
ছবি: সংগৃহীত
বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের মহাসচিব কাদের গনি চৌধুরী বলেছেন, “বিচ্ছিন্নতায় নয়, জাতীয় সম্পৃক্ততায় বিশ্বাস করতে হবে পার্বত্য অঞ্চলের জনগণের। দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও অখণ্ডতার প্রশ্নে কোনো আপস করা যাবে না।”
আজ বিকেলে মহাখালীর এসকেএস টাওয়ার মিলনায়তনে স্বাধীনতা সুরক্ষা পরিষদ আয়োজিত “পার্বত্য চট্টগ্রামের উগ্রপন্থী সংগঠনগুলোর স্বায়ত্তশাসনের দাবি, বিরাজমান সমস্যা ও সমাধানের উপায়” শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন লে. কর্নেল ফরিদুল আকবর। বক্তব্য দেন রিয়ার অ্যাডমিরাল মুস্তাফিজুর রহমান, অব. লে. জেনারেল মতিউর রহমান, অধ্যাপক ড. আবদুল লতিফ মাসুম, ড. মোহাম্মদ জাকরিয়া, অব. লে. কর্নেল শাহদাত হোসেন, মেজর (অব.) সারোয়ার হোসেন, অব. লে. কর্নেল হাফিজুর রহমান বীরপ্রতীক, অব. লে. কর্নেল ফেরদৌস আজিজ প্রমুখ। সঞ্চালনায় ছিলেন মোস্তফা আল ইহযায।
কাদের গনি চৌধুরী বলেন, “সম্পদ-সমৃদ্ধ পার্বত্য চট্টগ্রাম কেবল একটি ভৌগোলিক অঞ্চল নয়, বরং ভূরাজনৈতিক ও ভূকৌশলগত দিক থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি স্ট্রাটেজিক ইউনিট। এই অঞ্চলকে ঘিরে দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র চলমান, যার প্রতিরোধে সেনাবাহিনী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।”
তিনি ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর স্বাক্ষরিত পার্বত্য শান্তিচুক্তিকে বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বিতর্কিত চুক্তি বলে মন্তব্য করেন। তার ভাষায়, “এই চুক্তি সংবিধান, স্বাধীনতা ও সমতার পরিপন্থী। চুক্তির মাধ্যমে পার্বত্য এলাকায় বসবাস ও ভূমি ক্রয়ে বাঙালিদের অধিকার হরণ করা হয়েছে, যা সংবিধানের মৌলিক অধিকার পরিপন্থী।”
তিনি সংবিধানের ৩৬ ও ২৬ অনুচ্ছেদের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, “দেশের যেকোনো নাগরিকের যেকোনো স্থানে বসবাসের অধিকার রয়েছে। অথচ চুক্তির মাধ্যমে সেই অধিকার ক্ষুণ্ন করা হয়েছে।”
পাহাড়িদের উন্নয়ন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “অঞ্চলটি এখনো অবহেলিত। উপজাতীয় জনগোষ্ঠী দারিদ্র্য ও দুরবস্থায় জীবনযাপন করছে। তাদের ভূমির মালিকানা নিশ্চিত করে অর্থনৈতিক উন্নয়নে বিশেষ কর্মসূচি গ্রহণ করা জরুরি।”
তিনি আরও বলেন, “পার্বত্য চট্টগ্রামের ৫% মানুষ সন্ত্রাসে জড়িত, বাকিরা শান্তিপ্রিয়। রাষ্ট্রকে ‘দুষ্টের দমন ও সৃষ্টের লালন’ নীতি অনুসরণ করতে হবে। এক দেশ, এক নীতি—এই আদর্শে এগিয়ে যেতে হবে। স্বায়ত্তশাসনের দাবি যেমন অযৌক্তিক, তেমনি সেনা প্রত্যাহারের দাবিও বাস্তবসম্মত নয়। চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাস বন্ধ হলেই সেনাবাহিনী ব্যারাকে ফিরে যাবে।”
আসিফ