ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ১৫ জুন ২০২৫, ১ আষাঢ় ১৪৩২

ক্ষমতায় গেলে ড. ইউনূসকে পাশে চায় বিএনপি

প্রকাশিত: ২০:৫৫, ১৪ জুন ২০২৫

ক্ষমতায় গেলে ড. ইউনূসকে পাশে চায় বিএনপি

বিএনপি যদি ভবিষ্যতে সরকার গঠন করতে সক্ষম হয়, প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় পাশে পেতে চায় দলটি। এমন ইঙ্গিত মিলেছে লন্ডনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও ড. ইউনূসের মধ্যে অনুষ্ঠিত একান্ত বৈঠক থেকে।

প্রায় দেড় ঘণ্টাব্যাপী এই গোপন বৈঠকে আলোচনায় এসেছে নির্বাচন, রাজনৈতিক সংস্কার ও বিচার প্রক্রিয়ার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বিএনপির সূত্র বলছে, বৈঠকটির উদ্দেশ্য শুধুই নির্বাচন নয়, বরং আগামীর রাজনৈতিক রূপরেখাও স্থির করা।

বিএনপির নীতিনির্ধারণী ফোরাম স্থায়ী কমিটি বৈঠকের আগে তারেক রহমানকে স্পষ্টভাবে দায়িত্ব দিয়েছিল নির্বাচনকালীন সময়সীমা নির্ধারণ, কয়েকটি মৌলিক সংস্কারে সমঝোতা এবং বিচার প্রক্রিয়া কীভাবে দ্রুত এগিয়ে নেওয়া যায়, তা নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আলোচনা করার জন্য।

এই প্রসঙ্গে স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন,“আগামীতে সরকার গঠন করতে পারলে দেশের অর্থনৈতিক মুক্তি ও গণতান্ত্রিক ধারার রাজনৈতিক চর্চা প্রতিষ্ঠায় ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সহায়তা প্রত্যাশা করে বিএনপি। বিষয়টি প্রধান উপদেষ্টাকে জানানো হয়েছে। তিনি প্রস্তাব গ্রহণ করেছে কি না তা জানি না। তবে তিনি প্রস্তাবগুলোর গুরুত্ব অনুধাবন করবে বলে মনে করি।”

এ সময় আরেক সিনিয়র নেতা হাফিজউদ্দিন আহমদ বলেন,“রাজনৈতিক দল ও সরকারের একমত হওয়া বিষয়গুলো সংস্কার হবে। অন্তর্বর্তী সরকারের সময়ে যতটুকু সম্ভব সংস্কার হবে। বাকি সংস্কার নির্বাচিত সরকার করবে। বিচারের ব্যাপারে তারেক রহমান প্রধান উপদেষ্টাকে আশ্বস্ত করেছেন। বিগত সময়ে বিএনপি সবচেয়ে বেশি ভুক্তভোগী হয়েছে। যেহেতু আমরা ভুক্তভোগী সেহেতু আমরা নিশ্চয় দ্রুত বিচারের উদ্যোগ গ্রহণ করবো।”

বিএনপির দাবির তালিকায় অন্তর্বর্তী সরকারের কয়েকজন উপদেষ্টার পদত্যাগও ছিল। বিশেষ করে দুই ছাত্র উপদেষ্টা ও নিরাপত্তা উপদেষ্টার বিষয়ে আপত্তি জানায় দলটি। যদিও তারেক রহমানের সঙ্গে বৈঠকে নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমানের উপস্থিতি এই দাবির বিষয়ে নতুন প্রশ্ন তুলেছে। একইভাবে, যমুনায় অনুষ্ঠিত আরেক বৈঠকে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের উপস্থিতিও আলোচনায় এসেছে।তবে এ বিষয়ে বিএনপি নেতারা এখনো অবস্থানে অনড় বলে জানিয়েছেন।

হাফিজউদ্দিন আহমদ বলেন,“এই তিনজনের পদত্যাগের ব্যাপারে আমরা এখনও অনড় আছি। আমরা সরকারকে প্রস্তাব দিয়েছি। এখন বল সরকারের কোর্টে। এখন সরকার কি সিদ্ধান্ত নেয় তার জন্য অপেক্ষা করছি।”

সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন,“এই সরকার অন্তর্বর্তী হলেও তাদের নামের সাথে নিরপেক্ষতা শব্দটি রয়েছে। ফলে সরকারকে নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে হবে।”

আফরোজা

×