
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প
ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং মেক্সিকো থেকে আমদানিকৃত পণ্যের ওপর ৩০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি সতর্ক করে বলেছেন, যদি তারা পাল্টা শুল্ক আরোপ করে, তবে যুক্তরাষ্ট্র ৫০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ানোর হুমকি দেন। আরও উচ্চ হারে শুল্ক বসাবে।
যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় বাণিজ্য অংশীদার ইইউ বলেছিল, তারা ১ আগস্টের আগেই ওয়াশিংটনের সঙ্গে একটি চুক্তিতে পৌঁছাতে চায়।
ট্রাম্প ঘোষণায় বলেন, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, কানাডা ও ব্রাজিল থেকেও আমদানিকৃত পণ্যের ওপর নতুন শুল্ক বসানো হবে। একইসঙ্গে আরও কিছু ছোট বাণিজ্য অংশীদার দেশগুলোকেও অনুরূপ চিঠি পাঠানো হয়েছে।
শুক্রবার ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লায়েনকে পাঠানো চিঠিতে ট্রাম্প লেখেন, ‘আমরা বহু বছর ধরে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে আমাদের বাণিজ্য সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা করে এসেছি। কিন্তু ইউরোপের শুল্ক ও অশুল্ক নীতির কারণে যুক্তরাষ্ট্রকে দীর্ঘমেয়াদী ও ব্যাপক বাণিজ্য ঘাটতির মুখোমুখি হতে হয়েছে, যা এখন আর সহ্যযোগ্য নয়।’
তিনি আরও লেখেন, ‘আমাদের সম্পর্কটি দুর্ভাগ্যজনকভাবে পরস্পর সমান নয়।’ উল্লেখ্য, ২০২৪ সালে ইইউর সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য ঘাটতি ছিল ২৩৫.৬ বিলিয়ন ডলার (২০২ বিলিয়ন ইউরো)।
এর আগে চলতি বছরের ২ এপ্রিল ট্রাম্প ইইউর পণ্যের ওপর ২০ শতাংশ শুল্কের প্রস্তাব দেন এবং পরে তা ৫০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ানোর হুমকি দেন। ওয়াশিংটন ও ব্রাসেলস আশা করেছিল ৯ জুলাইয়ের মধ্যে একটি চুক্তিতে পৌঁছানো সম্ভব হবে, তবে এখনো পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো অগ্রগতির ঘোষণা আসেনি।
ভন ডার লায়েন হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, ইইউ এখনো ১ আগস্টের মধ্যে একটি চুক্তির জন্য কাজ করে যেতে প্রস্তুত। বিশ্বের খুব কম অর্থনীতিই ইউরোপীয় ইউনিয়নের মতো উন্মুক্ততা ও ন্যায্য বাণিজ্য নীতিতে বিশ্বাস করে। ইইউ প্রয়োজনে পারস্পরিক ও পাল্টা ব্যবস্থা নিতে প্রস্তুত।
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ ট্রাম্পের ঘোষণার কড়া সমালোচনা করে বলেন, ‘আমি এই সিদ্ধান্তের প্রবল বিরোধিতা করি।’ তিনি ইইউকে পাল্টা পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান।
ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি বলেন, আটলান্টিকের দুই পাশে বাণিজ্য যুদ্ধ শুরু করাটা কোনো যুক্তিসঙ্গত পদক্ষেপ হবে না।
তাসমিম