ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৪ অক্টোবর ২০২৪, ৯ কার্তিক ১৪৩১

ফিনিক্স পাখির মতো ভস্ম থেকেও জেগে ওঠে আওয়ামী লীগ: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত: ১৯:২০, ২৩ জুন ২০২৪

ফিনিক্স পাখির মতো ভস্ম থেকেও জেগে ওঠে আওয়ামী লীগ: প্রধানমন্ত্রী

আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা।

আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আওয়ামী লীগকে বারবার আঘাত করে খণ্ড-বিখণ্ড করা হয়েছে। বারবার এ দলকে নিশ্চিহ্ন করার চেষ্টা হয়েছিল। সেই আইয়ুব খানের মার্শাল ল থেকে শুরু… তবু এ সংগঠনের ক্ষতি করতে পারেনি কেউ। ফিনিক্স পাখির যেমন পুড়িয়ে ফেলার পরও ভস্ম থেকে জেগে ওঠে, আওয়ামী লীগও সেভাবেই জেগে উঠেছে।’

রবিবার (২৩ জুন) রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত সমাবেশে এসব কথা বলেন আওয়ামী লীগের সভাপতি।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘২০৪১, ২১০০, অনেক বয়স হয়েছে, হয়ত ততদিন থাকবো না। কিন্তু আজকে যারা নবীন, তারাই স্মার্ট বাংলাদেশের মূল সৈনিক হবে। আমরা তাদের জন্য স্মার্ট বাংলাদেশ গঠন করে বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবো, প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর দিনে এই হোক অঙ্গীকার।’

তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ গণমানুষের সংগঠন, জনগণের অধিকার আদায়ের সংগঠন, জনগণের আর্থসামাজিক উন্নতি করার সংগঠন। আওয়ামী লীগের মূল শক্তি হচ্ছে দেশের জনগণ, তৃণমূলের মানুষ, আওয়ামী লীগের অগণিত নেতাকর্মী, মুজিব আদর্শের সৈনিক। এ সৈনিকরা কখনও পরাজয় মানে না; মাথা নত করে না।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিভিন্ন সময় নেতারা অনেকে ভুল করেছেন। আওয়ামী লীগ ছেড়ে চলে গিয়েছেন। যেসব নেতা ভুল করেছেন, তারা বুঝে নাই আকাশের তারার মতো তারাও জ্বলে উঠেছিল আওয়ামী লীগের আলোতেই। চলে যাওয়ায় হারিয়ে গেছে। হ্যাঁ, অনেকে ফিরেও এসেছে, আমরা গ্রহণ করেছি। আবার অনেকে এখনো সরকার পতনের আন্দোলন করে। কিন্তু আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে বাংলার মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য। তা আমরা প্রমাণ করেছি।’

আওয়ামী লীগকে আরও সুসংগঠিত ও শক্তিশালী সংগঠন হিসেবে গড়ে তুলতে নেতাকর্মীদের আহ্বান জানিয়ে দলটির সভাপতি বলেন, ‘আমার একটাই আবেদন থাকবে আমাদের সংগঠনের প্রতিটি নেতাকর্মীর কাছে, সংগঠনকে সুসংগঠিত করতে হবে। যেকোনো একজন রাজনীতিবিদের জীবনে সংগঠনটা হচ্ছে সবচেয়ে শক্তিশালী। যদি সংগঠন শক্তিশালী হয় আর দেশের গণমানুষের সমর্থন পাওয়া যায়, যতই ষড়যন্ত্র হোক...। প্রত্যেক নেতাকর্মীকে এই প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে বলবো, আপনারা একবার চিন্তা করে দেখেন, এই আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা কত কষ্ট করেছে। বারবার আঘাত এসেছে। পরিবারগুলো কষ্ট করেছে। কিন্তু সংগঠন ধরে রেখেছে। কাজেই যেমন সংগঠন করতে হবে, সেভাবে জনগণের আস্থা-বিশ্বাস, যেটা আমাদের মূল শক্তি, সেই আস্থা-বিশ্বাসটা অর্জন করতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সবসময় মানুষের পাশে থেকেছে। আজকে বাংলাদেশের যত অর্জন, সেগুলো আওয়ামী লীগই করেছে। কিন্তু বারবার আওয়ামী লীগের ওপর আঘাত এসেছে। কিন্তু আওয়ামী লীগ গণমানুষের সংগঠন, জনগণের অধিকার আদায়ের সংগঠন।’

আওয়ামী লীগ সভাপতি আরও বলেন, ‘প্রত্যেক নেতাকর্মীকে এই প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে বলবো আপনারা একবার চিন্তা করে দেখেন, এই আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা কত কষ্ট করেছে। বারবার আঘাত এসেছে। পরিবারগুলো কষ্ট করেছে। কিন্তু এই সংগঠন ধরে রেখেছে। কাজেই সংগঠন যেমন শক্তিশালী করতে হবে একই ভাবে জনগণের আস্থা-বিশ্বাস, যা আমাদের মূল শক্তি, সেটিও অর্জন করতে হবে।’

মৃত্যুকে পরোয়া করেন না জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘হ্যাঁ, মৃত্যু যেকোনও সময় সবার হতে পারে। যেকোনও সময় মৃত্যু আসতে পারে। তার জন্য আমি কোনও দিন ভীত নই। কখনও ভয় পাইনি, পাবোও না। কিন্তু যতক্ষণ শ্বাস, ততক্ষণ আশ। বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে আমার বাবার যে চিন্তা-চেতনা, তা বাস্তবায়ন করে এ দেশের মানুষকে একটা উন্নত জীবন দেবো- এটাই আমাদের লক্ষ্য।’

আওয়ামী লীগের প্লাটিনাম জয়ন্তীর অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের, ১৪ দলের কেন্দ্রীয় নেতারা, বাংলাদেশে নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকরাসহ দেশি-বিদেশি আমন্ত্রিত অতিথিরা এবং দলের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

 

এম হাসান

×