হাইকোর্ট। ফাইল ছবি।
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদে তৃতীয় ধাপে অনুষ্ঠিত ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের নিয়োগ প্রক্রিয়ার মৌখিক পরীক্ষা স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট।
মঙ্গলবার (২৮ মে) হাইকোর্টের বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসেন দোলনের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়।
সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন বলেন, ‘পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস হয়েছিল। ডিবি পুলিশ কয়েকজন আটক করে এবং তারা স্বীকারোক্তিও দেয়। এরপরও মন্ত্রণালয় পরীক্ষার প্রক্রিয়া বাতিল না করে চালিয়ে যাচ্ছে। তাই আমরা আদালতে এসেছি। আদালত এই ভর্তি প্রক্রিয়ার মৌখিক পরীক্ষা ছয় মাসের জন্য স্থগিত করেছেন এবং বিষয়টি তদন্ত করে তিন মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।’
গত ২৯ মার্চ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগে তৃতীয় ধাপে ঢাকা-চট্টগ্রাম বিভাগের জেলাগুলোতে পরীক্ষা হয়। দুই বিভাগের ৪১৪টি কেন্দ্রে একযোগে লিখিত পরীক্ষা হয়। এতে প্রার্থী ছিলেন প্রায় সাড়ে তিন লাখ।
এর আগে ২ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় ধাপে তিন বিভাগের ২২ জেলায় লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ২০ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় ধাপের লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়। এতে ২০ হাজার ৬৪৭ জন উত্তীর্ণ হন।
গত বছরের ৮ ডিসেম্বর প্রথম ধাপে রংপুর, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের জেলাগুলোতে লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম ধাপের লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন ৯ হাজার ৩৩৭ জন। মৌখিক পরীক্ষা শেষে প্রথম ধাপে ২ হাজার ৪৯৭ জনকে চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত করা হয়েছে।
এম হাসান