাজ থেকে নিশ্চিহ্ন করে দেয়া হয়েছিল তথাকথিত ব্রিটিশের দুই-তিন টাকা গ্রহণ করা ভ- পীরদের দল! সমাজতান্ত্রিক ধর্মনিরপেক্ষ আফগান সরকারকে উৎখাতে পাকি গোয়েন্দা লেলিয়ে দিয়েছিল লাদেনের জঙ্গী খুনি তালেবানদের, যারা এখনও নিষ্ঠুরতায়, নারী-বিরোধিতায়, আধুনিক বিজ্ঞান শিক্ষা ধ্বংস করে পাকিস্তান-আফগানিস্তান- দুটি দেশকেই অশান্ত, অস্থিতিশীল ও প্রাচীন ধ্যান ধারণায় আবদ্ধ ও শৃঙ্খলিত করে রেখেছে! এই দুটি দেশে শিক্ষা শৃঙ্খলিত হয়ে আছে মাদ্রাসার ধর্মান্ধ মৌলবাদী মোল্লাদের হাতে। অথচ এদের আধুনিক শিক্ষার মান ছিল ভাল। তারপরেও হাজার হাজার মাদ্রাসায় যে ধর্মান্ধ প্রজন্ম উৎপন্ন হচ্ছে তাদের পাকিস্তানের জাঁদরেল জেনারেলরা নিজেদের স্বার্থ রক্ষায় বার বার ব্যবহার করায় আজ তারা তাদেরই শত শত আধুনিক শিক্ষা গ্রহণরত পুত্র কন্যাদের হত্যা করছে!
একটি দেশ ও জাতিকে সমাজের কি উপাদান পেছনে টেনে ধরে- তার জাজ্বল্যমান উদাহরণ-পাকিস্তান ও আফগানিস্তান! কোন এক বিদেশীর লেখা মন্তব্যে পড়েছিলাম- ‘বাঙালীরা খুবই আন্তরিকতার সঙ্গে ধর্ম পালন করে, কিন্তু পাকিস্তানীরা ভেকধারী ধার্মিক, ধর্ম ওদের মুখে, আচরণে নয়।’ কথাগুলোর মর্মার্থ এরকমই ছিল। স্মরণে পড়ে বঙ্গবন্ধু, তাজউদ্দীন, সৈয়দ নজরুল, মনসুর আলী, কামরুজ্জামানদের পাশে মদ্যপ, নারী-প্রেমী ইয়াহিয়া, ছলনা ও মিথ্যার বেসাতি করা ভুট্টোদের দলকে এরাই আজকের মামুনুলদের পূর্বসূরি।
বহু আগে, যখন মধ্যপ্রাচ্যে মাত্র দু-দশজন কাজ করতে যাচ্ছে, তখন আমার স্বামীর ‘জনসংখ্যা শিক্ষা প্রকল্পে’র এক ড্রাইভারের সঙ্গে কথা হয়। ওকে বলছিলাম, ‘সৌদি আরবে কাজ করেছ, ওদের কাছে খুব ভাল ব্যবহার, ভাল বেতন পেয়েছ, তাই না?’ ওর উত্তর শুনে হতভম্ব হয়ে পড়েছিলাম। ও বলেছিল- ‘সৌদিদের সকাল শুরু হয় মিথ্যা কথা দিয়ে, দিন শেষ হয় মিথ্যা দিয়ে।’
যা হোক, কথা হলো-জামায়াত-বিএনপি, জঙ্গী, তালেবান, হুজি, আনসার আল ইসলাম, জেএমবি সবার ট্রয়ের ঘোড়া-হেফাজতকে এবার নির্মূল করতে হবে। ওদের নেতাদের সবরকম অপরাধের বিচার শুরু করে তাদের মদদদাতা, অর্থদাতা, নীল-নকশাদাতা-দাত্রীদেরও বিচারের আওতায় আনতে হবে। দ্বিতীয়ত, দেশকে তালেবান হওয়ার হাত থেকে রক্ষা করতে মাদ্রাসাগুলোকে সরকারের নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে। অস্তিত্বহীন মাদ্রাসা বাদ দিয়ে সব মাদ্রাসার আর্থিক ও আধুনিক পাঠ্যবিষয়, ধর্মশিক্ষা এবং সাংস্কৃতিক চর্চা ও খেলাধুলা এবং প্রযুক্তি শিক্ষা, সঙ্গে কর্মমুখী শিক্ষাও যোগ করতে হবে। তবে এসব মাদ্রাসার কঠোর নজরদারি করার জন্য সৎ, যোগ্য শিক্ষিত ব্যক্তিদের দিয়ে মনিটরিং বোর্ড গঠন করতে হবে। জরিপ চালিয়ে প্রকৃত মাদ্রাসা, শিক্ষক, শিক্ষার্থী সংখ্যা, আয়ের উৎস, ভূমির মালিকানা- এইসব তথ্য ডিজিটাল পদ্ধতিতে সংরক্ষণ করতে হবে এবং দখল করা ভূমি প্রকৃত মালিককে ফিরিয়ে দিতে হবে।
মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের জাতি ও দেশের গৌরবান্বিত ইতিহাস ও সংস্কৃতি নিয়ে গৌরব বোধ করে দেশপ্রেমিক হয়ে উঠতে হবে। নতুবা এই নাশকতা, অগ্নিসন্ত্রাস, ভুল, অমানবিক ধর্ম শিক্ষা দ্বারা মাদ্রাসাগুলোকে তালেবান সৃষ্টির উৎসে পরিণত করবে এই বাবুনগরী, মামুনুল হকের মতো ধর্ম ব্যবসায়ী মোল্লারা। শেষ কথা, সময় এসেছে, ’৭২-এর সংবিধানের ধারা অনুযায়ী ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ করা এবং দেশদ্রোহিতামূলক কর্মকা- করা দলগুলোকে নিষিদ্ধ করার। সময় এসেছে আগামী প্রজন্মকে তাদের মুক্ত স্বাধীন শৈশব উপহার দেয়ার শর্ত বাস্তবায়নের। ভয় নেই, জাতি এ কাজে সরকারের সঙ্গে আছে এবং থাকবে। নতুবা বারবার শত্রুরা তালেবান, জেএমবি, হুজি বা জামায়াত, হেফাজত- নানা নামে বাংলাদেশ ও বাঙালী জাতিকে অন্ধকারের দিকে নিয়ে যাবে। তাই সাবধান হয়ে দৃঢ় অঙ্গীকার নিয়ে কাজে নামতে হবে। স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর পর কাজটি কঠিন হতে পারে, কিন্তু যুদ্ধাপরাধীর, বঙ্গবন্ধু হত্যার খুনীদের দীর্ঘকাল পরে বিচার করা সম্ভব হলে এ কাজও সম্ভব হবে নিশ্চয়ই।
লেখক : শিক্ষাবিদ