ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৪ জুলাই ২০২৫, ৮ শ্রাবণ ১৪৩২

বাংলাদেশে হতাহতের সংখ্যা গোপন করা অসম্ভব: প্রেস সচিব

প্রকাশিত: ১৬:৫৪, ২৩ জুলাই ২০২৫

বাংলাদেশে হতাহতের সংখ্যা গোপন করা অসম্ভব: প্রেস সচিব

ছবি: সংগৃহীত

উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল ও কলেজে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়ে বহু প্রাণহানির ঘটনায় দেশে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। এমন পরিস্থিতিতে হতাহতের প্রকৃত সংখ্যা নিয়ে জনমনে নানা প্রশ্ন এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তথ্য গোপনের অভিযোগও উঠেছে।

 

 

তবে এ বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে স্পষ্ট বক্তব্য দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। বুধবার (২৩ জুলাই) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেওয়া এক পোস্টে তিনি বলেন,

“২০০২ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে অসংখ্য বড় বড় দুর্যোগ নিয়ে রিপোর্ট করা একজন সাংবাদিক হিসেবে আমি নির্দ্বিধায় বলতে পারি—বাংলাদেশে হতাহতের সংখ্যা গোপন করা কার্যত অসম্ভব।”

তিনি ব্যাখ্যা করে বলেন, প্রাথমিকভাবে পরিবারগুলো নিখোঁজদের রিপোর্ট করে, পরে হাসপাতাল ও কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুযায়ী শনাক্ত প্রক্রিয়া এগিয়ে চলে। মাইলস্টোন কলেজ প্রতিদিনের উপস্থিতি রেকর্ডের সঙ্গে তথ্য ক্রস-রেফারেন্স করে হিসাব বহির্ভূত শিক্ষার্থীদের শনাক্ত করতে পারবে।

 

শফিকুল আলম জানান, “গতকাল স্কুল পরিদর্শনের সময় উপদেষ্টারা ক্যাম্পাসে একটি কন্ট্রোল রুম স্থাপনের নির্দেশ দেন, যা আহত ও নিহতদের তথ্য নিয়মিত হালনাগাদ করবে এবং স্কুলের রেজিস্ট্রারের ডেটার সঙ্গে মিলিয়ে তা যাচাই করবে।”

তিনি আরও জানান, এই কন্ট্রোল রুমে বর্তমান ও প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের সম্পৃক্ত করার সুপারিশও করা হয়েছে যাতে তথ্য প্রক্রিয়া আরও নির্ভরযোগ্য ও স্বচ্ছ হয়।

 

“আমরা আশা করছি আজ (বুধবার) থেকেই এই ব্যবস্থা পুরোপুরি কার্যকর হবে,”—বলেন তিনি।

 

শফিকুল আলম বলেন, “স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীনদের অবস্থা সম্পর্কে নিয়মিত আপডেট দিচ্ছে। একইসঙ্গে সেনাবাহিনীও এই চেষ্টায় সক্রিয় ভূমিকা রাখছে।”

তিনি জোর দিয়ে বলেন, “সরকারের কোনও প্রকার হতাহতের সংখ্যা গোপনের উদ্দেশ্য নেই। বরং আমরা স্বচ্ছতা এবং মানবিক সহানুভূতির দৃষ্টিকোণ থেকে কাজ করছি।”

তিনি জানান, “গতকাল আমরা ৯ ঘণ্টা স্কুলে ছিলাম। উপদেষ্টারা প্রয়োজনীয় সময় পর্যন্ত থাকার জন্য প্রস্তুত ছিলেন এবং পরিস্থিতি সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণভাবে সমাধান না হওয়া পর্যন্ত তারা থেকে যান।”

 

 

শফিকুল আলম বলেন, “যেসব শিক্ষার্থী ও শিক্ষক প্রাণ হারিয়েছেন, তারা জাতির শহীদ। এটি একটি জাতীয় ট্র্যাজেডি। তাদের স্মরণে আমাদের উচিত বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আরও উন্নত করা এবং এ ধরনের বিপর্যয় প্রতিরোধে একসাথে কাজ করা।”

তিনি আশ্বাস দেন, “সরকার বিমান নিরাপত্তা ও জাতীয় প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এই ঘটনা যেন আর কখনও না ঘটে, সে লক্ষ্যে আমরা একসঙ্গে এগিয়ে যাব।”

ছামিয়া

আরো পড়ুন  

×