
আটক
ঢাকার দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ, শ্যামপুর ও কদমতলী এলাকা থেকে ‘কিশোর গ্যাং’ লিডার জালাল ওরফে পিচ্চি জালাল বাহিনীর ১৬ সদস্যকে আটক করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব-১০)।
আটক আসামিরা হলো- মো. শাহ জালাল (১৯), মোকাব্বির হোসেন আয়ান (১৯), ইমন সরদার (২০), মো. রাসেল (১৯), মো. সুজন (১৯), মো. মুন্না হোসেন (১৯), মো. রাজু (১৯), মো. হাসান (১৯), মো. লিখন (১৬), মো. জিসান (১৬), মো. রায়হান শেখ (১৬), মোমিদ হোসেন (১৫), মো. রাব্বি (১৬), মো. আপন খন্দকার (১৩), মো. হৃদয় (১৫) ও মো. নাজিম (১৩)।
সোমবার (৩০ জানুয়ারি) দুপুরে র্যাব-১০ এর অধিনায়ক (সিও) অতিরিক্ত ডিআইজি মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, রবিবার (২৯ জানুয়ারি) ঢাকার দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ, শ্যামপুর ও কদমতলী এলাকায় একটি অভিযান পরিচালনা করে ‘কিশোর গ্যাং’ লিডার জালাল ওরফে পিচ্চি জালাল বাহিনীর ১৬ (ষোল) সদস্যকে আটক করা হয়।
র্যাবের এই কর্মকর্তা জানান, আটক কিশোর অপরাধীরা স্বীকার করেছে যে, তারা চুরি/ছিনতাই ছাড়াও তারা মাদক সেবন, খুচরা মাদকের ব্যবসা, চাঁদাবাজি, ইভটিজিং, পাড়া-মহল্লায় মারামারি এবং মোবাইল ফোনের মাধ্যমে নানা ধরনের অসামাজিক ও অশ্লীল টিকটক ভিডিও তৈরি করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করে আসছিল। প্রায়ই তারা এলাকায় প্রভাব বিস্তারকল্পে দলবদ্ধ হয়ে সংঘাত সৃষ্টি ও ভয়ভীতি দেখিয়ে ত্রাসের পরিবেশ সৃষ্টি করে সাধারণ মানুষের চলাচলে ব্যাপক সমস্যা সৃষ্টি করে আসছিল বলেও জানান র্যাবের এই কর্মকর্তা।
অতিরিক্ত ডিআইজি মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন জানান, আটক ১৬ জন কিশোর গ্যাংয়ের মধ্যে শাহ জালাল, মোকাব্বির হোসেন আয়ান, ইমন সরদার, রাসেলের বিরুদ্ধে শ্যামপুর ছিনতাই মামলায় এবং সুজন, মুন্না হোসেন, রাজু, মো. হাসানের বিরুদ্ধে কদমতলী থানায় অপর ছিনতাই মামলায় মোট ৮ জনকে হস্তান্তর করা হয়েছে। এছাড়া বাকী ৮ জন অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় তাদের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে র্যাব-১০ তাদের কাছ থেতে মুচলেকা নিয়ে পরিবারের জিম্মায় ছেড়ে দিয়েছে।
এমএস