ছবি: সংগৃহীত
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা ‘সর্বাত্মক অসহযোগ আন্দোলন’ এবং সরকার পতনের এক দফা দাবি রুখতে মাঠে নেমেছেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। এরই মধ্যে রাজধানীর মিরপুর ১০-নম্বর গোলচত্বরে অবস্থান নিয়েছেন তারা।
রবিবার (৪ আগস্ট) সকাল ১০টার পর থেকে মিরপুরের বিভিন্ন এলাকা থেকে মিছিল নিয়ে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা জড়ো হতে থাকেন।
এরপর মিরপুর-১০ নম্বর গোলচত্বরে অবস্থান নেন ছাত্রলীগ-যুবলীগ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। নেতৃত্বে রয়েছেন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা-১৪ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিল।
প্রতক্ষদর্শীরা বলছেন, লাঠিসোঁটা ও দেশীয় অস্ত্রসহ ছাত্রলীগ-যুবলীগ মিরপুর-১০ নম্বরে অবস্থান নেন। মোটরসাইকেলে করে এবং মিছিল নিয়ে দলে দলে আসছেন তারা। ট্রাকভর্তি করেও লোকজন আসছেন। কেউ ছবি তুলতে গেলেই আক্রমণাত্মক হয়ে এগিয়ে আসছেন তারা। বন্ধ করতে বলেন মোবাইল ফোন।
শনিবার (৩ আগস্ট) বিকেলে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার মন্ত্রিসভার পদত্যাগের এক দফা দাবি ঘোষণা করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক মো. নাহিদ ইসলাম।
২০১৮ সালে সরকার চাকরিতে কোটা বাতিল করে সরকারের জারি করা পরিপত্র চলতি বছরের জুনের শেষে অবৈধ ঘোষণা করেন হাইকোর্ট। এর পরিপ্রেক্ষিতে জুলাইয়ের শুরুতে মাঠে নামে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। তারা প্রথমে পরিপত্র ফিরিয়ে আনতে, অর্থাৎ কোটা না রাখার দাবিতে রাজপথে নেমে কোটা সংস্কারের দাবি জানান।
গত ১৫ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের সঙ্গে এই আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের পরদিন বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের বাইরে সংঘাত হয়। এতে চট্টগ্রামে এক ছাত্রদল নেতাসহ তিন জন, ঢাকার সায়েন্স ল্যাবরেটরিতে ছাত্রলীগ কর্মী ও একজন হকার এবং রংপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে আবু সাঈদ নামে এক ছাত্র নিহত হন।
উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ১৭ জুলাই জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে শিক্ষার্থীদের ধৈর্য ধরার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তবে ১৮ জুলাই ‘কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচি ঘোষণা করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
তাসমিম