ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

একুশে আগস্টের গ্রেনেড হামলা মামলার ডেথ রেফারেন্স শুরু

স্টাফ রিপোর্টার

প্রকাশিত: ২৩:১৪, ৫ ডিসেম্বর ২০২২; আপডেট: ২৩:২৯, ৫ ডিসেম্বর ২০২২

একুশে আগস্টের গ্রেনেড হামলা মামলার ডেথ রেফারেন্স শুরু

ভয়াবহ একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার ডেথ রেফারেন্স

বহুল আলোচিত বর্বরোচিত ভয়াবহ একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার ডেথ রেফারেন্স, আসামিদের আপিল ও জেল আপিল শুনানি শুরু হয়েছে। বিচারিক আদালতে রায়ের প্রায় চার বছর পর সোমবার বিচারপতি শহিদুল করিম ও বিচারপতি মো. মুস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চে শুনানি শুরু করে রাষ্ট্রপক্ষ। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের শুনানিতে ছিলেন অ্যাটর্নি  জেনারেল আবু মোহাম্মদ (এ এম) আমিন উদ্দিন।
আদেশের পর  অ্যাটর্নি  জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন জানান, রাষ্ট্রপক্ষ থেকে মামলার এফআইআর পড়ার পর চার্জশিটের কিছু অংশ পড়া হয়েছে। আগামী দুই দিনের মধ্যে চার্জশিট পড়া শেষ হয়ে যাবে। তিনি বলেন, উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আশা করছি আগামী বছরের প্রথম দিকেই মামলাটি শেষ হবে।বিচারিক আদালতের দেয়া সাজা বহাল থাকবে বলেও আশা করছেন রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আইন কর্মকর্তা।
আইনজীবীরা জানান, ফৌজদারি মামলায় বিচারিক আদালত যখন আসামিদের মৃত্যুদ- দেন তখন ওই দণ্ড কার্যকরের জন্য হাইকোর্টের অনুমোদনের প্রয়োজন হয়। এজন্য সংশ্লিষ্ট বিচারিক আদালত ফৌজদারি কার্যবিধির ৩৭৪ ধারা মোতাবেক মামলার সব নথি হাইকোর্টে পাঠিয়ে দেন, যা ডেথ রেফারেন্স নামে পরিচিত। ওই নথি আসার পর হাইকোর্টের ডেথ রেফারেন্স শাখা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে সংশ্লিষ্ট মামলার পেপারবুক প্রস্তুত করে। 

পেপারবুক প্রস্তুত  হলে মামলাটি শুনানির জন্য প্রস্তুত হয়েছে বলে ধরে নেওয়া হয়। গত বছরের ১৬ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার পেপারবুক বিজি প্রেস থেকে  তৈরির পর সুপ্রিমকোর্টে এসে পৌঁছায়। একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলা বিচারিক আদালতের রায়ে, বিএনপি-জামায়াত জোট আমলের সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, শিক্ষা উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টু, গোয়েন্দা সংস্থার তৎকালীন দুই শীর্ষ কর্মকর্তাসহ ১৯ জনকে মৃত্যুদ- প্রদান করা হয়। মৃত্যুদ-প্রাপ্ত  ব্যক্তিদের মধ্যে ১৪ জনই জঙ্গি সংগঠন হরকাতুল জিহাদের (হুজি-বি) সদস্য। এছাড়া রায়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ ১৯ জনের যাবজ্জীবন ও অপর ১১ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদ-সহ অর্থদ- প্রদান করা হয়।
এদিকে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন বলেন, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলা রাষ্ট্রীয় জীবনে খুবই গুরুত্বপূর্ণ মামলা। নজিরবিহীন ওই হামলার মাধ্যমে দেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে স্থবির ও ধ্বংসের প্রচেষ্টা চালানো হয়েছিল। সে কারণে, অগ্রাধিকার ভিত্তিতে আমরা মামলাটি শুনানির জন্য উদ্যোগ নেই।
২০০৪ সালের ২১ আগস্ট ঢাকার বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সমাবেশে ভয়াবহ নজিরবিহীন গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। এতে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীসহ ২৪ জন নিহত হন। এর মধ্যে রয়েছেন- সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রয়াত জিল্লুর রহমানের স্ত্রী আওয়ামী লীগ নেত্রী আইভি রহমান। আহত হন তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা শেখ হাসিনাসহ দলের কেন্দ্রীয় শীর্ষ নেতৃবৃন্দ, সাংবাদিকসহ কয়েকশ’ নেতাকর্মী এবং সাধারণ মানুষ।

×