ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১২ জুলাই ২০২৫, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২

সাধারণ সম্পাদকের পদ নিয়ে চলছে জোর গ্রুপিং লবিং

কাউন্সিল ঘিরে তৎপর চট্টগ্রাম নগর আওয়ামী লীগ নেতারা

প্রকাশিত: ২১:৫২, ১৫ জানুয়ারি ২০২২

কাউন্সিল ঘিরে তৎপর চট্টগ্রাম নগর আওয়ামী লীগ নেতারা

নয়ন চক্রবর্ত্তী, চট্টগ্রাম অফিস ॥ চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে দ্বিধাবিভক্তি অনেক পুরনো। রয়েছে নেতাদের পরস্পরবিরোধী অবস্থান ও সমর্থিত বলয়। বিশেষ করে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব নিয়ে কৌতূহল থাকে সর্বমহলে। বর্তমান কমিটির মেয়াদ ফুরিয়েছে। ফলে চলতি বছরে শীঘ্রই যে নগর কমিটি ঘোষণা করা হবে, তা অনুমিত হচ্ছে নেতাকর্মীদের তৎপরতায়। নগর আওয়ামী লীগের ইউনিট কমিটির সম্মেলন শুরু হলে পুরানো বিরোধ আছড়ে পড়ে। ১২৯টি ইউনিট কমিটির মধ্যে ৯৯টি ইউনিটের সম্মেলনও শেষ করে বর্তমান নগর কমিটি। কিন্তু ওয়ার্ডের ইউনিট সম্মেলনে অনিয়ম ও গঠনতন্ত্র বর্হিভূত কাজ হয়েছে অভিযোগ করা হলে কেন্দ্র থেকে ইউনিট সম্মেলন বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এদিকে, আগামী ১৬ জানুয়ারি ঢাকার কেন্দ্রীয় নেতাদের উপস্থিতিতে নগর কমিটির সভার পর সেই স্থগিতাদেশ উঠে যাবে বলা হচ্ছে। এরপর সকল প্রক্রিয়া শেষ করে নগর কমিটি গঠনের উদ্যোগ নেয়া হবে। এখন চলছে কমিটিতে গুরুত্বপূর্ণ পদে অধিষ্ঠিত হতে এবং নিজের প্রভাব ধরে রাখতে নেতাদের তৎপরতা। সম্প্রতি মহানগরের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীনবিরোধী নেতারা আবারও নেমেছেন জোট বেঁধে। ওয়ার্ড সম্মেলনকে আটকাতে কেন্দ্রে গিয়ে নালিশের পর দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় নেতাদের উপস্থিতিতে বিষয়টির সুরাহা হবে জানা গেছে। কিন্তু এই যে নালিশ দেয়া হয়েছে, তা নিয়ে বিব্রতকর অবস্থায় বর্তমান সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির। ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী এবং সাধারণ সম্পাদক নাছিরকে মূলত কোণঠাসা করতে দফায় দফায় গোপন বৈঠকও হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। যদিও নাছিরবিরোধীরা বিষয়টি উড়িয়ে দিয়েছেন বারবার। তারা বলছেন, দলে অনিয়ম ঠেকাতেই তারা নালিশ দিয়েছিল কেন্দ্রে। কিন্তু নগরজুড়ে চাউর হয়েছে নগর কমিটির শীর্ষ দুই পদে পরিবর্তন হতে পারে। এ জন্যই এখন গ্রুপিং রাজনীতি ফের চাঙ্গা হয়েছে। মূলত গত সিটি নির্বাচনে তৎকালীন মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন দলের মনোনয়নবঞ্চিত হওয়ার পর থেকে তার সাধারণ সম্পাদক পদ পরিবর্তনের আশা দেখছে বিরোধী শিবির। সিটি নির্বাচনের পর থেকে দলের নগর কমিটি পরিবর্তনে নজর ছিল কেন্দ্রের। তবে নতুন নেতৃত্ব কাদের হাতে যাচ্ছে এই নিয়ে বেশ আলোচনা শুরু হয় তখন থেকেই। প্রসঙ্গত, নগর আওয়ামী লীগের বর্তমানে দুটি ধারা প্রকাশ্যে রয়েছে। এর মধ্যে সাবেক সভাপতি প্রয়াত মহিউদ্দিন চৌধুরীর অনুসারীদের নেতৃত্বে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। অপরদিকে, দলের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন অপর পক্ষটির নেতৃত্বে রয়েছেন। তবে এর বাইরে সহসভাপতি খোরশেদ আলম সুজন। এক সময়ের মহিউদ্দিনবিরোধী হিসেবে পরিচিত সাবেক মন্ত্রী আফসারুল আমিন, সাবেক মন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসি গ্রুপ থাকলেও তারাও বর্তমানে মহিউদ্দিনপুত্র নওফেলের সঙ্গেই সুসর্ম্পক বজায় রেখেছে। তাদের সঙ্গে রয়েছেন বন্দর-পতেঙ্গা আসনের সংসদ সদস্য এম এ লতিফ এবং বর্তমান চউক চেয়ারম্যান জহিরুল আলম দোভাষ। তবে এই দুই নেতার নেই কোন গ্রুপ কিংবা আলাদা বলয়। নীতি নির্ধারক এবং দলের কেন্দ্রীয় পর্যায়ের সঙ্গে তাদের সুসম্পর্ক থাকায় দলে তাদের গুরুত্ব রয়েছে। এক সময়ে বিরোধী শিবিরে থাকা নুরুল ইসলাম বিএসসি, এমপি লতিফ, সাবেক চউক চেয়ারম্যান আবদুচ ছালামও বর্তমানে মহিউদ্দিন চৌধুরীর বলয়ের সঙ্গে সম্পর্কিত। ফলে নাছির শিবিরের ওপর কেন্দ্রের বড় ধরনের আশীর্বাদ কম বলেই প্রতীয়মান। নগরীতে এক সময়ে একাধিক ধারায় গ্রুপিং থাকলেও বর্তমানে শুধু নওফেল ও নাছির গ্রুপের কার্যক্রম দৃশ্যমান। এমনকি, ছাত্রলীগের বর্ষপূর্তিতেও তাদের অনুসারীদের আলাদা কর্মসূচী পালন করতে দেখা গেছে। বিভেদ-বিভক্তির কারণে এই দুই ধারা নগরীর রাজনীতিতে বর্তমানে আলোচিত। তবে এসবের নেপথ্যে রয়েছে প্রভাব-প্রতিপত্তি। এক সময়ে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) ছাত্রলীগের একচ্ছত্র আধিপত্য বজায় রাখা নাছিরের দুর্গে এখন বিরোধী শিবিরের আধিপত্য। মেডিক্যালে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের মাঝে এখন দুই ধারা। নওফেল অনুসারী হিসেবে পরিচিতরা বর্তমানে চমেকে বেশ পাকাপোক্তভাবে রয়েছে। মহিউদ্দিনপুত্র নওফেলের রাজনৈতিক ক্যারিশমায় চমেক হাসপাতাল, চট্টগ্রাম কলেজ, মহসিন কলেজে তার অনুসারী রয়েছে। যদিও তিনি বারবার অস্বীকার করেছেন তার কোন অনুসারী নেই। তিনি বিভক্তির রাজনীতিতেও বিশ^াস করেন না। কিন্তু নগর আওয়ামী লীগে যে দুই গ্রুপ আছে তা খোদ কেন্দ্রও জানে। এদিকে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মেয়র হওয়ায় রেজাউল করিম চৌধুরীও বর্তমানে বেশ গুরুত্বপূর্ণ মহানগরের রাজনীতিতে। মেয়র পদের পাশাপাশি ভবিষ্যত কমিটিতে বড় পদ পেতে যাচ্ছেন কিনা, এ নিয়ে বেশ কৌতূহল এবং আলোচনা আছে। মহিউদ্দিন শিবিরে এই নেতা বেশ গুরুত্বপূর্ণ। এমনকি, মহানগর কমিটির সভায় খোদ তিনি কমিটিকে অবৈধ বলেও দাবি করেছিলেন। বারবার তিনি মহিউদ্দিন চৌধুরীর দেখানো পথে হাঁটবেন বলেও গণমাধ্যমের কাছে বক্তব্য রাখেন। তাই বর্তমান সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীনের পদে কি রেজাউল আসছেন, নাকি নগর যুবলীগের আহ্বায়ক তরুণ নেতৃত্ব মহিউদ্দিন বাচ্চু আসছেন- এই নিয়ে জোর আলোচনা চলছে। তবে শেষ পর্যন্ত কী হবে, তা নির্ভর করছে নগর আওয়ামী লীগের কাউন্সিলের ওপর। সে জন্যই দুই গ্রুপের কর্মীদের ওয়ার্ড ও থানা পর্যায়ে গুরুত্বপূর্ণ পদে আনতে মরিয়া নেতারা। তবে চলতি বছর যে নগর কমিটি ঘোষণা করা হবে, সে বিষয়টি মোটামুটি নিশ্চিত। নাম প্রকাশে অনীহা জানিয়ে বর্তমান কমিটির এক নেতা বলেন, বিভিন্ন অনিয়ম ও গঠনতন্ত্র বর্হিভূত একচ্ছত্র আধিপত্য দেখাতে গিয়ে কিছু সমস্যা হয়েছে, যে বিষয়গুলো কেন্দ্র পছন্দ করেনি। কেননা ইউনিটে যদি ঐক্য না থাকে, তাহলে কীভাবে ওয়ার্ড কমিটিতে ভারসাম্য থাকবে? এ জন্য এবার বলা চলে, নগর কমিটির শীর্ষপদে পরিবর্তন আসতে পারে। কাউন্সিলের মাধ্যমে যদি নেতা নির্বাচন হয়, তবে ব্যাপক পরিবর্তন আসবে। আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ এক নেতা বলেন, গ্রুপিং বড় দলে থাকে। তবে কর্তৃত্ব দেখাতে গিয়ে বিব্রতকর পরিস্থিতি তৈরি না করা ভাল। এমন যে সব প্রশ্ন এসেছে, তার উত্তরও শীঘ্রই পাওয়া যাবে। বর্তমান কমিটির ছয় সহসভাপতিই এবার সভাপতি পদের দাবিদার। তাই অনেক কথা গুরুত্বপূর্ণ। আবার দীর্ঘদিন ধরে কাউন্সিল না হওয়ায় স্থবিরতা আছে। তাই কেন্দ্র থেকে কমিটি নির্ধারিত করে দিতে পারে। আবার বিবদমান দুই গ্রুপ যদি অনুকূল থাকে, তাহলে সুষ্ঠু পরিবেশে কাউন্সিলও হতে পারে। তবে খোরশেদ আলম সুজন, ইব্রাহিম হোসেন বাবুল ও জহিরুল আলম দোভাষের নাম এগিয়ে নেতাদের মুখে। উল্লেখ্য, সর্বশেষ ২০১৩ সালের নবেম্বরে মহিউদ্দিন চৌধুরীকে সভাপতি এবং আ জ ম নাছির উদ্দীনকে সাধারণ সম্পাদক করে তিন বছর মেয়াদী কমিটি গঠিত হয়েছিল। কিন্তু ২০১৭ সালে মহিউদ্দিন চৌধুরী মারা যাওয়ায় সহসভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরীকে ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব দেয়া হয়। কিন্তু মাহতাব উদ্দীন সাধারণ সম্পাদক নাছিরের ওপর নির্ভরশীল হওয়ায় আ জ ম নাছির আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। এক হিসেবে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদ দুটোই আ জ ম নাছিরের বলে দলে অভিযোগ আছে। তবে নগরীতে রাজনৈতিক সভা-সমাবেশ ও বিভিন্ন কর্মসূচীতে নাছিরের উপস্থিতি এবং নেতাকর্মীদের সঙ্গে সম্পৃক্ততাকে খাটো করে দেখছেন না বিরোধী শিবিরের নেতাকর্মীরা। খোদ নাছিরবিরোধীরাও জানে, দীর্ঘদিন নগর কমিটিতে না থাকা অবস্থায়ও তার অনুসারীদের অবস্থান ছিল গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়ে। আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, শ্রমিক লীগ এমনকি মেয়র হওয়ার আগে খোদ সিটি কর্পোরেশনেও তার অনুসারীর দাপট ছিল তাক লাগানো। নগরীর গুরুত্বপূর্ণ কর্মাস কলেজ, চট্টগ্রাম বিশ^বিদ্যালয়, পলিটেকনিক, চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজে ছিল তার অনুসারীদের শক্ত অবস্থান, যা এখনও বিদ্যমান। তাই আ জ ম নাছির উদ্দীনকে সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে যে সরানো সহজ হবে- এমনটাও ভাবছেন না নেতারা। তবে তার অনুসারীদের অভিযোগ, নাছিরবিরোধীরা ষড়যন্ত্র করে তাকে সিটি নির্বাচনে মনোনয়নবঞ্চিত করেছিল। এবার শীর্ষপদ থেকে সরাতে জোট বেঁধেছে। নাছির অনুসারী হিসেবে পরিচিত নগর কমিটির একাধিক নেতার অভিযোগ, দলের দায়িত্বপ্রাপ্ত শীর্ষ নেতারা রাতে গোপন বৈঠক করছে। এসব তো ষড়যন্ত্র। তারা সাধারণ সম্পাদকের নামে নালিশ দিয়েছে কেন্দ্রে। অথচ তাদের আজ্ঞাবহ কমিটি না দেয়ায় এমন মিথ্যাচার করেছে। চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন বলেন, সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে আ জ ম নাছির উদ্দিনকে সরানোর কোন অভিপ্রায় তাদের নেই। কারণ, আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাই তাকে এ পদে বহাল করেছেন। এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিলে তিনিই নেবেন। এমপি লতিফ ও মহিউদ্দিন বাচ্চু আলোচনায় ॥ বর্তমান মহিউদ্দিনপুত্র শিক্ষাউপমন্ত্রীর নওফেলের সঙ্গে লতিফের সুসর্ম্পক। ঠিক বিপরীত চিত্র দলের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছিরের সঙ্গে। গত ২৮ ডিসেম্বর চউক চেয়ারম্যানের বাসায় এক বৈঠকে এমপি লতিফ উপস্থিত থাকায় এবার মাহতাব-নাছিরের বিরুদ্ধে করা নালিশ বেশ জোরালো হয়েছে। উল্লেখ্য, মহিউদ্দিন চৌধুরীর মৃত্যুর আগ পর্যন্ত এমপি লতিফ, আফসারুল আমিন, নুরুল ইসলাম বিএসসি, আবদুচ ছালাম এদের কারও সঙ্গে সম্পর্ক সুখকর ছিল না। তবে জহিরুল আলম দোভাষের সঙ্গে আন্তরিক সম্পর্ক ছিল। দলের গুরুত্বপূর্ণ পদ সাধারণ সম্পাদক। তবে, সিটি নির্বাচনে মনোনয়নবঞ্চিত নাছিরকে যদি ওই পদ থেকে জ্যেষ্ঠতা অনুসারে অন্য পদে আসীন করা হয়, তাহলে গুরুত্ব্পূর্ণ পদে নগর যুবলীগের আহ্বায়ক মহিউদ্দিন বাচ্চুকেও আনা হতে পারে। প্রয়াত নেতা মহিউদ্দিন চৌধুরীর অনুসারী বাচ্চু ছাত্রলীগ ও যুবলীগের বিশাল একটি অংশের নেতৃত্ব দেন। বাচ্চুর নেতৃত্বে ওই অংশটি বিভিন্ন সভা-সমাবেশ অংশ নেয়। তাই সাধারণ সম্পাদক পরিবর্তন হলে বাচ্চুর ভাগ্যেও জুটতে পারে পদটি, এমনটি শোনা যাচ্ছে। নেতারা বলছেন, মূলত দুটি ধারার মধ্যেই নগর কমিটি নিয়ে দৌড়ঝাঁপে আছে। নগরীতে শ্রমিক ছাত্রসহ বিভিন্ন পেশাজীবী রাজনীতিতে যাদের প্রভাববলয় এবং কর্তৃত্ব বেশি, তাদের গুরুত্ব নগর কমিটিতে থাকবে। শেষ পর্যন্ত কী হয়, তা পরিষ্কার হয়ে যাবে অল্প সময়ের মধ্যে। তবে এ কথা সত্য যে, চট্টগ্রামে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে আ জ ম নাছিরের অবস্থানে একটি শক্ত বলয় রয়েছে। তার সাংগঠনিক দক্ষতা কোন অংশে কম নয়। মেয়রের মনোনয়ন হারানোর পর তিনি রাজনৈতিক সাংগঠনিক তৎপরতা বাড়িয়েছেন। অপরদিকে, মহিউদ্দিনের মৃত্যুর পর ওই গ্রুপের হাল ধরেছেন নওফেল। তিনি স্বীকার করুন আর না করুন, নাছিরবিরোধী গ্রুপকে মজবুত করেছে তার অবস্থান। তিনি যে নেতৃত্বে দিচ্ছেন, এটা অস্বীকার করার কোন জো নেই।
×