ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

আমি তাকে চিনি না ॥ সাবেক আইজিপি বেনজীর

আরাভ খানকে দেশে ফেরানো নিয়ে সংশয়

শংকর কুমার দে

প্রকাশিত: ২৩:৪৮, ১৮ মার্চ ২০২৩

আরাভ খানকে দেশে  ফেরানো নিয়ে  সংশয়

.

পুলিশ পরিদর্শক মামুন ইমরান খান হত্যা মামলার পলাতক আসামি দুবাইয়ের স্বর্ণ ব্যবসায়ী রবিউল ইসলাম ওরফে আরাভ খান ওরফে হৃদয় ওরফে আপনের পাঁচটি দেশে নেটওয়ার্ক থাকার খবর পেয়েছে পুলিশ। বিশ্বের যে পাঁচ দেশে তার বিশাল নেটওয়ার্ক আছে তার মধ্যে বাংলাদেশ, ভারত, দুবাই, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডায় রয়েছে তার অঢেল ধন সম্পত্তি। এর মধ্যে তিনি বাংলাদেশ, ভারত কানাডার নাগরিক। যুক্তরাষ্ট্রের রয়েছে গ্রিনকার্ড। দুবাইয়ে আছে রেসিডেন্টসিয়াল পারমিট। বাংলাদেশের রূপালী পর্দার শোবিজে ক্রীড়াঙ্গনে রয়েছে তার ব্যাপক প্রভাব। স্বর্ণ চোরাচালানের মাধ্যমে গড়ে উঠেছে তার অর্থ বিত্ত, প্রভাব প্রতিপত্তি। তার অঙ্গুলি হেলনে চলে আন্ডারওয়ার্ল্ড। স্বর্ণ চোরাচালানের মাধ্যমেই তিনি রাতারাতি আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হয়ে উঠেছেন। তার রয়েছে বিভিন্ন দেশের অন্তত দশটি পাসপোর্ট। চলতি মার্চ মাসেও বাংলাদেশে এসে গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় তার গ্রামের বাড়ি ঘুরে গেছেন এমন তথ্য পাওয়ার পর তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। প্রকৃত ঘটনা হলো, আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ক্রিকেট তারকা সাকিব আল হাসান আলোচিত-সমালোচিত ইউটিউবার হিরো আলম দুবাইয়ের আরভ জুয়েলার্সের মালিক আরভের স্বর্ণের দোকান উদ্বোধনের আগে এই পুলিশ খুনের আসামির নেটওয়ার্কের কথা ছিল সবার অজানা। প্রশ্ন উঠেছে, রবিউল ইসলাম ওরফে আরাভ খানকে দুবাই থেকে দেশে ফিরিয়ে আনা সম্ভবপর হবে কী?

পুলিশের একজন কর্মকর্তা বলেছেন, পুলিশ খুনের আসামি রবিউল ইসলাম। ভারতীয় নাগরিকত্ব নিয়ে ভারতীয় পাসপোর্ট তৈরি করে চলে গেছে দুবাই। দুবাই থেকে ভারতীয় পাসপোর্টধারী নাগরিক আরাভ খানকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনাটা সহজ বিষয় নয়। বাংলাদেশে থাকতে সে নিজেকে কখনো আপন, কখনো সোহাগ, আবার কখনো হৃদয় নামে আত্মগোপন করে দুবাইয়ের অর্থ বিত্তের সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছে। কয়েকদিন আগেও ঢাকায় ঘুরে গেছে সে। গুলশানের একটি হোটেলে ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান হিরো আলমের সঙ্গে বৈঠক করে দুবাই ফিরে যায়। তখনো কেউ জানত না যে, আরাভ খানই একদিন ছিল পুলিশ খুনের আসামি রবিউল ইসলাম। তাকে গ্রেপ্তারে নড়েচড়ে বসেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। সেক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক সংস্থা ইন্টারপোলকে কাজে লাগানোর কথাও বলা হচ্ছে। কিন্তু আরাভ খানকে কি আদৌ দেশে আনা সম্ভব ? এমন প্রশ্ন তুলেছেন খোদ পুলিশ কর্মকর্তারাই ? আরাভ খান বাংলাদেশী হলেও পাসপোর্ট অনুযায়ী এখন সে ভারতীয় নাগরিক। বর্তমানে আরব আমিরাতের দুবাইয়ে বাস করছেন। সেখানেই তার ব্যবসা। ওই দেশটির কাছেও সে ভারতীয় নাগরিক হিসেবে বিবেচিত।

দুবাই থেকে শীর্ষ সন্ত্রাসী জিসানকে দেশে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয়নি। জিসান দুবাই সিআইডির কাছে ধরা পড়ার পরও ফেরত আনা যায়নি। ওই সময় জিসানকে ফেরত আনার ব্যাপারে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তা নানা কথা বললেও পরবর্তী সময়ে বিষয়টি ঢাকা পড়ে যায়। জিসানও ওই সময় দুবাইয়ের গোয়েন্দা সংস্থার কাছ থেকে ছাড়া পায়। বর্তমানে সে রীতিমতো আন্ডার ওয়ার্ল্ড পরিচালনা করে যাচ্ছে। জিসানকে ফেরত আনা সম্ভব হয়নি, কারণ, সেও ছিল ভারতীয় পাসপোর্টধারী। একইভাবে আরাভ খানের ক্ষেত্রেও এটা হতে পারে। কারণ, সেও ভারতীয় পাসপোর্টধারী। আরাভ খান বাংলাদেশের গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ার আশুতিয়া গ্রামের বাসিন্দা। তার বাবার নাম মতিউর রহমান মোল্লা। তার ভারতীয় পাসপোর্ট নম্বর ইউ ৪৯৮৫৩৮৯। ওই পাসপোর্টে পশ্চিমবঙ্গের নরেন্দ্রপুরের ঠিকানা দেওয়া রয়েছে। শুধু তাই নয়, তার স্ত্রী ভারতীয় নাগরিক (আসাম) সাজেমা নাসরিনের পাসপোর্টটিও ভারতীয়।

 কে এই আরাভ খান   সম্প্রতি নিয়ে মুখ খুলেছে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর অনেকেই। এই আরাভ খানই ২০১৮ সালে বনানী পুলিশের এসবি শাখার পরিদর্শক মামুনের হত্যাকারী। পরদিন তাঁর লাশ গাজীপুরের উলুখোলার একটি জঙ্গলে নিয়ে পেট্রোল ঢেলে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। ওই মামলার আসামি রবিউল ইসলাম ওরফে আরাভ খান সম্প্রতি আলোচনায় আসেন দুবাইয়েআরাভ জুয়েলার্স নামক একটি গয়নার দোকান উদ্বোধনে তারকাদের নিমন্ত্রণ জানিয়ে।আরাভ জুয়েলার্স দোকানটির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে ছিলেন জাতীয় দলের ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান, ইউটিউবার হিরো আলম, চলচ্চিত্র নির্মাতা দেবাশীষ বিশ্বাস, গায়ক ইসরাত জাহান জুঁই, আরফিন আকাশ, মাইনুল আহসান নোবেল, জাহেদ পারভেজ পাবেল, বেলাল খান রুবেল খন্দকার। আরাভ খানের পৈতৃক বাড়ি গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার হিরণ ইউনিয়নের আশুতিয়া গ্রামে হলেও জন্ম বাগেরহাটের চিতলমারীতে। তার বাবা মতিয়ার রহমান মোল্লা চিতলমারীতে ফেরি করে অ্যালুমিনিয়ামের হাঁড়ি-পাতিল বিক্রি করতেন। আশুতিয়া গ্রামে রবিউলকে সবাই চেনে সোহাগ মোল্লা হিসেবে। আরাভ খানের সঙ্গে বাংলাদেশের অবসরপ্রাপ্ত কোনো কোনো পুলিশ কর্মকর্তার ব্যবসায়িক সম্পর্ক রয়েছে। ওইসব অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা মাঝে মাঝে দুবাই গিয়ে সময়ও কাটিয়ে আসেন। সোনার যে চালান বাংলাদেশে আসে সেইসব চালানে সাবেক ওই কর্মকর্তারা সহযোগিতা করে থাকে এমন অভিযোগের পর গোয়েন্দা পুলিশ তা তদন্ত করে দেখছে বলে জানা গেছে। রবিউল ইসলাম ওরফে আরাভ খানের বিরুদ্ধে খুন, অস্ত্র, নারী শিশু নির্যাতন, প্রতারণা করে অর্থ আত্মসাৎ, চোরাই মালসহ গ্রেপ্তারের মতো ১২টি মামলার তথ্য রয়েছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের কাছে। মামলাগুলো রয়েছে ঢাকা, খুলনা চাঁদপুরের বিভিন্ন থানায়। 

এত অল্প সময়ে এত ধন সম্পদ হলো কিভাবে পুলিশ পরিদর্শক খুনের মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামি আরাভ খান ওরফে রবিউল ইসলাম এত অল্প সময়ে এত বিশাল ধন সম্পদের মালিক হলেন কিভাবে? তাকে নিয়ে রীতিমতো রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে। দিনমজুরের ছেলে দুবাইয়ে কীভাবে হাজার কোটি টাকার সম্পদের মালিক হলেন- সেই হিসাব মেলাতে পারছে না আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। স্বর্ণের দোকান উদ্বোধন নিয়ে বিতর্কের পর থেকে দফায় দফায় নিজের পক্ষে সাফাই গেয়ে ফেসবুক লাইভে কথা বলেছেন আরাভ। কিন্তু কোথাও বিশাল সম্পদের উৎস নিয়ে কথা বলেননি। ফেসবুকে ঘুরছে তার কথোপকথন। দুবাইয়েআরাভ জুয়েলার্স উদ্বোধনের কিছুদিন আগে কোটালীপাড়া ছাড়েন আরাভের দুই বোন মা-বাবা। এলাকা ত্যাগের সময় স্থানীয়দের জানান, তারা দুবাই যাচ্ছেন। প্রশ্ন উঠেছে-স্বর্ণের দোকান উদ্বোধনের আগেই কি সম্ভাব্য বিতর্কের বিষয়টি আঁচ করতে পেরেছিলেন আরাভ? তা নাহলে কেন তিনি পরিবারকে আগেভাগেই এলাকা থেকে সরিয়ে নিলেন? তা হলে কি দেশে বিদেশে তার আন্ডারওয়ার্ল্ডের নেটওয়ার্কের মাধ্যমে আগাম তার বিপদ আঁচ করতে পেরেছিলেন ?

 ফেসবুক লাইভে এসে আরাভ বলেন, আমার অঢেল সম্পত্তি আছে ইন্ডিয়াতে, অঢেল। আমার দাদা যেহেতু ওই খানের নাগরিক ছিলেন এক সময়। তিনি ওখানেও বিয়ে করেছেন, এখানেও (বাংলাদেশ) করেছেন। সেই ক্ষেত্রে ইন্ডিয়াতে আমার যাতায়াত হয়। আমার কানাডিয়ান পাসপোর্ট আছে। শুধু কানাডিয়ান না, আমার আমেরিকার গ্রিন কার্ড আছে। এটা কোনো ইস্যু না। একটা মানুষের ১০টা পাসপোর্ট থাকতে পারে। কারণ আমার টাকা আছে আমি আমেরিকান পাসপোর্ট কিনব। তিনি বলেন, আমি আজকে থেকে বিজনেস করি না। যারা আমাকে চেনে তারা সবাই জানে, আমি আগে থেকে বিজনেস করি। কলকাতাতেও আমার বিজনেস আছে। সেখানে আমার রেস্টুরেন্ট আছে, হসপিটাল আছে। আমি বিজনেস করি, আর বিজনেস করলে অবশ্যই আমার কাছে টাকা থাকবে। আমি শুধু জীবনে একটা রিপোর্টই শুনেছি, যে আমি নাকি একটা মার্ডার করেছি। যেটা অনেক বড় একটা চক্রান্ত। আমি জানি চক্রান্তকারী কারা। আমি তাদের কিছু করতে পারব না! ওপরে আল্লাহ আছে তিনিই দেখবেন। আরাভ আরও বলেন, ২০১৮ সালে বনানীতে অফিস ছিল আমার। আপন বিল্ডার্স নামে রিয়েল এস্টেটের ব্যবসা ছিল। ঘটনার দিন বাসায় ভাত খাচ্ছিলাম। আমার সহকারী ফোনে অফিসে খুনের বিষয়টি জানায়। যিনি খুন হয়েছেন তিনি একজন পুলিশ কর্মকর্তা। সেটি একটি দুর্ঘটনা ছিল। আর আমার অপরাধ ছিল আমি ওই অফিসের মালিক। সেখানে একটি জন্মদিনের অনুষ্ঠান ছিল। কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে ওই খুনের ঘটনা ঘটে।

আরাভ খানকে দেশে ফেরানোর সব চেষ্টা চলছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, দুবাইয়ের সোনা ব্যবসায়ী আরাভ খান ওরফে রবিউল ইসলামকে দেশে ফিরিয়ে আনার সব চেষ্টা হচ্ছে। গত ১৮ মার্চ তেজগাঁওয়ে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন উপলক্ষে এক অনুষ্ঠান যোগদান শেষে সাংবাদিকদের কথা জানান তিনি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এরই মধ্যে তাকে (আরাভ খান) ধরতে ইন্টারপোলের সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে। তাকে দেশে ফেরাতে সব রকম চেষ্টা চলছে। তবে আরাভ যেহেতু ভারতীয় পাসপোর্টধারী সেক্ষেত্রে কোন আইনে ইন্টারপোলের মাধ্যমে তাকে বাংলাদেশে ফেরত আনা হবে সে প্রশ্নের স্পষ্ট জবাব দেননি মন্ত্রী। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা অনেক কিছুই শুনেছি-জেনেছি। যেসব তথ্য আমাদের কাছে এসেছে, তা যাচাই-বাছাই করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ইন্টারপোলের মাধ্যমে আরাভকে দেশে ফেরাতে পুলিশের চিঠি ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) রবিউল ওরফে আরাভ খানকে দেশে ফিরিয়ে আনতে পুলিশ সদর দপ্তরকে ১৩ মার্চ চিঠি দিয়েছে। ডিবির মতিঝিল বিভাগের খিলগাঁও জোনাল টিমের অতিরিক্ত উপকমিশনার মো. সাহিদুর রহমান এই চিঠি দেন পুলিশ সদর দপ্তরের ন্যাশনাল সেন্ট্রাল ব্যুরো বা এনসিবির সহকারী মহাপরিদর্শককে। ডিবির চিঠিতে বলা হয়, আরাভ খান বর্তমানে ভারতীয় পাসপোর্টধারী। ভারতের পাসপোর্টে তার নাম আরাভ খান। পাসপোর্ট নম্বর ইউ ৪৯৮৫৩৮৯। ডিবি নিশ্চিত হয়েছে, এই আরাভ খানই রবিউল ইসলাম, তিনি পুলিশ পরিদর্শক মামুন ইমরান খান হত্যা মামলার অভিযোগপত্রভুক্ত আসামি। তার বিরুদ্ধে ডিএমপিসহ দেশের বিভিন্ন থানায় আরও ১২টি মামলা রয়েছে। সেসব মামলায় তার বিরুদ্ধে আদালত থেকে পরোয়ানা জারি হয়েছে। সে কারণে তাকে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের মুখোমুখি করা প্রয়োজন। চিঠিতে ইন্টারপোলের মাধ্যমে তাকে দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য পুলিশ সদর দপ্তরকে অনুরোধ করা হয়।

পুলিশ সদর দপ্তরের জনসংযোগ গণমাধ্যম শাখার সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি) মনজুর আহমেদ বলেছেন, পুলিশ পরিদর্শক মামুন ইমরান খান হত্যা মামলার পলাতক আসামি দুবাইয়ের স্বর্ণ ব্যবসায়ী রবিউল ইসলাম ওরফে আরাভ খান ওরফে হৃদয় ওরফে আপনকে দেশে ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া শুরু করেছে পুলিশ।

আরাভ খানকে আমি চিনি নাÑ সাবেক আইজিপি বেনজীর আলোচিত দুবাইয়ের সোনা ব্যবসায়ী আরাভ খান ওরফে রবিউল ইসলামকে চেনেন না বলে দাবি করেছেন পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) . বেনজীর আহমেদ। নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দাবি করেন তিনি। সাবেক আইজিপি তার ফেসবুক পেজে লিখেছেন, সম্মানিত দেশবাসী, আমি আপনাদের সবাইকে আশ্বস্ত সম্পূর্ণ ভাবে নিশ্চিত করতে চাই যে, ‘আরাভ ওরফে রবিউল ওরফে হৃদয় নামে আমি কাউকে চিনি না। আমার সাথে তার এমনকি প্রাথমিক পরিচয়ও নেই। আমি আমার এনফোর্সমেন্ট ক্যারিয়ারের পুরোটা সময় খুনি, সন্ত্রাসী, ড্রাগ ব্যবসায়ী, চোরাকারবারি, ভেজালকারী অপরাধীদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছি কখনোই সখ্য নয়।

×