মোহাম্মদপুরে অবস্থিত আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস। ছবি: জনকণ্ঠ
বেলা এগারোটায় এসেছি এখন বাজে দেড়টা দীর্ঘ সময় রোদে দাঁড়িয়ে রয়েছি কিন্ত পাসপোর্টের জন্য কাগজপত্র জমা দিতে পারছি না ।
আক্ষেপ নিয়ে কথাগুলো বলছিলেন ঢাকার সাভারের বাসিন্দা জনি সাহা। বুধবার দুপুরে ঢাকার মোহাম্মদপুরে অবস্থিত আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে জনিসহ একাধিক ব্যাক্তির সঙ্গে কথা হয় এ প্রতিবেদকের।
জনি বলেন, পরিবারকে নিয়ে এসেছিলাম পাসপোর্ট করার জন্য, তবে আমরা এখন অসুস্থ হয়ে পড়ছি। এযেন ভোগান্তির অপর নাম মোহাম্মদপুর পাসপোর্ট অফিস। অঙ্গন নামে এক যুবক বলেন, বয়স্ক বাবাকে নিয়ে এসেছি পাসপোর্ট করার জন্য। ঘন্টার পর ঘন্টা লাইনে অপেক্ষা করছি কোনো ধরনের অগ্রগতি নেই। খুব বেশি মানুষ না থাকার পরেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের এত ধীরগতি খুবই দুঃখজনক।
সাভারের আশুলিয়ার আউকপাড়া থেকে আসা রহমান নামে এক ব্যক্তি বলেন, সকাল দশটায় এসেছি প্রায় চার ঘন্টা দাড়িয়ে থেকেও আবেদন জমা দিতে পারিনি। তাদের কার্যক্রম যেমন ধীর গতি আবার প্রশ্ন করলে শুধু বলছে সার্ভার ডাউন।
শুধু জনি, অঙ্গন, রহমান নয় এমন অভিযোগ আরও অনেকের। যারা দীর্ঘ সময় লাইনে দাড়িয়ে ভোগান্তির শিকার। তারা বলেন একসময় আগারগাঁ পাসপোর্ট অফিসে নাগরিকরা ভোগান্তির শিকার হওয়ায় অঞ্চল ভেদে পাসপোর্ট অফিসের কার্যক্রম ভাগ করা হয়। তারপরও নাগরিকদের ভোগান্তি শেষ হচ্ছে না।
জানতে চাইলে আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস ঢাকা পশ্চিমের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ শাহাদাৎ হোসেন বলেন, সার্ভার ডাউন থাকায় আমাদের কার্যক্রম বন্ধ ছিল। সার্ভার সচল হওয়ায় কার্যক্রম ফের শুরু হয়েছে।
এসআর