ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ০৪ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১

বিদ্যুতের চাহিদা পৌঁছাবে সাড়ে ১৭ হাজার মেগাওয়াটে

প্রকাশিত: ২১:০৮, ২০ এপ্রিল ২০২৪; আপডেট: ২২:৪৫, ২০ এপ্রিল ২০২৪

বিদ্যুতের চাহিদা পৌঁছাবে সাড়ে ১৭ হাজার মেগাওয়াটে

আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশনে বৈঠকে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ

  • গরমে বাড়বে বিদ্যুতের চাহিদা
  • গ্যাস সংকটে হচ্ছে না পর্যাপ্ত উৎপাদন

কাঠফাটা গরমে জনজীবনে উঠছে নাভিশ্বাস। এরই মধ্যে ঈদুল ফিতরের ছুটি শেষে আগামীকাল রবিবার থেকে পূর্ণদ্যমে চালু হবে দেশের সব অফিস-আদালত-কল-কারখানা। এমন অবস্থায় বিদ্যুতের চাহিদা গিয়ে পৌঁছাতে পারে সাড়ে ১৭ হাজার মেগাওয়াটে। কিন্তু পর্যাপ্ত অর্থের অভাবে ব্যাহত হচ্ছে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানি। এতে করে বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো সক্ষমতা অনুযায়ী উৎপাদন করতে পারছে না বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। 

তাপমাত্রার পারদ ছুঁয়েছে ৪১ ডিগ্রির ঘর। তীব্র গরমে হাঁসফাঁস করছেন মানুষজন। এই পরিস্থিতিতে আজ শনিবার পিক আওয়ারে দেশে বিদ্যুতের সর্বোচ্চ চাহিদা ছিল ১৩ হাজার ৮০০ মেগাওয়াট। এর বিপরীতে উৎপাদন হয়েছে ১৩ হাজার ৩২৫ মেগাওয়াট। এতে করে দেশের বিভিন্ন স্থানে লোডশেডিং করতে হয়েছে ৪৫৪ মেগাওয়াট। শনিবার আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন কোম্পানি লিমিটেড (এপিএসসিএল) পরিদর্শনকালে খোদ বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রীও এ আশংকা করেছেন। তিনি বলেছেন, এই গরমে বিদ্যুতের চাহিদা ১৭ হাজার ৫০০ মেগাওয়াট হতে পারে। এই চাহিদা পূরণ করে আমরা নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের চেষ্টা করছি। কিন্তু আমাদের বড় বাঁধা অর্থ। অনেক বিদ্যুৎ কেন্দ্র গ্যাসের জন্য উৎপাদন করতে পারছে না। অনেকে আবার সামান্য কিছু উৎপাদন করছে। এর একমাত্র কারণ টাকার অভাবে আমাদের এলএনজি আমদানি ব্যাহত হচ্ছে। অর্থ মন্ত্রণালয় সম্প্রতি কিছু অর্থ ছাড় করলেও তা পর্যাপ্ত নয়। তাই এ সময়টায় সবাইকে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে। কোথাও কোনো সঞ্চালন বা বিতরণে সমস্যা থাকলে তা যেনো দ্রুত কর্তৃপক্ষকে জানানো হতে হবে। তিনি বলেন, আমাদের চাহিদা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পেলেও নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে সরকার বদ্ধ পরিকর। সঞ্চালন ও বিতরণ ব্যবস্থার মধ্যে দ্রুত সমন্বয় করা হচ্ছে। অগ্রধিকার অভ্যন্তরীণ ত্রুটি মেরামত করা হচ্ছে। বিদ্যুৎ কেন্দ্রে প্রাথমিক জ্বালানি নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহে বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হয়েছে।

প্রসঙ্গত, আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন কোম্পানি লিমেটেড একটি সরকারি মালিকানাধীন পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি এবং বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ পাওয়ার হাব। এর ছয়টি ইউনিটে বর্তমানে মোট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ১৫৮৪ মেগাওয়াট। এই কেন্দ্রের লক্ষ্য আগামী ২০৩০ সারের মধ্যে বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা বর্তমান ১৫৮৪ মেগাওয়াট থেকে ৩৩০২ মেগাওয়াটে উন্নীত করা। এপিএসসিএল সমাজের দায়বদ্ধতার স্থান থেকে কর্পোরেট সোস্যাল রেসপনসিবিলিটি নীতি গ্রহণ করে আসছে। ২০২২-২৩ সময়কালে এপিএসসিএল সিএসআর কার্যক্রমের জন্য ০.৩৩ কোটি টাকা ব্যয় করেছে। শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবার ক্ষেত্রেও এপিএসসিএল গত বছর বেশ কিছু বড় ভূমিকা পালন করেছে। 
এসময় অন্যানের মাঝে উপস্থিত ছিলেন পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ. কে. এম গাউছ মহীউদ্দিন আহমেদ, আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাইদ একরাম উল্লা ও এসপায়ার টু ইনোভেট (এটুআই) কার্যক্রমের পলিসি এডভাইজার আনীর চৌধুরী।
 

 

স্বপ্না

×