দৈনিক সংগ্রাম প্রতিদিনের ইউকে প্রতিনিধি সামিয়া আক্তারের এক প্রশ্নের জবাবে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান স্পষ্ট করে জানিয়েছেন, “জাতির মধ্যে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা ছিল আমাদের বড় কাজ।”
প্রশ্নোত্তর পর্বে সামি আক্তার বর্তমান প্রশাসনের নীরবতা এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বাসভবন ভাঙার ঘটনার প্রেক্ষিতে জাতীয় ঐক্যের বিষয়ে প্রশ্ন তোলেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়িটি ছয় ঘণ্টার বেশি সময় ধরে ঢাকা সিটি করপোরেশনের বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। সে সময় প্রশাসন ছিল নীরব। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে দেখা যাচ্ছে, আপনি কিছু নির্দিষ্ট ব্যক্তি বা তাদের সমর্থকদের আলাদা করে দলে বিভাজন তৈরি করেছেন।একটি পক্ষকে বাদ দিয়ে কিভাবে জাতীয় পুনর্গঠন বা সংস্কার সম্ভব?
প্রধান অতিথি এর জবাবে বলেন, “অনেক বিষয় একসঙ্গে উঠে এসেছে। আমরা একসঙ্গে সব সামাল দিতে পারি না। প্রথমেই যেটা দরকার ছিল, তা হলো দেশজুড়ে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা।”
তিনি প্রশাসনের দায়িত্ব প্রসঙ্গে বলেন, “গতকাল যারা শিশুদের গুলি করেছিল, আজ তারাই মানুষকে রাস্তা ছাড়তে বলছে—তখন মানুষ ক্ষুব্ধ হয়ে বলে, ‘তুমি কে? তুমি তো আমার ভাই বা সন্তানকে হত্যা করেছো।’ এতে একধরনের অচলাবস্থা তৈরি হয়েছিল।”
তিনি উল্লেখ করেন, “আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছি। মানুষ এখন আবার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে গ্রহণ করছে। অপরাধে জড়িতদের চিহ্নিত করে বরখাস্ত করা হয়েছে এবং তারা বিচারের মুখোমুখি হবে। প্রতিটি ঘটনাই মোবাইল ক্যামেরায় ধারণ করা হয়েছে—সেই ভিডিও প্রমাণই বিচার নিশ্চিত করবে।”
এ সময় তিনি বলেন, “আমরা দাবি করছি না যে আমরা সব সমস্যার সমাধান করতে পারব। তবে আমরা একটি উত্তরাধিকারী সরকার হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছি, এবং এখন এমন এক পুলিশ বাহিনী আছে, যারা দেশে আইনের শাসন ফিরিয়ে আনতে পারবে।”
তিনি রাজনৈতিক ঐক্যের প্রসঙ্গে বলেন, “সব রাজনৈতিক দলকে নিয়ে ‘জুলাই চার্টার’ তৈরির কাজ চলছে। আশা করি, জুলাই মাসেই সব দলের উপস্থিতিতে সেই ঐতিহাসিক চার্টার ঘোষণা করা সম্ভব হবে।”
সানজানা
