
ছবি: দৈনিক জনকণ্ঠ।
দেশে ন্যায়-ইনসাফ ও বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠায় সকলকে যেকোনো ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত থাকতে হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নায়েবে আমীর এবং ঢাকা-৮ আসনের জামায়াত মনোনীত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী ড . হেলাল উদ্দিন।
তিনি বুধবার (২ জুলাই) জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে শহীদ ও আহত-পঙ্গুত্ব বরণকারীদের স্মরণে বাংলা মটরে এতিম, দরিদ্র, অসহায় ও দুঃস্থদের মাঝে খাবার বিতরণ পূর্বক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন।
হেলাল উদ্দিন বলেন, জুলাই বিপ্লব আমাদের দেশ ও জাতিকে নতুন করে জীবনী শক্তি দিয়েছে। এ বিপ্লবের প্রেক্ষাপট একদিনে তৈরি হয়নি বরং দীর্ঘ প্রায় ১৬ বছরের অপশাসন-দুঃশাসনে আওয়ামী ফ্যাসিবাদীদের প্রতি জনগণ বিতৃষ্ণ হয়ে উঠেছিল। ফলে স্বৈরাচারের পতন অনিবার্য হয়ে ওঠার কারণে ছাত্র-জনতা ঐক্যবদ্ধ হয়ে রাজপথে নেমে এসেছিল।
এডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিন বলেন, বাংলাদেশে ৯০ শতাংশ মানুষ মুসলিম। অথচ এদেশে কুরআনের আলোচনা করতে হলে আওয়ামী লীগ সরকার থেকে অনুমতি নিতে হতো কিন্তু নাচ-গানের জন্য কোন অনুমতি দরকার ছিল না। আওয়ামী লীগ সরকার আল্লাহর সাথে বিদ্রোহ করেছে কারণ আল্লাহ যা হারাম করেছে আওয়ামী সরকার তার সবগুলোর বৈধতা দিয়েছে। যার কারণে আল্লাহর আজাব নেমে এসেছে আওয়ামী লীগের ওপর। এজন্যই তারা শুধু ক্ষমতাচ্যুত হয়নি, তারা গোষ্ঠী সহ পালিয়েছে।
তিনি আরো বলেন, ভোট ডাকাতি করতে না পারার ভয়ে পিআর পদ্ধতির নির্বাচনকে একটি দল ভয় পায়। সেজন্য তারা পিআর পদ্ধতির নির্বাচনের বিপক্ষে। এদিকে বিকেলে শান্তিনগরে পথসভা ও গণসংযোগ করেন তিনি। এ সময় স্থানীয় জামায়াত নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
মিরাজ খান