জবি সংবাদদাতা ॥ সাকরাইন উৎসব শুধু পুরান ঢাকার উৎসব নয়, বাংলাদেশের উৎসব। এটি পুরান ঢাকার ঐতিহ্যতো বটেই, পাশাপাশি আমাদের আবহমান বাংলার ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির অংশ। আগে শিশু-কিশোরেরা প্রায় সবাই ছোটবেলায় ঘুড়ি উড়িয়েছে। এখন যদিওবা শহরে ঘুরে বেড়ানোর সুযোগ নেই বড় শহরগুলোয় অত্যন্ত কমে গেছে। ঢাকা-চট্টগ্রামসহ বড় শহরগুলোয় এখন আর খেলার মাঠগুলো নেই। ছাদের ওপরে গিয়ে যে ঘুড়ি ওড়াব, সেই সুযোগটা অনেক সংকুচিত হয়ে গেছে। যে কারণে আমাদের তরুণেরা, কিশোরেরা আর ঘুড়ি ওড়াতে পারে না। বৃহস্পতিবার ঢাকা সাংবাদিক ফোরাম আয়োজিত অনুষ্ঠানের শুরুতে এক আলোচনা সভায় তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ এসব কথা বলেন। এসময় পুরান ঢাকার ধুপখোলা মাঠে সাকরাইন উৎসব উপলক্ষে ঘুড়ি ওড়ান তিনি। তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ আরও বলেন, আমাদের সংস্কৃতিকে ধরে রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই সংস্কৃতি উদ্যাপনে করোনা মহামারির মধ্যেও আমাদের তরুণদের উৎসাহিত করা হচ্ছে। এগুলো আমাদের সংকট পাড়ি দিতে সহায়তা করে।
সংগঠনের সভাপতি শামিম সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক আক্তার হোসেনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ডেইলি
অবজারভার পত্রিকার সম্পাদক ও প্রধানমন্ত্রীর সাবেক তথ্যবিষয়ক উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, সাবেক সাংসদ সাবিনা আকতার, ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বেনজীর আহমেদ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহাম্মদ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শরিফুল ইসলাম প্রমুখ।
পুরান ঢাকার শাঁখারীবাজার, তাঁতীবাজার, লক্ষ্মীবাজার, নারিন্দা, সূত্রাপুর ও লালবাগ এলাকায় দেখা যায়, ভোরের কুয়াশার কাটতে না কাটতেই ছাদে ছাদে শুরু হয় ঘুড়ি ওড়ানো ও ঘুড়ির কাটাকাটি খেলা। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ে উৎসবের জৌলুশ। বিভিন্ন বাড়ির ছাদে বাজছে আধূনিক সাউন্ড সিস্টেমে দেশি-বিদেশি গান। স্থানীয় লোকজন জানান, সন্ধ্যায় থাকবে আগুন নিয়ে খেলা, আতশবাজি ও ফানুস ওড়ানো।
২দিনের সফরে তথ্য মন্ত্রী কক্সবাজারে ॥ স্টাফ রিপোর্টার, কক্সবাজার থেকে জানান, তথ্য মন্ত্রী ড. হাসান মাহমুদ ২দিনের সফরে এসেছেন কক্সবাজারে। মন্ত্রী বৃহস্পতিবার বিকেল ৪ টা ৩৫ মিনিটে বিমানযোগে কক্সবাজার বিমানবন্দরে পৌঁছান। আজ শুক্রবার সকাল ১০টায় কক্সবাজার বেতার কেন্দ্র ও গেস্ট হাউস পরিদর্শন করে একইদিন সকাল ১১টায় কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে এক সভায় মিলিত হবেন। বিকেল ৫ টায় মন্ত্রী ড. হাসান মাহমুদ বিমানযোগে কক্সবাজার ত্যাগ করবেন।
কামরাঙ্গীর চর ॥ নিজস্ব সংবাদদাতা কেরানীগঞ্জ থেকে জানান, ‘এসো উড়াই ঘুড়ি, ঐতিহ্য লালন করি’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে প্রথমবারের ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে ৭৬ ওয়ার্ডে একযোগে আয়োজন করা হয়েছে সাকরাইন ও ঘুড়ি উৎসব। এরই ধারবাহিকতায় দক্ষিণ সিটির ৫৬নং ওয়ার্ডের কামরাঙ্গীর চর কুড়ার মাঠে আয়োজন করা হয়েছে সাকরাইন, ঘুড়ি ও পিঠা উৎসব। উৎসবকে প্রাণবন্ত করতে আয়োজন করা হয়েছে কয়েকটি স্টল। স্টলগুলো হচ্ছে পিঠা, ফল, ঝালমুড়ি ও কফি, সুতা, ঘুড়ি ও লাটাই। বাচ্চাদের জন্য রাখা হয়েছে বেশ কিছু রাউড। এছাড়াও মুক্তিযুদ্ধের বিভিন্ন ইতিহাস জানার জন্য প্রদর্শনী করা হয়েছে মুক্তিযুদ্ধ কর্নার।
৫৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোহাম্মদ হোসেনের আয়োজনে কামরাঙ্গীর চরের ২৪ এলাকার ২৪ পঞ্চায়েত কমিটিকে দেয়া হয়েছে এসব স্টল। এছাড়াও ফ্রিতে দেয়া হয়েছে ঘুড়ি সুতা ও লাটাই। আয়োজন করা হয়েছে আতশবাজির। সব শেষে আলোচনা সভা।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে ভিডিও কনফারেন্সে বক্তব্য রাখেন সাবেক খাদ্যমন্ত্রী এ্যাড. কামরুল ইসলাম এমপি। এ সময় প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মোটভেশনাল স্পীকার ডাঃ আলমাসুর রহমান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ হুমায়ূন কবীর ও নারী উদ্যোক্তা রুনা আহমেদ।
বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টায় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে একযোগে এই উৎসব উদ্বোধন করেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: