![পেঁয়াজের দাম কমছে ধীরে পেঁয়াজের দাম কমছে ধীরে](https://www.dailyjanakantha.com/media/imgAll/2023May/5-2306081722.jpg)
আমদানি হওয়ার পরও ধীরে ধীরে কমছে পেঁয়াজের দাম
আমদানি হওয়ার পরও ধীরে ধীরে কমছে পেঁয়াজের দাম। খুচরা বাজারে প্রতিকেজি দেশী পেঁয়াজ মানভেদে ৭০-৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, ভারতীয় পেঁয়াজের সরবরাহ বাড়লে দাম দ্রুত কমে আসবে। বৃহস্পতিবার কৃষি মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে- আমদানি অনুমতি দেওয়ার পর এ পর্যন্ত ভারত থেকে ১৫ হাজার টন পেঁয়াজ দেশে আনা হয়েছে। এছাড়া এখন পর্যন্ত ৫ লাখ ৪ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দিয়েছে সরকার।
জানা গেছে, কোরবানি ঈদ সামনে রেখে আমদানিকারকরা দ্রুত পেঁয়াজ দেশে আনার চেষ্টা করছেন। এছাড়া এ বিষয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়েরও নির্দেশনা রয়েছে। কোরবানিতে অন্য যে কোনো সময়ের চেয়ে সাড়ে ৩ লাখ থেকে ৪ লাখ টন পেঁয়াজের বাড়তি চাহিদা তৈরি হবে। এ কারণে অনুমতি পাওয়ার পর দ্রুত ঋণপত্র বা এলসি খুলছেন ব্যবসায়ীরা। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে ইতোমধ্যে নিত্য ও ভোগ্যপণ্য আমদানিতে ব্যাংকগুলোকে এলসি নেওয়ার ক্ষেত্রে সহযোগিতার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। এছাড়া কেন্দ্রীয় ব্যাংককে এ বিষয়ে অনুরোধ করে চিঠি দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ভারতীয় পেঁয়াজের আমদানির খবরে খুচরা বাজারে দাম কিছুটা কমেছে। তবে সরবরাহ না বাড়ায় ধীরে ধীরে কমছে দাম। সংশ্লিষ্টরা আশা করছেন, আগামী সপ্তাহ নাগাদ বাজারে ভারতীয় পেঁয়াজের সরবরাহ বাড়বে। ওই সময় নাগালের মধ্যে আসবে পেঁয়াজের দাম। রাজধানীর ঢাকার বেশিরভাগ পেঁয়াজের দোকানে ভারতীয় পেঁয়াজ পৌঁছায়নি। খুচরা বাজার থেকে ক্রেতারা দেশী পেঁয়াজ কিনছেন। এতে তাদের গুনতে হচ্ছে ৭০-৮০ টাকা পর্যন্ত। খিলগাঁও গোড়ানবাজারের মুদিপণ্যের ব্যবসায়ী ও ভাই ভাই জেনারেল স্টোরের বিক্রেতা আবির হোসেন টিটু জানান, আগের কেনা দেশী পেঁয়াজ বিক্রি করা হচ্ছে। এখনও ভারতীয় পেঁয়াজ বাজারে আসেনি। তিনি জানান, ভারতীয় পেঁয়াজের সরবরাহ বাড়লে দাম কমে আসবে।