ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২০ মে ২০২৫, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ হচ্ছে সরকারের ’ইমেজ বিল্ডিং’-এ: শাফকাত রাব্বী অনিক

প্রকাশিত: ২১:২৪, ২১ এপ্রিল ২০২৫

লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ হচ্ছে সরকারের ’ইমেজ বিল্ডিং’-এ: শাফকাত রাব্বী অনিক

ছবি: সংগৃহীত।

যুক্তরাষ্ট্রের ডালাসের গুপ্তা কলেজ অব বিজনেসের অ্যাডজাঙ্কট ইনস্ট্রাক্টর এবং এক বৃহৎ আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ট্রেজারি বিশ্লেষণ দলের প্রধান শাফকাত রাব্বী অনীক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি গুরুত্বপূর্ণ ও আলোচিত পোস্ট করেছেন।

সোমবার (২১ এপ্রিল) নিজের ফেসবুক টাইমলাইনে শাফকাত অনিক দাবি করেন, বাংলাদেশের বর্তমান সরকারের কয়েকজন কর্মকর্তার "ইমেজ বিল্ডিং" প্রচারণায় ফেসবুকে লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করা হচ্ছে। তার ভাষ্য অনুযায়ী, "একই ব্যক্তির ব্যাপারে হুবহু একই কথা বা ট্যাগ লাইন ব্যবহার করে কিংবা একই ইমেজ , মিম, কাট পেস্ট করে একই ধরনের প্রোপাগান্ডা প্রচার করা হচ্ছে।"

তিনি জানান, একটি বিশেষায়িত কোম্পানির সাহায্যে তিনটি আলাদা ক্যাম্পেইনের তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করা হয়েছে। এই কোম্পানি ইন্টারনেট স্ক্র্যাপ করে মেশিন লার্নিংয়ের মাধ্যমে শনাক্ত করেছে কোথায় এবং কীভাবে নির্দিষ্ট বার্তা ও কনটেন্ট ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। তাদের বিশ্লেষণে উঠে এসেছে হাজার হাজার লক আইডি থেকে একই ধরনের পোস্ট ও কমেন্ট করা হচ্ছে।

একটি উল্লেখযোগ্য প্রোপাগান্ডার উদ্দেশ্য বলে তিনি জানান, “নির্বাচন হলে ইউনূস সরকারের একজন স্টার কর্মকর্তাকে হারিয়ে মানুষ পাবে তারেক রহমানকে”— এমন বিভ্রান্তিকর প্রচার চালানো হচ্ছে। অন্যদিকে একটি প্রচারাভিযানে বলা হচ্ছে, ইউনূস সরকারের দিন শেষ, এখন নতুন কারও উত্থান সময়ের দাবি। এছাড়া '৫ মোর ইয়ারস' ক্যাম্পেইনকেও তিনি গুরুত্বপূর্ণ বলে উল্লেখ করেছেন, যেখানে কিছু অংশে অর্গানিক অংশগ্রহণ থাকলেও মূল প্রচারণাটি আরোপিত ছিল বলে মন্তব্য করেন তিনি।

শাফকাত অনিক আরও বলেন, “আমরা ক্যাম্পেইন সনাক্ত করতে পেরেছি, কিন্তু টাকা কে দিয়েছে এটা ফেসবুক ছাড়া কেউ কনফার্ম বলতে পারবে না।” তাঁর মতে, এই কর্মকাণ্ডের পেছনে সরকারের ভিতরকার কেউ জড়িত থাকতে পারেন, তবে তার কাছে সেই বিষয়ে কোনো হার্ড প্রমাণ নেই।

তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, একটি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের পেছনে কেন এতো অর্থব্যয় হবে? বরং এই প্রচারণা সরকারের কাঁধে বন্দুক রেখে নির্বাচন পেছানোর চেষ্টা হতে পারে বলেও শঙ্কা প্রকাশ করেন।

নুসরাত

×