ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ০৫ মে ২০২৫, ২২ বৈশাখ ১৪৩২

আওয়ামী লীগের দায় নেবে না শরিক ১৪ দল

প্রকাশিত: ১১:৫৩, ২০ আগস্ট ২০২৪

আওয়ামী লীগের দায় নেবে না শরিক ১৪ দল

আওয়ামী লীগ সরকারের সিদ্ধান্তের দায় নিতে রাজি নন শরিক ১৪ দলীয় জোটের নেতারা।

৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার রোষানলের মুখে সরকারপ্রধানের পদ থেকে পদত্যাগের পরে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা দেশ ছাড়েন। আওয়ামী লীগ সরকারের সিদ্ধান্তের দায় নিতে রাজি নন শরিক ১৪ দলীয় জোটের নেতারা।  কোটা সংস্কার আন্দোলনে নির্বিচারে গুলি করে শিক্ষার্থীদের হত্যার ঘটনায় আওয়ামী লীগ সরকারকে দায়ি করছেন তারা।  

১৪ দলীয় জোটের নেতারা গণমাধ্যমকে বলছেন, বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময় আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে জোটটি গঠন করা হয়েছিল আদর্শের ভিত্তিতে। কিন্তু ২০০৯ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত আওয়ামী লীগ তাদের মূল্যায়ন করলেও একাদশ নির্বাচনের পর অবহেলা আর অবজ্ঞাই জুটেছিল তাদের ভাগে। শরিকদের জনসমর্থন নেই দাবি করে গত দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে আশানুরূপ আসন ছাড় দেওয়া হয়নি। তাদের মূল্যায়ন করা হয়নি নির্বাচনের পরেও। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শুরু থেকে আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের আহ্বানেও আওয়ামী লীগ তাদের কোনো কথাই শোনেনি। তাই তারা দলটির কর্মকাণ্ডের দায় নেবে না।

জোটের শরিক হিসেবে দায় এড়াতে পারেন কি না এমন প্রশ্নে জাতীয় পার্টির (জেপি) মহাসচিব শেখ শহীদুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের দায় তো নেই। আমরা তো সরকারে ছিলাম না। আমাদের এমপিও ছিল না।’

সাম্যবাদী দলের সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া বলেন, যদি আওয়ামী লীগের কোনো দোষ থাকে তবে তো জোটের নেতারা সে বিষয়ে কথা বলবেনই। আমাদের তো গুরুত্ব কম ছিল; কিন্তু এই যে দুঃসময় এখন—তাদের নেতারা কোথায়? হাইব্রিড দিয়ে দল ভর্তি করেছিলেন, তারা এখন কোথায়? আমরা সার্বিক বিষয়ে মূল্যায়ন করছি।

১৪ দলীয় জোটের আরেক শরিক বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটব্যুরো সদস্য কামরুল আহসান বলেন, ‘আমাদের কোনো দায় নেই। কারণ, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে তাদের সঙ্গে দূরত্ব ছিল। ২০১৮ সালের নির্বাচনের পরে আমরা বলার চেষ্টা করেছিলাম, নির্বাচনী ব্যবস্থায় জনগণের অংশগ্রহণ না থাকলে সে ব্যবস্থা ধ্বংস হলে তার ফল ভোগ করতে হবে। আমরা দুর্নীতি, টাকা পাচারসহ বিভিন্ন ইস্যুতে কথা বলেছিলাম। ফলে গত নির্বাচনে আমাদের দূরে ঠেলার জন্য যা যা দরকার, সবই করেছে আওয়ামী লীগ। তারপরও গণতন্ত্রের স্বার্থে নির্বাচনে ছিলাম।’

তরীকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারীর ছেলে সৈয়দ তৈয়বুল বশর মাইজভান্ডারী বলেন, ‘বাবার বক্তব্য সহজ। যে আওয়ামী লীগ সরকারের দ্বারা এতগুলো সাধারণ মানুষের প্রাণ গেছে, সেই আওয়ামী লীগ বা ১৪ দলের সঙ্গে আমরা নেই।

৫ আগস্ট সরকারপ্রধানের পদ থেকে পদত্যাগের পরে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা দেশ ছাড়েন। এরপরই দলটির সব পর্যায়ের নেতারা আত্মগোপনে চলে যান। প্রায় সব নেতা মোবাইল বন্ধ করে রাখেন। আওয়ামী লীগের শরিক দলের নেতারাও অনেকটা নিশ্চুপ হয়ে যান। 
 

তাসমিম

×