ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১

মার্চ-এপ্রিলে প্রত্যাবাসন শুরুর প্রত্যাশা ত্রাণ প্রতিমন্ত্রীর

৪১ হাজার ৭১৯ জন রোহিঙ্গাকে শনাক্ত করেছে মিয়ানমার

প্রকাশিত: ২৩:১৮, ২১ জানুয়ারি ২০২১

৪১ হাজার ৭১৯ জন রোহিঙ্গাকে শনাক্ত করেছে মিয়ানমার

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ স্বদেশে ফিরিয়ে নিতে বাংলাদেশের দেয়া তালিকা থেকে ৪১ হাজার ৭১৯ রোহিঙ্গাকে শনাক্ত করেছে মিয়ানমার। এই তালিকা ধরে আগামী মার্চ-এপ্রিলে প্রত্যাবাসন শুরু হতে পারে বলে আশা করছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডাঃ মোঃ এনামুর রহমান। বুধবার সচিবালয়ে বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমার নাগরিক রোহিঙ্গাদের জন্য চীন সরকারের ‘ইমার্জেন্সি রাইস এইড’ হস্তান্তর অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী এ কথা জানান। মঙ্গলবার বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ভাইস মিনিস্টার লু জাওহুই এবং মিয়ানমারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের স্থায়ী সচিব উচানের অংশগ্রহণে ত্রিপক্ষীয় সভা হয়। রোহিঙ্গাদের জন্য চাল হস্তান্তরে ভার্চুয়াল চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত লি ঝিমিং অনলাইনে যুক্ত ছিলেন। চলমান আলোচনা অনুযায়ী রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের অগ্রগতির বিষয়ে জানতে চাইলে ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী বলেন, মঙ্গলবার বাংলাদেশ, মিয়ানমার ও চীনের সচিব পর্যায়ে বৈঠক হয়েছে। সেখানে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। সব বিষয়ে ইতিবাচক আলোচনা হয়েছে। মিয়ানমার উপলব্ধি করেছে তাদের ফিরিয়ে নেয়া দরকার। বাংলাদেশও চায় তারা (রোহিঙ্গা) সম্মানের সঙ্গে নাগরিক অধিকার নিয়ে ফিরে যাক। চীন সরকারও মনে করে বাংলাদেশের উন্নয়নের স্বার্থে তাদের ফিরে যাওয়া উচিত। তিনি বলেন, বাংলাদেশ রোহিঙ্গাদের গ্রামভিত্তিক তালিকা ধরে ফেরত পাঠাতে চায়। কিন্তু মিয়ানমার সরকার চায় বাংলাদেশ সরকার যে তালিকা দিয়েছে এবং যে তালিকাটা তারা তদন্ত করেছে, সেই তালিকা অনুযায়ী ফেরত নিতে। এই জায়গায় গতকালের (মঙ্গলবার) মিটিং শেষ হয়েছে। আশা করি, পরবর্তী মিটিংয়ে আরও আশানুরূপ সিদ্ধান্ত আসবে। মঙ্গলবার চীন ও মিয়ানমারের যে সদিচ্ছা দেখেছি, সবাই প্রত্যাশা করছে, তিনটি পক্ষই আশা করছে আগামী মার্চ-এপ্রিলের মধ্যে প্রত্যাবাসনটা শুরু হবে। আমরা ভাল ফলের অপেক্ষায় আছি। প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমাদের বক্তব্য ও মঙ্গলবারের মিটিংয়ের পরিপ্রেক্ষিতে চীনের রাষ্ট্রদূত বলেন, শতভাগ ইচ্ছা বাংলাদেশের সঙ্গে তাদের যে গুরুত্বপূর্ণ সম্পর্ক সেটা তারা বজায় রাখবেন, বাংলাদেশের সব সমস্যা সমাধানের জন্য তারা আমাদের পাশে থাকবেন। বিশেষ করে রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠাতে তারা কাজ করে যাবেন। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের যেমন চীনের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক, একইভাবে মিয়ানমারের সঙ্গেও তাদের (চীনের) বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক, মিয়ানমারের উন্নয়নে চীনের একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে। সেই জায়গায় চীন যদি সত্যিকারভাবে চায় সেক্ষেত্রে অবশ্যই তারা মিয়ানমার সরকারকে প্রভাবিত করতে পারবে।
×